হায়দরাবাদ: মাসের বিশেষ পাঁচটা দিন মেয়েদের আর পাঁচটা দিনের থেকে আলাদা ৷ ঋতুকালীন সময়ে মুড সুইং, খেতে ভালো না-লাগা, কাজে মন না-লাগা ইত্যাদি সমস্যা সাধারণ বিষয় ৷ তবে পিরিয়ডস শুরু হওয়ার আগে যদি মনের মধ্যে একটা আতঙ্ক বা ভয় কাজ করে, তাহলে সমস্যা গভীরে ৷ এমনটা মনে হলে আপনি মেনোফোবিয়ায় আক্রান্ত ৷ তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই ৷ সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললেই, এই ফোবিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায় অনায়াসে ৷
মেনোফোবিয়া কী
মেনোফোবিয়া, নাম থেকেই বোঝা যায়, মাসিক ফোবিয়া বা পিরিয়ড ফোবিয়া। ঋতুকালীন সময়কে ঘিরে একটি তীব্র ভয় বা উদ্বেগকে বোঝায়। যদিও মেনোফোবিয়াকে মানসিক রোগের ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ম্যানুয়াল (DSM-5) এ একটি স্বতন্ত্র ক্লিনিক্য়াল রোগ হিসাবে স্বীকৃতি পায়নি ৷ আসলে এমন কিছু মহিলা আছেন, যারা মাসিকের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে কিছুটা ভয় বা উদ্বেগ অনুভব করেন। সেই ভয় বা উদ্বেগ বাড়তে থাকলে তা ফোবিয়ার আকার নিয়ে নিতে পারে ৷
চিকিৎসকদের মতে, আসলে পিরিয়ডস নিয়ে ভয়ের কারণ এক একজনের কাছে এক এক রকম ৷ সেটা কখনও হতে পারে সামাজিক ট্যাবু অথবা এই সময়ে পেটে প্রচণ্ড যন্ত্রণা কিংবা অতীতে পিরিয়ডস সংক্রান্ত কোনও ট্রমাটিক ঘটনার সম্মুখীন হওয়া ৷ এই ধরণের অভিজ্ঞতার কারণে প্রত্যেক মাসে ঋতুর সময় আসলেই মনের মধ্যে উদ্বিগ্নতা দেখা যায় ৷
কীভাবে কাটাবেন মেনোফোবিয়া
শিক্ষা- সর্বপ্রথম যেটা দরকার সেটা হল মাসিক বা পিরিয়ডস নিয়ে সঠিক শিক্ষা ৷ যে সময় পিরিয়ডস শুরু হয় তখন থেকেই যদি এই বিষয়ে সচেতন করা যায়, তাহলে এই উদ্বিগ্নতা কখনই তৈরি হয় না ৷ আসলে এই নিয়ে অনেক বাবা-মা সন্তানের সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করেন না ৷ ফলে সন্তানদের মধ্যেও এই বিষয় নিয়ে কথা না বলায় ভয়টা থেকে যায় ৷ যা পরে ফোবিয়ায় পরিণত হয় ৷
মন শান্ত রাখুন- পিরিয়ডস শুরু হওয়ার দিন কয়েক আগে থেকে যে অস্থিরতা তৈরি হয়, তা কাটানো যেতে পারে প্রতিদিনের মেডিটেশনের মাধ্যমে ৷ ঘরেতেই বিশেষ কিছু ব্যায়াম এই সময়ে করলে বা করা প্র্যাকটিস করলে মেনোফোবিয়া কাটানো সম্ভব ৷
বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে কথা বলা- পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে মনের কথা ভাগ করে নিলে অনেক সমস্যার সমাধান নিমেষে হয়ে যায় ৷ আপনি কী অনুভব করছেন, সেটা পরিষ্কারভাবে জানান ৷ অনুভূতি প্রকাশ করলে অন্যের অভিজ্ঞতাও সামনে আসে ৷ যা এই ভয় কাটাতে অনেকাংশে সাহায্য করে ৷
থেরাপি- মেনোফোবিয়া যদি বেড়ে গিয়ে থাকে তাহলে থেরাপির সাহায্য নিন ৷ অর্থাৎ চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে ভয় দূর করা ৷
আরও পড়ুন: বর্ষাকালে সুস্থ থাকতে এইভাবে লিভারের যত্ন নিন
(প্রতিবেদনটি সাধারণ তথ্যের উপর নির্ভর করে লেখা ৷ বিশদে জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন)