ETV Bharat / state

গোয়ালপোখরের যুবকদের হাত ধরে মেখলা এবার বাংলায়

উত্তর দিনাজপুরের পিছিয়ে পড়া গ্রাম গোয়ালপোখর । সীমান্তবর্তী এলাকা । এখানকার যুবকরা কাজের সন্ধানে বেশিরভাগ সময়ই রাজ্যের বাইরে বা দেশের বাইরে পাড়ি দেয় । তাদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে এখানে তৈরি হচ্ছে মেখলা ।

মেখলা
author img

By

Published : Nov 23, 2019, 10:24 PM IST

Updated : Nov 24, 2019, 8:52 PM IST

রায়গঞ্জ, 23 নভেম্বর : গোয়ালপোখরের একদল যুবকের হাত ধরে এবার বাংলায় অসমের মেখলা । উত্তর দিনাজপুরের পিছিয়ে পড়া এলাকা গোয়ালপোখরে তৈরি হচ্ছে অসমের ঐতিহ্যবাহী মেখলার শাড়ি, চাদর ও গামছা । ইতিমধ্যেই গোয়ালপোখর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর মেখলা ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে । সেই সকল ফ্যাক্টরিতে তৈরি মেখলাগুলির চাহিদা বাড়ছে । রপ্তানি হচ্ছে খোদ অসমে । রাজ্যের বাইরে এমনকি দেশের বাইরেও এর চাহিদা বাড়ছে ।

উত্তর দিনাজপুরের পিছিয়ে পড়া গ্রাম গোয়ালপোখর । সীমান্তবর্তী এলাকা । এখানকার যুবকরা অনেকেই কাজের সন্ধানে রাজ্যের বাইরে বা দেশের বাইরে পাড়ি দেন । তাদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনতেই একদল যুবক নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করেছে মেখলা ফ্যাক্টরিগুলি । এক সময় গুজরাতের সুরাট,অসম সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মেখলার কাজ করতে গেছিলেন মহম্মদ বসির, মহম্মদ রশিদরা । সেখান থেকে কাজ শিখে রাজ্যে ফিরে শুরু করেন মেখলা বানানো । ভিন রাজ্য থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন বাকি যুবকদের । এখন সপ্তাহে 200 থেকে 300 পিস মেখলা তৈরি করেন তাঁরা । তৈরি করতে 600 থেকে 700 টাকা খরচ হয় । যা বিক্রি করে লাভ ভালোই হয় বলে জানান তাঁরা ।

মহম্মদ রশিদ বলেন, "একসময় গুজরাতের সুরাট, অসম সহ বিভিন্ন জায়গায় মেখলা তৈরি শিখেছি । সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই বর্তমানে আমরা নিজের এলাকাতে ফ্যাক্টরি তৈরি করেছি । এলাকায় ইতিমধ্যেই পাঁচ থেকে সাতটা ফ্যাক্টরি তৈরি হয়েছে । যেখানে প্রায় এক থেকে দেড়শো লোক কাজ করে ।

সাহায্যের আশ্বাস মিলেছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ৷ BDO অতনু ঘোষ বলেন, "আমাদের এলাকায় নিজেদের উদ্যোগেই মেখলা তৈরির কারখানা তৈরি করে ফেলেছেন এলাকার কিছু যুবক । যাদের উদ্যোগে এলাকা থেকে বাইরে চলে যাওয়া যুবকরা ফের ঘরমুখো হচ্ছেন । এটা অত্যন্ত আনন্দের ব্যাপার । সরকারি তরফে কোনও সাহায্য প্রয়োজন হলে আমরা অবশ্যই সাহায্য করব ।"

দেখুন ভিডিয়ো...

