রায়গঞ্জ, 23 নভেম্বর : গোয়ালপোখরের একদল যুবকের হাত ধরে এবার বাংলায় অসমের মেখলা । উত্তর দিনাজপুরের পিছিয়ে পড়া এলাকা গোয়ালপোখরে তৈরি হচ্ছে অসমের ঐতিহ্যবাহী মেখলার শাড়ি, চাদর ও গামছা । ইতিমধ্যেই গোয়ালপোখর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর মেখলা ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে । সেই সকল ফ্যাক্টরিতে তৈরি মেখলাগুলির চাহিদা বাড়ছে । রপ্তানি হচ্ছে খোদ অসমে । রাজ্যের বাইরে এমনকি দেশের বাইরেও এর চাহিদা বাড়ছে ।
উত্তর দিনাজপুরের পিছিয়ে পড়া গ্রাম গোয়ালপোখর । সীমান্তবর্তী এলাকা । এখানকার যুবকরা অনেকেই কাজের সন্ধানে রাজ্যের বাইরে বা দেশের বাইরে পাড়ি দেন । তাদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনতেই একদল যুবক নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করেছে মেখলা ফ্যাক্টরিগুলি । এক সময় গুজরাতের সুরাট,অসম সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মেখলার কাজ করতে গেছিলেন মহম্মদ বসির, মহম্মদ রশিদরা । সেখান থেকে কাজ শিখে রাজ্যে ফিরে শুরু করেন মেখলা বানানো । ভিন রাজ্য থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন বাকি যুবকদের । এখন সপ্তাহে 200 থেকে 300 পিস মেখলা তৈরি করেন তাঁরা । তৈরি করতে 600 থেকে 700 টাকা খরচ হয় । যা বিক্রি করে লাভ ভালোই হয় বলে জানান তাঁরা ।
মহম্মদ রশিদ বলেন, "একসময় গুজরাতের সুরাট, অসম সহ বিভিন্ন জায়গায় মেখলা তৈরি শিখেছি । সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই বর্তমানে আমরা নিজের এলাকাতে ফ্যাক্টরি তৈরি করেছি । এলাকায় ইতিমধ্যেই পাঁচ থেকে সাতটা ফ্যাক্টরি তৈরি হয়েছে । যেখানে প্রায় এক থেকে দেড়শো লোক কাজ করে ।
সাহায্যের আশ্বাস মিলেছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ৷ BDO অতনু ঘোষ বলেন, "আমাদের এলাকায় নিজেদের উদ্যোগেই মেখলা তৈরির কারখানা তৈরি করে ফেলেছেন এলাকার কিছু যুবক । যাদের উদ্যোগে এলাকা থেকে বাইরে চলে যাওয়া যুবকরা ফের ঘরমুখো হচ্ছেন । এটা অত্যন্ত আনন্দের ব্যাপার । সরকারি তরফে কোনও সাহায্য প্রয়োজন হলে আমরা অবশ্যই সাহায্য করব ।"