হায়দরাবাদ: শিশুদের তাদের খাদ্যের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে কারণ এটি তাদের বিকাশের বয়স । এই বয়সে ভালো ও পুষ্টিকর খাবার না খেলে অনেক রোগ হতে পারে । কিন্তু এই বয়সে শিশুরাও খাবারে অনীহা দেখায় যার কারণে তারা অসুস্থও হয়ে পড়ে ।
অনেক সময় শিশুদের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার দিলেও তারা মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয় । এর পেছনের কারণ হল অসাবধানতা যা আমরা অজান্তেই করি । খাদ্যকে আরও পুষ্টিকর করতে কীভাবে দিতে হবে সে সম্পর্কে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই ।
এই পদ্ধতিতে অবহেলা করলে শরীরে আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতা হয় । রক্তস্বল্পতা মানে রক্তের অভাব । এমন পরিস্থিতিতে শিশুকে আয়রন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা । কিন্তু আয়রন বড়ি খাওয়ার প্রয়োজন এড়াতে আমাদের খাদ্যের দিকে মনোযোগ দিতে পারি ।
দুটি প্রধান ভুল যার কারণে শিশুদের মধ্যে আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তশূন্যতা দেখা দেয় ।
প্রথম ভুল
আমরা শিশুকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি দি না । তিনি লেবু দিতে দ্বিধা করেন কারণ এটি ঠান্ডা হতে পারে । যদিও এটি একটি মিথ ।
লেবুতে উপস্থিত ভিটামিন সি আয়রন শোষণের ক্ষমতা বাড়ায় ।
পালংশাক, ব্রকলি, শস্য, ডাল ইত্যাদির নিরামিষ উৎস থেকে লেবু শরীরে আরও আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করে ।
তাই বাচ্চারা ডাল-ভাত খেলেও প্রতিদিন কয়েক ফোঁটা লেবু মেশাতে হবে ।
দ্বিতীয় ভুল
দ্বিতীয় ভুল হল যখন শিশুরা খাবার খেতে চায় না তখন তাদের জোর করে দুধ খাওয়ানো হয় । তারা তাদের দিনে প্রায় এক লিটার দুধ পান করতে বাধ্য করে ।
বেশি পরিমাণে দুধ দিলে মা-বাবা মনে করেন শিশু কিছু পুষ্টি পাবে, যা তার হাড় মজবুত করবে । কিন্তু দুধকে আয়রনের খুব একটা ভালো উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয় না ।
অতিরিক্ত দুধ দিলে আয়রনের ঘাটতিজনিত রক্তাল্পতা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে ।
তাই সারাদিনে শিশুকে সর্বোচ্চ 700 লিটার দুধ দেবেন না ।
যাই ঘটুক না কেন, আপনার শিশুকে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান ।
আরও পড়ুন:
- পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার কারণে মানসিক চাপ, রক্ষা পেতে খান এই খাবারগুলি
- পাকা কলার মতোই উপকার কাঁচা কলাতেও, জেনে নিন এর গুণাগুণ
- গোপনাঙ্গের সমস্যা কীভাবে এড়াবেন মহিলারা, জেনে নিন
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)