রায়গঞ্জ, 30 অক্টোবর: মালবাজারের দুর্ঘটনা ও রায়গঞ্জের পুজো কার্নিভালে বলদের গুঁতোয় এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার পর ছটপুজোতে বাড়তি সতর্কতা জেলা পুলিশের । রবিবার রায়গঞ্জের কুলিক ঘাট পরিদর্শনে যান পুলিশ সুপার (Police Superintendent of Raiganj) সানা আখতার । সঙ্গে ছিলেন রায়গঞ্জ পৌরসভার পৌর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস-সহ জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা । সানা আখতার বলেন, "এটি একটি রুটিন ভিজিট । রবি ও সোমবার ছটপুজো । যাকে ঘিরে মেতে উঠেছেন সাধারণ মানুষজন ।"
একই ছবি রায়গঞ্জ শহরেও । ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জের কুলিক নদীর ঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন পুণ্যার্থীরা । ঘাটের পাড়ে উৎসবের আবহ । তবে সম্প্রতি দুর্গাপুজোর দশমীতে মালবাজারে হড়পাবান-কাণ্ডে একাধিক প্রাণহানি ঘটেছে । সেই ঘটনার জেরে এ বছরে ছটপুজোয় রায়গঞ্জ শহরে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে পুলিশ-প্রশাসন ও পৌরসভা । ইতিমধ্যে রবিবার সকালে রায়গঞ্জ শহরের কুলিক নদীর খরমুজা ঘাট পরিদর্শনে আসেন রায়গঞ্জ পুলিশজেলার পুলিশ সুপার সানা আখতার । উপস্থিত ছিলেন পৌর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস, প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য সাধন বর্মণ । ঘাটের পরিকাঠামো ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন পুলিশ সুপার ।
প্রসঙ্গত, করোনা পরবর্তী চলতি বছরে পুণ্যার্থীর সংখ্যা বেড়েছে । তাই কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এ বছরে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে । নদীর ঘাটে-ঘাটে মোতায়েন থাকছে অতিরিক্ত পৌরকর্মী । থাকছে সিভিল ডিফেন্সের দল । স্পিড বোটের মাধ্যমে জলপথে চলবে তল্লাশি । প্রস্তত থাকছে স্বাস্থ্য, দমকল ও বিদ্যুৎ কর্মীরা ।
আরও পড়ুন: উন্মুক্ত সীমান্তে ছটপুজো, ধরলা নদীতে নিরাপত্তার ঘেরাটোপ
পুলিশ সুপার সানা আখতার বলেন, "নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট জোরদার রয়েছে । সুষ্ঠভাবে ছটপুজো সম্পন্ন করতে বদ্ধ পরিকর পুলিশ-প্রশাসন ও পৌরসভা ।"