হায়দরাবাদ: সকাল-বিকেল কফি খাওয়ার অভ্যাস অনেকের থাকে ৷ কফির মাগে চুমুক না দিলে, যাঁদের মনে হয় জীবন থেকে কি যেন একটা নিখোঁজ, তাঁদের উদ্দেশ্যে খোঁজ রইল এমন কিছু উপাদানের, যা দুধের স্বাদ মেটাবে ঘোলে ৷ অর্থাৎ, কফির মতো কিছুটা স্বাদ পেলেন, অথচ ক্যাফেইন না থাকায়, স্বাস্থ্যের হানি-ও হল না ৷ হার্ভাড টিএইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এর তরফে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত কফি সেবন বাড়িয়ে তোলে হার্টের সমস্যা বা ক্যানসারের ঝুঁকি ৷ বাড়ায় উদ্বিগ্নতা থেকে হার্ট রেট ৷ তাই শরীর ভালো রাখতে সকাল-বিকেল সঙ্গী করুন কফির বিকল্প এই পানীয়গুলিকে ৷
চিকরি কফি (Chicory coffee): কফি বীজের মতোই চিকরি গাছের মূল বা রুট গুড়ো করে কফির মতো খাওয়া যেতে পারে ৷ এটি অনেকটা কফির মতোই খেতে ৷ গরম গরম এই কফি জাতীয় চিকরি পান করলে চর্বি কমাতে যেমন সহায়তা করবে তেমনই হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে ৷
মাচা চা (Matcha Tea): মাচা চা, ক্যামেলিয়া সিনেনসিস গাছের সবুজ চা পাতা গুঁড়ো করে তৈরি হয়। কফির মতো, এটিতে ক্যাফেইন রয়েছে ৷ তবে যেখানে এক কাপ কফিতে 100 থেকে 120 মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে সেখানে প্রতি কাপ মাচা চায়ে ক্যাফেইন রয়েছে প্রায় 70 মিলিগ্রাম ৷ এই চায়ে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিডে থেনাইন থাকে, যা উদ্বেগ বা স্ট্রেস কমাতে সহায়তা পারে ৷
কম্বুচা (Kombucha): কম্বুচা চা (মাশরুম চাও নামেও পরিচিত) অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি ৷ গবেষণায় বলা হয়েছে, ক্যানসার, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়বেটিকস, বা বয়সকালে আর্থারাইটিসের মতো সমস্যা মোকাবিলায় এই চা পান করা উপকার ৷
গোল্ডেন মিল্ক: দুধের মধ্যে আদা, দারুচিনি, এলাচ, হলুদ ও কালো মরিচ গুঁড়ো মিলিয়ে তৈরি হয় গোল্ডেন মিল্ক ৷ ফ্লেভার পেতে চাইলে ভ্যানিলা বা মধুও মেশাতে পারেন ৷ হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমাটরি গুণ, যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে ৷ কালো মরিচ গুঁড়ো চর্বি কমাতে সহায়তা করে ৷
ইয়ারবা মেট (Yerba mate): ইয়ারবা মেট দক্ষিণ আমেরিকার স্থানীয় উদ্ভিদ প্রজাতি। যার নামকরণ করেছিলেন ফরাসি উদ্ভিদবিদ অগাস্টিন সেন্ট-হিলেয়ার। গাছের পাতা গরম জলে ভিজিয়ে, সেই জল পান করতে পারেন ৷ ঠিক যেমন, পাতা চা, তৈরি করে পান করেন ৷ এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, বি6, থিয়ামাইন, ফরফরাস ৷ ফলে স্বাস্থ্যগুণে সম্পন্ন এই চা, হতে পারে আপনার সকাল বা বিকেলের মুড ভালো করা পানীয় ৷
আরও পড়ুন: গ্যাসের ব্যথা না হার্ট-অ্যাটাক ! সূক্ষ্ম পার্থক্য বুঝবেন এই লক্ষণ দেখেই
(প্রতিবেদনটি সাধারণ তথ্যের উপর নির্ভর করে লেখা ৷ বিশদে জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ৷)