হায়দরাবাদ : সম্প্রতি প্রকাশিত নতুন একটি গবেষণা বলছে, বাচ্চাদের মধ্য়ে যারা নিরামিষ খাবার খায় আর যারা মাংস বা আমিষ খাবার খায় তাদের পুষ্টি এবং বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনও পার্থক্য দেখা যায়নি (Study on Vegetarian And Non Vegetarian Children)৷ 'পেডিয়াট্রিকস' নামক একটি জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্রটি ৷ তবে গবেষকরা এও দেখেছেন নিরামিষ ডায়েট রুটিন তৈরির সময় তা খুবই সচেতনভাবে তৈরি করা প্রয়োজন না-হলে বাচ্চাদের 'আন্ডার ওয়েট' বা কম ওজনের সমস্য়া তৈরির হতে পারে ৷
কানাডায় নিরামিষ খাবারের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই 2019 সালে এই গবেষণাটি শুরু করেন বিশেষজ্ঞরা ৷ উদ্ভিজ্জ প্রোটিন দিয়ে প্রাণীজ প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর জন্য় মাংসের বদলে বিনস এবং টোফু খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল গবেষকদের তরফে ৷
সেন্ট মাইকেল হাসপাতালের পেডিয়াট্রিশিয়ান ডা: জনাথন ম্যাথিউ বলেন, "আমারা প্রায় গত 20 বছর ধরে দেখছি উদ্ভিজ্জ খাবারের চাহিদা বাড়ছে ৷ খাবারের জগতও অনেকখানি পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে কারণ এখন আরও বেশি উদ্ভিজ্জ খাবার পাওয়া সম্ভব হচ্ছে ৷ কিন্তু এক্ষেত্রে কানাডায় নিরামিষ ডায়েটকে বেছে নেওয়া বাচ্চাদের পুষ্টির ওপর কোনও প্রভাব পরে কি না, তা এখনও গবেষণা করে দেখা হয়নি ৷"
তিনি আরও বলেন, "এই গবেষণা এটাই দেখায় যে সমস্ত বাচ্চারা নিরমিষ ডায়েট পছন্দ করে আর যারা আমিষ ডায়েট রুটিনে রয়েছে তাদের মধ্য়ে বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কোনও পার্থক্য নেই ৷" গবেষকরা দেখেছেন নিরামিষ অথবা আমিষ ডায়েটের বাচ্চাদের মধ্যে বিএমআই, উচ্চতা, আয়রন, ভিটামিন ডি এবং কোলস্টেরল লেভেলের কোনও পার্থক্য দেখা যায়নি ৷ যদিও ফলাফল বলছে সঠিক নিরামিষ খাবার না-খেলে 'আন্ডার ওয়েট' বা কম ওজনের সমস্য়া তৈরির হতে পারে তাই খাবারের তালিকা নির্বাচনের সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকা উচিত ৷ তবে স্থুলতার কোনও লক্ষণ এক্ষেত্রে চোখে পড়েনি ৷
আরও পড়ুন : সোশ্য়াল মিডিয়া থেকে এক সপ্তাহের বিরতি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারে: গবেষণা
গবেষকরা এও জানান, বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন অপুষ্টির সংকেত হতে পারে ৷ তাই নিরামিষ খাবারে প্রোটিন, স্টার্চ, ফাইবার এবং বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি যেন ঠিক পরিমাণে থাকে তার দিকে নজর দেওয়া একান্ত জরুরি ৷ এর জন্য ফল, তন্তুজাতীয় খাবার, সবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানো যেতে পারে ৷