হায়দরাবাদ: প্রায় 30 বছর ধরে বিশ্বব্যাপী কফির ব্যবহার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে । এখন কানাডায় সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয় কফি ৷ সে দেশে প্রতিদিন গড়ে 2.7 কাপ কফি খাওয়া হয় । একটি হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় দুই বিলিয়ন কাপ কফি খাওয়া হয় । এই চাহিদার কারণে কফি তৈরির পদ্ধতিতে এসেছে অনেক বৈচিত্র্য (Impact of coffee on nature) ।
কফির জীবনচক্র: বাড়িতে কফি তৈরির ফলে যে দূষণ হয় তা সামগ্রিকতার নিরিখে একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। এক কাপ কফি উপভোগ করার আগে, এটি কফি 'বিন' এর উৎপাদন থেকে শুরু করে, তাদের পরিবহণ, ভাজা এবং গুঁড়ো করার মতো বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয় । কফি থেকে কার্বন নির্গমনের সম্পর্কে বুঝতে কফির সমগ্র জীবনচক্র বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ । উৎপাদনের পর প্যাকেজিং থেকে শুরু করে বাকি নানা কাজ কীভাবে হয় তা না-বুঝলে সম্পূর্ণ বিষয়টি বোঝা হবে না ।
আরও পডুন: পর্যাপ্ত জল পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো ! প্রতিদিন 2-3 লিটার যথেষ্ট
চারটি কফি তৈরির পদ্ধতির তুলনা: 280 মিলি কফি তৈরির চারটি পদ্ধতির তুলনা করে কফির কার্বন নির্গমন পরিমাপ করা হয়েছে: 1) প্রচলিত ফিল্টার কফি (25 গ্রাম কফি), 2) এনক্যাপসুলেটেড ফিল্টার কফি (14 গ্রাম কফি), 3) তৈরি করা কফি (ফরাসি প্রেস) 17 গ্রাম কফি), 4) ইনস্ট্যান্ট কফি (12 গ্রাম কফি), যা ইনস্ট্যান্ট কফি নামেও পরিচিত ।
আরও পড়ুন: খুব বেশি চা পান করলে এই সব রোগ হবে
আমাদের বিশ্লেষণ স্পষ্টভাবে দেখিয়েছে যে ঐতিহ্যগত ফিল্টার কফিতে সর্বাধিক কার্বন নিঃসরণ হয়, প্রধানত কারণ সেই পরিমাণ কফি তৈরি করতে প্রচুর পরিমাণে কফি পাউডার ব্যবহার করা হয় । এই প্রক্রিয়াটি জলকে গরম করতে এবং গরম রাখতে আরও বিদ্যুৎ খরচ করে ।