রায়গঞ্জ, 5 এপ্রিল : কোরোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে চলা লকডাউনের ফলে ঝিমিয়ে পড়েছিলেন রায়গঞ্জের মৃৎশিল্পীরা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি ঘোষণায় তাঁদের ব্যস্ততা ওঠে তুঙ্গে। আজ রাত নটায় প্রদীপ জ্বালিয়ে কোরোনা মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ সংকল্পের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এর জেরেই চাহিদা বেড়েছে মাটির প্রদীপের। লকডাউনের এই অসহায় মুহূর্তে সাময়িক হলেও বাড়তি কিছু পয়সার মুখ দেখছেন মৃৎশিল্পীরা। স্বাভাবিকভাবেই কাজ হারানো মানুষগুলোর মুখে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা পরিতৃপ্তির হাসি ফিরিয়ে এনেছে।"
রায়গঞ্জ শহরের কাঞ্চনপল্লি, সুভাষগঞ্জ সহ অন্যান্য কিছু জায়গায় মাটির হাঁড়ি, কলসি, গ্লাস, প্রদীপ, গৃহসজ্জার সামগ্রী বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন মৃৎশিল্পীরা। কিন্তু দেশজুড়ে চলা লকডাউনের জেরে মাটির জিনিসের বিক্রি প্রায় তলানিতে এসে ঠেকে। অর্থের অভাবে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল মৃৎশিল্পীদের। কিন্তু সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোরোনা মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ সংকল্প গ্রহণের জন্য আজ রাতে প্রদীপ জ্বালানোর আবেদন করেন সাধারণ মানুষের কাছে। এই ঘোষণা এক লহমায় বদলে দিয়েছে মৃৎশিল্পীপাড়ার ছবিটা।
গত দু'দিন ধরে মাটির প্রদীপের চাহিদা তুঙ্গে। মৃৎশিল্পীরা বলছেন, "অনেকেই বাড়িতে এসে প্রদীপের অর্ডার দিয়ে গিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই প্রদীপ বিক্রি অনেক বেড়ে গিয়েছে। এই অসময়ে কিছু পয়সা পেলে পরিস্থিতির কিছুটা সামাল দেওয়া যাবে।"