রায়গঞ্জ, 18 মার্চ : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি 'বাংলার গর্ব মমতা'-র মাধ্যমে বাংলার মনীষীদের অপমান করা হচ্ছে ৷ এমনই মনে করছে উত্তর দিনাজপুর জেলা BJP ৷ গতকাল সাংবাদিক সম্মেলন করে বললেন, রায়গঞ্জ BJP উত্তর মণ্ডলের সভাপতি অভিজিৎ যোশী ৷ তাঁর বক্তব্য, স্বঘোষিত বাংলার গর্ব হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ যা কোনওভাবেই ঠিক নয় ৷ এতে চূড়ান্ত অপমানের শিকার হচ্ছেন বাংলার মনীষীরা ৷ তিনি জানান, আজ এই কর্মসূচির বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলন করবেন তাঁরা ৷
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় একটি কর্মসূচির উদ্বোধন করেন । যার নাম দেওয়া হয়েছে 'বাংলার গর্ব মমতা' । প্রতিটি জেলা ব্লক স্তরের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বিধায়ক সাংসদরা এই কর্মসূচি পালন করছেন । যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মানুষের উপকারের জন্য কী কী কর্মসূচি নিয়েছেন তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হবে । কোন কোন কর্মসূচি জনদরদি তা জানাতে কোনও কসুর বাকি রাখছেন না তারা । রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো একই ভাবে উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই কর্মসূচি পালন করছেন জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতা বিধায়করা । বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এই কর্মসূচির খবর উঠে আসছে । এর বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে জেলা BJP ৷ তাদের মত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে স্বঘোষিত বাংলার গর্ব হিসেবে সবার সামনে উপস্থাপিত করতে চাইছেন । যা কোনওভাবেই ঠিক নয় । এতে বাংলার বিভিন্ন ক্ষেত্রের মনীষীদের সম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে ।
এর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রায়গঞ্জের BJP দলীয় কার্যালয় সাংবাদিক সম্মেলন করেন রায়গঞ্জ উত্তর শহর মণ্ডল কমিটি । কার্যালয়ের ভেতরে চারিদিকে বিভিন্ন মনীষীর ছবি দিয়ে বাংলার গর্ব হিসেবে তাদের তুলে ধরেন নেতাকর্মীরা । তারপর সাংবাদিক সম্মেলনে এই সকল মনীষীদের অপমান করা হচ্ছে বলে দাবি করেন রায়গঞ্জ উত্তর শহর মণ্ডলীর সভাপতি অভিজিত যোশী ৷ তিনি বলেন, "সম্প্রতি আমরা বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় পোস্টার দেখছি । সংবাদপত্র এবং টেলিভিশনে একটি নতুন ধরনের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি দেখতে পাচ্ছি । যেখানে বলা হচ্ছে বাংলার গর্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । স্বঘোষিত বাংলার গর্ব কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি আদতে বাংলার মনীষীদের অপমান করছেন । মুখ্যমন্ত্রী চিটফান্ডের কর্তা, ছাত্র খুনের নেপথ্যে আছেন তিনি । ছাপ্পা ভোটের নেত্রীও তিনি । তাহলে তিনি কীভাবে বাংলার গর্ব হচ্ছেন? বিভিন্ন মনীষীদের ভারত তথা বাংলার প্রতি যে ত্যাগ সে বিষয়টিকে ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে বলেই আমরা মনে করছি । এমন কর্মসূচির বিপক্ষেই আমরা রয়েছি । "