রায়গঞ্জ, 28 মে : উত্তর দিনাজপুরে চালু হয়েছে সরকারি বাস পরিষেবা । টানা দু'মাস লকডাউনের জেরে বন্ধ থাকার পর গতকাল থেকে এই বাস পরিষেবা চালু হয় । কোরোনা সংক্রমণ রোধে এখনও জারি রয়েছে লকডাউন । কিন্তু বেশ কিছু নির্দেশিকাসহ সরকারি বাস পরিষেবা চালুর অনুমতি মিলেছে প্রশাসনের তরফে । তবে এই অবস্থায় বাসের চালকদের সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না একেবারেই । সংক্রমণ রুখতে তৎপর জেলা পরিবহন দপ্তর । গতকাল বাস চালু হওয়ার প্রথম দিনেই দেখা গেল চালকদের সিটের পিছনের অংশ দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁদের সংস্পর্শে সরাসরি কেউ না আসতে পারে । এছাড়াও সিটের পিছনের অংশ প্লাস্টিকের পর্দা দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে । এই ব্যবস্থায় কিছুটা হলেও কোরোনা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বাস চালকরা ।
সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার সরকারি বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় । চালক কন্ডাক্টরদের জন্য PPE কিট ও রেনকোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে । উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার তরফে কোরোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় আরও একটি নতুন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে । চালকের সিটের পিছনে তথা বাস যাত্রীদের সিট শুরুর মাঝের জায়গাটিতে প্লাস্টিকের পর্দা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । উদ্দেশ্য, সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় ।
সম্রাট রায় চৌধুরি নামে এক চালক জানিয়েছেন, "বাসে যাত্রীরা উঠবেন । কিন্তু কোন যাত্রীর কী রোগ আছে তা জানি না । তাই যাত্রীরা আমাদের সিটের দিকে যাতে না চলে আসেন তার জন্যই এই পর্দা লাগানো হয়েছে । নিজেদের যথাসম্ভব সুরক্ষিত রাখতেই এই ব্যবস্থা ।"
অন্যদিকে সুকুমার দাস নামে অন্য এক চালক জানিয়েছেন, "চালকদের সুরক্ষিত রাখার জন্য উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার পক্ষ থেকে এই প্লাস্টিকের পর্দা লাগানো হয়েছে । পাশাপাশি যাত্রীরা যাতে চালকের পাশে এসে না দাঁড়ান বা চালকের পাশের সিটে না বসতে পারেন তার জন্যই এগুলি লাগানো হয়েছে।"
অপরদিকে ড্রাইভার সংগঠনের সম্পাদক কৌশিক দে জানিয়েছেন, "বাসে যাত্রী ও চালকের মধ্যে যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে তার জন্যই এই প্লাস্টিকের পর্দা ও দড়ির ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।" তবে এই বিষয় কোনও মন্তব্য করেননি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার রায়গঞ্জ ডিপো ইনচার্জ সুবীর সাহা। তাঁকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, "আমি এই বিষয় কিছুই বলতে পারব না।"