রায়গঞ্জ, 10 জুলাই: নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীন খুন হন একই পরিবারের দুই সদস্য ৷ এর মধ্যে একটি খুনে অভিযুক্ত হওয়ায় পলাতক ওই পরিবারেরই এক সদস্য ৷ দুটি খুনের পর কেটে গিয়েছে 48 ঘণ্টা ৷ অভিযুক্তদের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি ৷ আর এই জোড়া খুন ঘিরে এখনও থমথমে গোয়ালপোখর 2 নম্বর ব্লকের সাহাপুর নয়াহাট এলাকা ৷ দুটি খুনেরই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার ৷ নয়াহাটের 33 নম্বর বুথে ভোট গ্রহণ চলছিল ৷ ঠিক সেই সময় বুথ থেকে 500 মিটার দূরে হঠাৎই বোমাবাজির ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ৷ সেই আওয়াজ শুনেই ঘটনাস্থালে যেতেই স্থাানীয়রা দেখেন তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছে ৷ তখনই তৃণমূল কর্মী সামসুল হককে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে তাঁরই ভাইপো মহমম্দ দানিসের বিরুদ্ধে ৷
অভিযুক্ত মহমম্দ দানিসের এলাকায় কংগ্রেস কর্মী হিসেবে পরিচিত ৷ ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মীর ৷ ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত ৷ এদিকে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা এলাকায় চাউর হতেই দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে উত্তজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় ৷ যার প্রভাব পড়ে 33 নম্বর বুথে ৷ পালটা কংগ্রেস কর্মী জামারুদ্দিনকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৷ মৃত জামারুদ্দিন অভিযুক্ত মহমম্দ দানিসের বাবা ৷
আরও পডু়ন: পুনর্নির্বাচন শুরু হতেই উত্তপ্ত ডোমজুড়, কাঠগড়ায় তৃণমূল
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় চাকুলিয়া থানার পুলিশ বাহিনী । মৃতদেহ দুটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয় । ঘটনার পর থেকেই এলাকার পরিবেশ থমথমে । এই অশান্তি প্রসঙ্গেই সামসুল হকের ভাইপো সামসাদ আলম জানিয়েছেন, স্থানীয় বিভিও’কে আগে থেকে বলাছিল বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে । কিন্তু এই বুথে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না । ছিল মাত্র দু’জন পুলিশ । অন্যদিকে, চাকুলিয়া ব্লক কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ মুস্তাফা বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের যে অভিযোগ করেছে পুরোটা ভিত্তিহীন । উলটে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরাই বিভিন্ন জায়গায় ঝামেলা করেছে । আগামিদিনে মানুষ তার জবাব দেবে ৷"