রায়গঞ্জ, 6 সেপ্টেম্বর: 18 মাসের শিশুর শরীরে 16 দিন ধরে বিঁধে রইল সূচ । রায়গঞ্জের মহারাজা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছে ওই শিশুর পরিবার । তাকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানে সূচটি বের করা হয়৷ এখন সুস্থ রয়েছে ওই শিশু ।
21 অগাস্ট রায়গঞ্জ ব্লকের উত্তর রামপুরের বাসিন্দা অনুপা রায় তাঁর দেড় বছরের ছেলেকে মহারাজা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন দিতে নিয়ে যান ৷ সেদিন বিকেল থেকেই শিশুর পা ফুলে যন্ত্রণা হতে থাকে । এরপর অনুপাদেবী আশা কর্মীদের বিষয়টি জানালে তাঁরা বলেন, ভ্যাকসিন দিলে ব্যথা হয় । তবে কয়েকদিন কেটে গেলেও শিশুর পায়ের ব্যথা কমেনি৷
গতকাল অনুপাদেবী বুঝতে পারেন, তাঁর ছেলের পায়ে কিছু বিঁধে রয়েছে ৷ সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় ৷ আজ রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিশু চিকিৎসক বলেন, শিশুর পায়ে সিরিঞ্জের সূঁচ বিঁধে রয়েছে। এরপর পা থেকে সূঁচটিকে বের করেন চিকিৎসক ।
এরপর মহারাজা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান শিশুর পরিবারের সদস্যরা । তাঁদের দাবি, যে স্বাস্থ্যকর্মীর গাফিলতির জন্য এই ঘটনা ঘটেছে তার যথাযথ শাস্তি হোক । অন্যদিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সহকারী মেডিকেল অফিসার ফণিভূষন রায় জানান, ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় নিডল ভেঙে পায়ে বিঁধে থাকার অভিযোগ তিনি শুনেছেন ৷ তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবেন ।