রায়গঞ্জ, 13 নভেম্বর : রায়গঞ্জ মুখ্য ডাকঘরের গাফিলতির কারণে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে পারলেন না এক চাকরিপ্রার্থী ৷ ইন্টারভিউয়ের দু’দিন পর হাতে পেলেন কল লেটার ৷ রায়গঞ্জের মোহনবাটির বাসিন্দা অর্ক দাসকে এই হয়রানির শিকার হতে হয়েছে । ইতিমধ্যেই তিনি রায়গঞ্জ মুখ্য ডাকঘরের পোস্ট মাস্টারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । এছাড়াও আগামীতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন । তবে ডাকঘরের চিঠি পৌঁছানোর পরিষেবার ক্ষেত্রে যে সমস্যা রয়েছে তা মেনে নিয়েছেন স্বয়ং পোস্টমাস্টার ।
অর্কবাবুর অভিযোগ, তিনি 2019 সালের 1 ডিসেম্বর ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কোঅপারেটিভ সার্ভিস কমিশনের লিখিত পরীক্ষায় বসেছিলেন । তিনি সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন । এরপর ইন্টারভিউ কবে হবে সেই অপেক্ষাতেই ছিলেন । 12 নভেম্বর তাঁর বাড়িতে ইন্টারভিউ কল লেটার এসে পৌঁছায় । চিঠি হাতে পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের বাকি সদস্যদের মতো তিনিও খুশি হয়েছিলেন । তবে চিঠি খুলে রীতিমতো মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার পরিস্থিতি হয় তাঁর । 10 নভেম্বর ছিল এই পরীক্ষার ইন্টারভিউ দিন ৷ অর্থাৎ কল লেটার হাতে পাওয়ার দুদিন আগেই মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে ।
অর্কবাবু দাবি করেছেন কলকাতা থেকে 8 অক্টোবর স্পিড পোস্টের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো হলেও তা পৌঁছেছে 12 নভেম্বর । অর্থাৎ স্পিড পোস্ট এর মাধ্যমে চিঠি একমাস চারদিন পর তাঁর বাড়িতে এসে পৌঁছায় । এরপর শুক্রবার সকালে তিনি সরাসরি একটি অভিযোগ পত্র লিখে পোস্ট মাস্টারের দ্বারস্থ হন । যা দেখে রীতিমতো আফসোস প্রকাশ করেন পোস্টমাস্টার । এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিশ্চয়ই জানাবেন বলেও দাবি করেন তিনি । পাশাপাশি পোস্ট অফিসে পিয়নের ঘাটতি রয়েছে বলেও তিনি জানান ৷
অর্কবাবু বলেন, ‘‘ ইন্টারভিউ যে দিন ছিল তার দু’দিন পরে আমার হাতে এসে চিঠি পৌঁছেছে । যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না । এমন পরিষেবা দিলে ডাকঘর রাখার কী মনে হয় ? আমি ডাকঘর এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কো-অপারেটিভ সার্ভিস কমিটির বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ করার কথা কথা ভাবছি ।’’
এই বিষয়ে রায়গঞ্জ মুখ্য ডাকঘরের পোস্টমাস্টার রতন কৃষ্ণ রায় বলেন, ‘‘ আমাদের ডাকঘরে 13টি চিঠি বিলির বিট থাকলেও মাত্র আটজন পিয়ন রয়েছেন । যার ফলে আমরা চিঠির পর চিঠি জমা হয়ে গেলেও তা সঠিক সময়ে দিতে পারছি না । বিষয়টি নিয়ে বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি । যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ৷’’