রায়গঞ্জ, ২৩ মার্চ : পুলিশের টহলদারির জন্য বালির ট্রাক থেকে তোলা আদায়ে বাধা পড়তো। তাই পুলিশকে চমকাতে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার। আর তাতেই খতম কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল। গত ৭ মার্চ রাতে চোপড়ার কালাগছে পুলিশ কনস্টেবল খুনের মামলায় গ্রেপ্তার দুই দুষ্কৃতীকে জেরা করে এই তথ্যই হাতে পেয়েছে তদন্তকারী অফিসাররা। ঘটনার ১৬ দিনের মাথায় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে দুই দুষ্কৃতীকে। তাদের নাম শ্রীবাস মণ্ডল ও সাধন মণ্ডল। দুজনেরই বাড়ি চোপড়া থানা এলাকায়। আজ তাদের ইসলামপুর আদালতে তোলা হবে।
৭ মার্চ গভীর রাতে চোপড়া থানার কালাগছ এলাকায় টহল দেওয়ার সময়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন কনস্টেবল মহ: সাবির আলম। এরপরই পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ঘটনার তদন্তে নামে। বিভিন্ন সূত্র মারফৎ তারা খবর পায় বালির গাড়ি থেকে টাকা তোলার একটি চক্র সেখানে সক্রিয়। এই সূত্রকে কাজে লাগিয়েই আততায়ীদের নাগাল পায় পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই শ্রীবাস বিহারের পূর্ণিয়ায় গা ঢাকা দিয়েছিল। যদিও এলাকা ছাড়েনি সাধন। তাকে জেরা করে নানা কৌশলে শ্রীবাসকে চোপড়ায় ডেকে অবশেষে দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের জেরা করে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে একটি ওয়ান শটার থেকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছিল কনস্টেবলকে। যদিও দুষ্কৃতীদের দাবি, খুনের উদ্দেশ্যে নয়, ভয় দেখানোর জন্য গুলি চালানো হয়েছিল। খুনের জন্য ব্যবহৃত অস্ত্রটি এখনও খুঁজে পায়নি পুলিশ।
উত্তর দিনাজপুর পুলিশ সুপার সুমিত কুমার গতকাল বলেন, "আমরা কনস্টেবল হত্যা মামলায় দুই দুষ্কৃতীকে আজ গ্রেপ্তার করেছি। তোলাবাজিতে বাধা পেয়েই তারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করা হয়েছে।