হায়দরাবাদ: নিশ্বাসে দুর্গন্ধের পিছনে অনেকগুলি কারণ থাকতে পারে ৷ কিন্তু এমনটা দীর্ঘদিন যাবত চলতে থাকলে তা ফ্যাটি লিভারের সমস্যার লক্ষণও হতে পারে । আসুন জেনে নেওয়া যাক ফ্যাটি লিভারের সমস্য়া সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য এবং তা মোকাবিলা করার উপায় ৷ সাধারণত মনে করা হয় নিশ্বাসে দুর্গন্ধের কারণ হল মুখ পরিষ্কার না রাখা ৷ তবে এটাই একমাত্র কারণ নয় ৷
ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ:
যদিও ফ্যাটি লিভারকে গুরুতর রোগ হিসেবে বিবেচনা করা হয় না ৷ তবে চিকিৎসা করা না হলে এবং যত্ন না নেওয়া হলে তা পরবর্তীতে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে ৷ চিকিৎসকরা জানান, এই রোগ হলে লিভারে চর্বি জমা শুরু হয় যা অঙ্গটির কার্যকারিতায় বাধা দিতে শুরু করে ৷ প্রাথমিকভাবে এর কোনও লক্ষণ দেখা যায় না ৷ কিন্তু সমস্য়া বাড়তে শুরু করলে ত্বক বা চোখের রংয়ে পরিবর্তন, ক্লান্তি,বমিভাব এবং পা ফুলে যাওয়ার মত সমস্য়া শুরু হতে পারে ৷ এর সঙ্গে ব্যক্তির মুখেও অস্বাভাবিক দুর্গন্ধ দেখা যায় ৷ ডাঃ রাজেশ বলেন, "ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় লিভার ফুলে উঠতে শুরু করে এবং এর টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয় । যদি নির্ণয় না করা হয়, তবে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে ৷ লিভার সিরোসিস কিম্বা লিভার ক্যানসারের সম্ভবনাও তৈরি হতে পারে ।" সাধারণত ফ্য়াটি লিভারের সমস্য়া দু‘ধরণের হয় (What are The Types of Fatty Liver ):
- অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার: সাধারণত অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে বেশিরভাগ মানুষেরই লিভারে এধরনের সমস্যা শুরু হয়।
- নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার : এই সমস্যার জন্য সাধারণত দায়ী করা হয় স্থুলতা, উশৃঙ্খল জীবনধারা, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, টাইপ 2 ডায়াবেটিস এবং মেটাবলিক সিনড্রোম ইত্যাদি ।
লিভার আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির অন্যতম ৷ বিপাকের ক্ষেত্রে, শক্তি সঞ্চয় করতে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে এবং রক্ত পরিশুদ্ধ করতে লিভারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ৷ ডাঃ রাজেশের মতে, ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিশ্বাসে দুর্গন্ধ বাড়তে শুরু করে । নিশ্বাসে দুর্গন্ধের একটি বড় কারণ হল লিভারের সমস্যা ৷ যার জেরে টক্সিনগুলি সঠিকভাবে ফিল্টার হয় না এবং শ্বাসযন্ত্রের আশেপাশে জমা হতে থাকে ৷ ফলে এক অস্বাভাবিক দুর্গন্ধ তৈরি হয় ৷ এই রোগ ফেটর হেপাটিকাস নামে পরিচিত । এর জন্য় ডাইমিথাইল সালফাইডকে দায়ী করা হয় ৷
আরও পড়ুন: শ্রবণ সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিকারের কিছু উপায়
রোগ মুক্তির জন্য় কী করা উচিত :
ডা: রাজেশের মতে, এই পরিস্থিতি এড়াতে স্বাস্থ্যকর এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন করা খুবই জরুরি ৷ এক্ষেত্রে ধূমপান, মদ্য়পান এড়িয়ে চলা খাদ্যাভ্য়াসের পরিবর্তন করা বাধ্য়তামূলক ৷ একইসঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রোজ প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার করতে হবে ৷