রায়গঞ্জ, 22 মার্চ: নির্যাতিত কিশোরীর হয়ে গ্রামবাসীরা রায়গঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিল। তার পালটা অভিযুক্ত যুবকের বাবা ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগকে গুরুত্ব না দিয়ে অপহরণের অভিযোগে ধর্ষিতার বাবাকেই উলটে গ্রেপ্তার করতে আসে। ঘটনাটি রায়গঞ্জ থানার ভিটিয়ার গ্রামের। পুলিশ ধর্ষিতার বাবাকে গ্রেপ্তার করতে এলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চালায়।
17 মার্চ রায়গঞ্জের ভিটিয়ার গ্রামের মহম্মদ রাজধানি শেখ নামে এক যুবক গ্রামেরই এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ওই যুবককে গ্রেপ্তার না করে কিশোরীর বাবাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করতে আসে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। পুলিশের এই ভূমিকায় গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার IC সুরজ থাপার নেতৃত্বে আরও পুলিশ ঘটনাস্থানে পৌঁছায়।
রাসিদুল আলি নামে এক গ্রামবাসী বলেন, "থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে আমাদের দেড় থেকে দু'ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। থানা থেকে বলা হয়, কিশোরীর সঙ্গে ওই যুবকের প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যে। এটা একটা সাজানো ঘটনা। কিশোরীর বাবা এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না। তিনি মুম্বইতে ছিলেন। আজই গ্রামে ফিরে আসেন। পুলিশ এসে কিশোরীর বাবাকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। তাই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছে।"