রায়গঞ্জ, 30 মে: উত্তর দিনাজপুর জেলায় কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। আর এই আতঙ্কের জেরেই রায়গঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রোগী ভরতির সংখ্যা অনেক কমে গেছে। যদিও এখানে কোরোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হচ্ছে না। এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে 500টি বেড থাকলেও, 100জন রোগীও বর্তমানে ভরতি নেই। ফলে, একপ্রকার বসেই রয়েছেন হাসপাতালের ইমার্জেন্সি থেকে বিভিন্ন ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসক থেকে নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
কোরোনা আতঙ্কের কারণে রোগীরা গুরুতর সমস্যা না হলে হাসপাতালে ভরতি হতে চাইছেন না বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও গ্রামে গ্রামে কোরোনা নিয়ে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে প্রচার চালাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। প্রতিবছর এই সময়ে রায়গঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বেডের থেকে রোগীর সংখ্যা বেশি থাকে। এমনকী অনেক রোগীর বেডও মেলে না। মেঝেতে থেকেই চিকিৎসা করাতে রাজি হন তাঁরা। তবে এবারের পরিস্থিতিটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
কোরোনা আবহে অনেক রোগীই ভরতি হতে চাইছেন না রায়গঞ্জ হাসপাতালে। হাসপাতালের প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডের সিংহভাগ শয্যাই ফাঁকা পড়ে রয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী থেকে চিকিৎসক সকলেই রয়েছেন। কিন্তু রোগী প্রায় নেই বললেই চলে। বিশেষ করে যেদিন থেকে উত্তর দিনাজপুর জেলায় ভিনরাজ্য ফেরত শ্রমিকরা ঢুকতে শুরু করেছেন সেদিন থেকেই অস্বাভাবিকহারে এই হাসপাতালে রোগী ভরতির সংখ্যা কমে গেছে। যদিও রায়গঞ্জ হাসপাতালে কোনও কোরোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করা হচ্ছে না। কোরোনার জন্য আলাদা হাসপাতাল রয়েছে। তবুও হাসপাতালে ভরতি হলেই কোরোনায় সংক্রমিত হতে পারেন, এই আতঙ্ক গ্রাস করেছে সাধারণ মানুষকে। হাসপাতালের সারি সারি বেড এখন ফাঁকা। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মী সকলেরই একই কথা, "কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে রোগীরা হাসপাতালে ভরতি হতে চাইছেন না।"
তবে রায়গঞ্জ হাসপাতালে যে কোরোনার কোনও আশঙ্কা নেই তা নিশ্চিত করে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।