হায়দরাবাদ: বাত বা হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা বয়সের সঙ্গে বাড়ে । মহিলাদের মধ্যে ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে গেলে এই সমস্যা হয় । বিশেষ করে মেনোপজের পর মহিলাদের হাঁটুর সমস্যা বেশি হয় । এই রোগের কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই । তবে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন এবং কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলে হাঁটুর ব্যথা অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যায় (Food Tips)।
বাদাম এবং বীজ: বাদাম এবং বিভিন্ন ধরণের বীজ ওমেগা -3 ফ্যাটি অ্যাসিডের পাশাপাশি অন্যান্য প্রদাহরোধী যৌগের আরেকটি ভালো উৎস । এর মধ্যে রয়েছে বাদাম, আখরোট, চিয়া বীজ এবং শণের বীজ । এই সমস্ত খাবার খেলে শরীর ভালো থাকে । ব্যথার প্রকোপ থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যায় বলে মনে করেন চিকিৎসকরা ।
মাছ: ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত মাছ খেতে হবে । এই মাছ নিয়মিত সেবন করলে বাতজনিত রোগীদের জয়েন্টের ব্যথা এবং ফোলাভাব কমে যায় । সবচেয়ে উপকারী মাছ হল স্যামন, ম্যাকেরেল এবং সার্ডিন । এর পাশপাশি আরও কয়েকটি মাছ শরীরের জন্য ভালো বলে চিকিৎসকরা মনে করেন ।
ফল ও সবজি: ফল ও শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে । এসব সবজির মধ্যে সবুজ শাক যেমন পালং শাক, ব্রকলি ইত্যাদি খেতে হবে । একইভাবে বেরি, টমেটো এবং ক্যাপসিকামও খাওয়া যেতে পারে।
গোলমরিচ: এতে রয়েছে কারকিউমিন । পেপারমিন্ট একটি যৌগ যা প্রদাহ-বিরোধী প্রভাব রয়েছে । গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কারকিউমিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে অস্টিওআর্থারাইটিস রোগীদের জয়েন্টে ব্যথা এবং ফোলাভাব কমে যায় ।
আপনার ডায়েটে এই খাবারগুলি যোগ করার পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করাও গুরুত্বপূর্ণ । অতিরিক্ত ওজন জয়েন্টে অতিরিক্ত চাপ দেয়, যা হাঁটু জয়েন্টের ব্যথাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে । অন্যদিকে ব্যায়াম জয়েন্ট পেশী শক্তিশালী করতে এবং নমনীয়তা উন্নত করতে সাহায্য করে ।
আরও পড়ুন: বিশ্ব নারী দিবসে মহিলাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া কতটা জরুরি, জেনে নিন
(পরামর্শগুলি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে ৷ আপনার কোনও প্রশ্ন থাকলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন)