রায়গঞ্জ, 10 জুন : বিশেষজ্ঞদের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মাশরুম থেকে আচার, পাঁপড়, বড়ি সহ ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের নানা খাবারের জিনিস উৎপাদন করে সাফল্য পেয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার মাশরুম চাষিরা । মূলত গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর হয়ে ওঠার অন্যতম মাধ্যম হল এই মাশরুম চাষ । কিন্তু লকডাউনের জেরে উৎপাদিত মাশরুম বাজারে বিক্রি করতে না পারায় কিছুটা সমস্যার মুখে পড়েছেন তাঁরা । তাই তাঁরা মাশরুম দিয়ে তৈরি আচার, পাঁপড়, বড়ি প্যাকেটজাত করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন ৷
চোপড়ায় অবস্থিত উত্তর দিনাজপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের ধন্দুগছ মাশরুম কৃষি প্রদর্শনী ক্ষেত্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামের মহিলারা ৷ সেই প্রশিক্ষণের পর থেকে মাশরুম উৎপাদন করছেন তাঁরা ৷ এইসব মাশরুম চাষিদের মূল বাজারটাই নির্ভর করে শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, কার্শিয়াং ও পানিট্যাঙ্কিতে । কিন্তু সে সব জায়গায় লকডাউনের কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় তাঁদের উৎপাদিত মাশরুম বাইরের বাজারে বিক্রি করতে পারছেন না । এই অবস্থায় তাঁরা মাশরুম দিয়ে তৈরি করছেন আচার, পাঁপড় ও বড়ির মতো নানা স্বাদের খাদ্যসামগ্রী । যা বর্তমানে স্থানীয় বাজারগুলিতে বিক্রি করার পাশাপাশি লকডাউন উঠে গেলে বাইরের বাজারে রফতানি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : লাভজনক, তাই সূর্যমুখী চাষে ঝোঁক বাড়ছে বীরভূমের চাষিদের
উত্তর দিনাজপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ গবেষক অঞ্জলি শর্মা জানিয়েছেন, এলাকার অধিকাংশ মাশরুম চাষি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত । তাঁদের মধ্যে অনেকেই মাশরুম চাষ করে সংসার প্রতিপালন করে থাকেন । তাঁদের উৎপাদিত মাশরুম লকডাউনের কারণে বাইরের বাজারে বিক্রি করতে পারছেন না ৷ তাই সেই মাশরুম দিয়ে আচার, পাঁপড় ও বড়ি সহ নানান খাদ্যসামগ্রী তৈরি করছেন তাঁরা ৷ সেই মাশরুমের আইটেমগুলি প্যাকেটজাত করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে । লাভের মুখও দেখছেন চোপড়ার মহিলা মাশরুম চাষিরা ।