কালিয়াগঞ্জ, 2 মে: নাবালিকার মৃত্যুর পরেই উত্তপ্ত কালিয়াগঞ্জ ৷ দফায় দফায় চলছে উত্তেজনা ৷ ভাঙচুর হয়েছে কালিয়াগঞ্জ থানা, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল থানা সংলগ্ন এলাকায়, পুলিশের উপরও চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা । এই সমস্ত ঘটনার মধ্যেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর এলাকার যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের । তারপর থেকে চলছে পুলিশি অভিযান ৷ যেকোনও মুহূর্তে পুলিশ বাড়িতে এসে তুলে নিয়ে যেতে পারে ৷ সেই আতঙ্কে মাঠে, ফসলের ক্ষেতে রাত কাটছে গ্রামবাসীদের । বর্তমানে এইরকমই অবস্থা কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা, রঘুনাথপুর, রাইপুর, মনোহরপুর এলাকার বাসিন্দাদের ।
বিগত 10 দিন ধরে এইরকমই পরিস্থিতি রঘুনাথপুর এলাকায় ৷ গ্রামবাসীদের দাবি, কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটায় নাবালিকার মৃত্যুতে যে বিক্ষোভ হয়েছিল সেখানে তাঁরা ছিলেন না ৷ এমনকী থানা ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনাতেও তাঁরা ছিলেন না ৷ তারপরেও প্রায়ই গ্রামে আসছে পুলিশ ৷ গ্রামবাসীদের ভয় দেখাচ্ছে । যার ফলে তাঁরা আতঙ্কিত । বিশেষ করে রাধিকাপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট ফুটে উঠেছে গ্রামবাসীদের মুখে । কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায় গ্রামবাসীদের নির্ভয়ে গ্রামে থাকতে বললেও তাতে আশ্বস্ত হতে পারছেন না গ্রামবাসীরা ।
অন্যদিকে, নাবালিকার মৃত্যুর পর গ্রামে বসানো হয়েছে পুলিশ পাহারা । বাড়ির কাছেই সমাধিস্ত করা হয়েছে নাবালিকাকে । পুলিশের সঙ্গে নাবালিকার গ্রামের মানুষদের কথাবার্তাও হলেও, সর্বত্র চাপা আতঙ্ক ৷ আর আতঙ্ক কাটিয়ে গ্রামবাসীরা চাইছেন আবারও পুরনো ছন্দে ফিরুক গ্রাম ৷ স্বাভাবিক হোক জন-জীবন ।
আরও পড়ুন: রাজ্যে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন, আজই কালিয়াগঞ্জে যাচ্ছে প্রতিনিধি দল
অপরদিকে পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী । এই প্রঙ্গেই তিনি বলেন, "সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের জেরে উত্তপ্ত হয়েছিলো কালিয়াগঞ্জ ৷ তবে পুলিশ যা করছে তা ঠিক করছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি ৷" অন্যদিকে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল জানিয়েছেন, আমি পুলিশের সঙ্গে কথা বলব যাতে নিরীহ গ্রামবাসীদের যেন পুলিশ না ধরে । পাশাপাশি গ্রামবাসীরা যাতে আতঙ্কিত না থাকে সে বিষয়েও নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি ৷