ETV Bharat / state

জেলার একমাত্র মহিলা শিল্পী, যার হাতে তৈরি হচ্ছে চিন্ময়ী মায়ের মৃন্ময়ী রূপ - জেলার একমাত্র মহিলা শিল্পী, যার হাতে তৈরি হচ্ছে চিন্ময়ী মায়ের মৃন্ময়ী রূপ

রায়গঞ্জের কাঞ্চনপুর কুমোরপাড়ার বাসিন্দা অর্পিতা । স্বামীর স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে এখন দুর্গা প্রতিমা গড়েন ।

মূর্তি গড়তে ব্যস্ত অর্পিতা পাল
author img

By

Published : Sep 28, 2019, 10:02 AM IST

Updated : Sep 28, 2019, 10:14 AM IST

রায়গঞ্জ, 28 সেপ্টেম্বর : স্বামীর স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে এখন দুর্গা প্রতিমা গড়েন । এখনও বিভিন্ন সিজ়নে মূর্তি গড়াই তাঁর পেশা । যদিও আজকাল শরীর খুব একটা সঙ্গ দেয় না ৷ তাই বেশি করে মূর্তিও গড়তে পারেন না তিনি । কিন্তু যে কটা তৈরি করেন, তা বিক্রি করে পেট চলে যায় মা-ছেলের ।

রায়গঞ্জের কাঞ্চনপুর কুমোরপাড়ার বাসিন্দা অর্পিতা । মৃৎশিল্পী হিসেবে তাঁর স্বামী গণেশ পালের খ্যাতি ছিল দুই দিনাজপুরেই । প্রায় 20 বছর ধরে বিভিন্ন বড় পুজো কমিটি থেকে বরাত পেতেন । শুধু দিনাজপুর নয় । মালদা থেকেও প্রতিমা গড়ার বায়না আসত । কিন্তু 2015 সালে মৃত্যু হয় তাঁর । কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে? এই ভেবেই দিনরাত এক হয়ে যেত অর্পিতাদেবীর । শেষে স্বামীর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে নিজেই মূর্তি গড়ার দায়িত্ব নেন । ছেলে কলকাতার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়রিং কলেজের পড়ুয়া । তাঁর পড়াশোনার খরচা চালাতেও এখন এই জীবিকাই সাহায্য করছে ।

হাতে আর মাত্র ক'টা দিন বাকি । তাই দিনরাত এক করে দশভূজার মূর্তি তৈরিতে এখন ব্যস্ত তিনি । কীভাবে শিখলেন মূর্তি তৈরির কাজ? অর্পিতাদেবী জানান, স্বামীর সঙ্গে থেকে কাজ একটু আধটু করতেন তিনি । আর এই কাজ কীভাবে পেশায় পরিণত হল? অর্পিতাদেবী বললেন, "আমি কয়েক বছর ধরেই প্রতিমা তৈরির কাজ করে আসছি । তবে স্বামীর মৃত্যুর পর বর্তমানে এটি আমার পেশায় পরিণত হয়েছে । আমার স্বামীর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতেই এই কাজ করে চলেছি । খুব বেশি লাভ না হলেও সংসার খরচ চালাতে এই পেশাই ভরসা । স্বামীর কাছেই আমার হাতে খড়ি । ওর থেকে শিখেছি মা দুর্গার চিন্ময়ী রূপকে মূর্তিতে পরিণত করতে । আপ্রাণ চেষ্টা করি যা অর্ডার পাই তা সময় মতো শেষ করতে । এই বছরও আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি ঠিক সময়ে সব কাজ শেষ করার ।"

রায়গঞ্জ, 28 সেপ্টেম্বর : স্বামীর স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে এখন দুর্গা প্রতিমা গড়েন । এখনও বিভিন্ন সিজ়নে মূর্তি গড়াই তাঁর পেশা । যদিও আজকাল শরীর খুব একটা সঙ্গ দেয় না ৷ তাই বেশি করে মূর্তিও গড়তে পারেন না তিনি । কিন্তু যে কটা তৈরি করেন, তা বিক্রি করে পেট চলে যায় মা-ছেলের ।

রায়গঞ্জের কাঞ্চনপুর কুমোরপাড়ার বাসিন্দা অর্পিতা । মৃৎশিল্পী হিসেবে তাঁর স্বামী গণেশ পালের খ্যাতি ছিল দুই দিনাজপুরেই । প্রায় 20 বছর ধরে বিভিন্ন বড় পুজো কমিটি থেকে বরাত পেতেন । শুধু দিনাজপুর নয় । মালদা থেকেও প্রতিমা গড়ার বায়না আসত । কিন্তু 2015 সালে মৃত্যু হয় তাঁর । কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে? এই ভেবেই দিনরাত এক হয়ে যেত অর্পিতাদেবীর । শেষে স্বামীর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে নিজেই মূর্তি গড়ার দায়িত্ব নেন । ছেলে কলকাতার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়রিং কলেজের পড়ুয়া । তাঁর পড়াশোনার খরচা চালাতেও এখন এই জীবিকাই সাহায্য করছে ।

হাতে আর মাত্র ক'টা দিন বাকি । তাই দিনরাত এক করে দশভূজার মূর্তি তৈরিতে এখন ব্যস্ত তিনি । কীভাবে শিখলেন মূর্তি তৈরির কাজ? অর্পিতাদেবী জানান, স্বামীর সঙ্গে থেকে কাজ একটু আধটু করতেন তিনি । আর এই কাজ কীভাবে পেশায় পরিণত হল? অর্পিতাদেবী বললেন, "আমি কয়েক বছর ধরেই প্রতিমা তৈরির কাজ করে আসছি । তবে স্বামীর মৃত্যুর পর বর্তমানে এটি আমার পেশায় পরিণত হয়েছে । আমার স্বামীর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতেই এই কাজ করে চলেছি । খুব বেশি লাভ না হলেও সংসার খরচ চালাতে এই পেশাই ভরসা । স্বামীর কাছেই আমার হাতে খড়ি । ওর থেকে শিখেছি মা দুর্গার চিন্ময়ী রূপকে মূর্তিতে পরিণত করতে । আপ্রাণ চেষ্টা করি যা অর্ডার পাই তা সময় মতো শেষ করতে । এই বছরও আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করছি ঠিক সময়ে সব কাজ শেষ করার ।"

Intro:রায়গঞ্জ,23 সেপ্টেম্বর:- স্বামীর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এখনো নিজের হাতেই দুর্গা প্রতিমা গড়তে দেখা যায় উত্তর দিনাজপুরে একমাত্র মহিলা। শিল্পী অর্পিতা পাল কে দীর্ঘ 4 বছর আগে পৃথিবী ছেড়ে তার স্বামী পরলোক গমন করেছেন। স্বামীর স্মৃতি এবং ছেলের পড়াশোনার খরচ তাই দশভূজার মূর্তি গড়াই নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন একদা গৃহবধূ ।অর্পিতা দেবী হাতে গড়া নয়টি দুর্গা প্রতিমা এবারে জায়গা করে নেবে রায়গঞ্জ কালিয়াগঞ্জসহ উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে। যদিও শুধুমাত্র দুর্গা প্রতিমা গড়াই সারাবছর বিভিন্ন পুজোর সময় মূর্তি গড়া তার কাজ হিসেবে ধরে নিয়েছেন অর্পিতা দেবী।

প্রতিমা তৈরীর কাজে রায়গঞ্জে কাঞ্চনপুরের কুমোর পাড়ার বাসিন্দা অর্পিতা দেবীর স্বামী গণেশ পালই খ্যাতি ছিল দুই দিনাজপুর জুড়ে ।শুধু রায়গঞ্জ ইসলামপুর বালুরঘাট গঙ্গারামপুর কালিয়াগঞ্জ মালদা জেলার বহু দূর-দূরান্ত থেকে মূর্তি গড়ার ডাক আসতো। প্রায় কুড়ি বছর আগে নিজের বাড়িতেই এরপর মূর্তি গড়ার কারখানা তৈরি করেন গণেশ বাবু। 2015 সালে তার মৃত্যু হয় তবে গণেশ বাবুর অবর্তমানে তার কারখানা হাল ধরেছেন তার স্ত্রী অর্পিতা পাল ।স্বামীর কাছে হাতে খড়ি তার। পূর্ব স্মৃতি মনে পড়ে অর্পিতা দেবীর 1994 সালে বিয়ে হয়েছিল তার। বাপের বাড়ি রায়গঞ্জ পালপাড়া হলেও স্বামীর ঘরে এসেই প্রতিমা তৈরীর সাথে যুক্ত হন অর্পিতা দেবী। তাদের একমাত্র ছেলে কলকাতার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ছে। কিন্তু ছেলের এই প্রত্যাশায় তেমন আগ্রহ নেই তবে নিজেকে জীবনযুদ্ধের টিকিয়ে রাখতে আর্থিক সংকট সত্ত্বেও স্বামীর স্মৃতি কে আগলে রেখেছেন অর্পিতা দেবী। আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন বাকি তাই দিনরাত এক করে দেবী দশভুজার মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত তিনি। বৈশাখ মাসে দুর্গা প্রতিমা তৈরীর কাজ শুরু করেন 47 বছর বয়সী অর্পিতা দেবী। নিজের শারীরিক অবস্থা ভালো নয় বলেও এবারে শুধু মাত্র তিনটি ছোট প্রতিমা তৈরি করছেন তিনি। তবে স্বামীর সাথে ধরে রাখতে এভাবে স্ত্রীর এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই রায়গঞ্জের বাসিন্দারা।

অর্পিতা দেবী বলেন আমি কয়েক বছর ধরেই প্রতিমা তৈরীর কাজ করে আসছি। তবে স্বামীর মৃত্যুর পর বর্তমানে এটি আমার পেশায় পরিণত হয়েছে। আমার স্বামীর স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতেই এই কারখানা চালাচ্ছি। খুব বেশি লাভ না হলেও আমি আমার ছেলে এবং সংসার খরচ চালাতে এই পেশায় রয়েছি। স্বামীর কাছেই আমার হাতে খড়ি ।স্বামীর থেকে শিখেছি মা দুর্গার চিন্ময়ী রূপকে প্রতিমাতে পরিনত করতে। আপ্রাণ চেষ্টা করি এ বছরও আমার কাছে মোটেই প্রতিমা গড়ার অর্ডার এসেছে আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করে সেই প্রতিমাগুলোকে প্রাণ দেওয়ার চেষ্টা করছি।


Body:হাফ


Conclusion:জব
Last Updated : Sep 28, 2019, 10:14 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.