রায়গঞ্জ, 23 নভেম্বর : গোয়ালপোখরের একদল যুবকের হাত ধরে এবার বাংলায় অসমের মেখলা । উত্তর দিনাজপুরের পিছিয়ে পড়া এলাকা গোয়ালপোখরে তৈরি হচ্ছে অসমের ঐতিহ্যবাহী মেখলার শাড়ি, চাদর ও গামছা । ইতিমধ্যেই গোয়ালপোখর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর মেখলা ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে । সেই সকল ফ্যাক্টরিতে তৈরি মেখলাগুলির চাহিদা বাড়ছে । রপ্তানি হচ্ছে খোদ অসমে । রাজ্যের বাইরে এমনকি দেশের বাইরেও এর চাহিদা বাড়ছে ।

উত্তর দিনাজপুরের পিছিয়ে পড়া গ্রাম গোয়ালপোখর । সীমান্তবর্তী এলাকা । এখানকার যুবকরা অনেকেই কাজের সন্ধানে রাজ্যের বাইরে বা দেশের বাইরে পাড়ি দেন । তাদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনতেই একদল যুবক নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করেছে মেখলা ফ্যাক্টরিগুলি । এক সময় গুজরাতের সুরাট,অসম সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মেখলার কাজ করতে গেছিলেন মহম্মদ বসির, মহম্মদ রশিদরা । সেখান থেকে কাজ শিখে রাজ্যে ফিরে শুরু করেন মেখলা বানানো । ভিন রাজ্য থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন বাকি যুবকদের । এখন সপ্তাহে 200 থেকে 300 পিস মেখলা তৈরি করেন তাঁরা । তৈরি করতে 600 থেকে 700 টাকা খরচ হয় । যা বিক্রি করে লাভ ভালোই হয় বলে জানান তাঁরা ।

মহম্মদ রশিদ বলেন, "একসময় গুজরাতের সুরাট, অসম সহ বিভিন্ন জায়গায় মেখলা তৈরি শিখেছি । সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই বর্তমানে আমরা নিজের এলাকাতে ফ্যাক্টরি তৈরি করেছি । এলাকায় ইতিমধ্যেই পাঁচ থেকে সাতটা ফ্যাক্টরি তৈরি হয়েছে । যেখানে প্রায় এক থেকে দেড়শো লোক কাজ করে ।

সাহায্যের আশ্বাস মিলেছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ৷ BDO অতনু ঘোষ বলেন, "আমাদের এলাকায় নিজেদের উদ্যোগেই মেখলা তৈরির কারখানা তৈরি করে ফেলেছেন এলাকার কিছু যুবক । যাদের উদ্যোগে এলাকা থেকে বাইরে চলে যাওয়া যুবকরা ফের ঘরমুখো হচ্ছেন । এটা অত্যন্ত আনন্দের ব্যাপার । সরকারি তরফে কোনও সাহায্য প্রয়োজন হলে আমরা অবশ্যই সাহায্য করব ।"

দেখুন ভিডিয়ো...
Intro:রায়গঞ্জ,০৭ জুলাই:- উত্তর দিনাজপুরের পিছিয়ে পড়া এলাকার গোয়ালপোখর এ তৈরি হচ্ছে আসামের ঐতিহ্যবাহী মেখলা। ইতিমধ্যেই গোয়ালপোখর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর মেখলা ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে। সেই সকল ফ্যাক্টরি থেকে নির্মাণ হওয়া মেঘলা গুলির চাহিদাও বাড়ছে। শুধুমাত্র তৈরি নয় নির্মাণ করা মেঘলা গুলি আসাম উত্তর পূর্ব ভারতের একাধিক জায়গার পাশাপাশি রপ্তানি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে চাহিদা সব থেকে বেশি আসছে উত্তর পূর্ব ভারত থেকে। এলাকা থেকে বাইরে এক সময় কাজে যাওয়া মেঘলা শিল্পীরা ফের এলাকায় ফিরে এসে এই সমস্ত ফ্যাক্টরি গুলোতে কাজ করে অর্থ উপার্জন এর পাশাপাশি পরিবারের পাশে দাঁড়াতে সক্ষম হচ্ছ।

উত্তর দিনাজপুরের পিছিয়ে পড়া গ্রামাঞ্চল গোয়ালপোখর। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষেরা কাজের সন্ধানে বেশিরভাগ সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়া সত্ত্বেও কর্মসংস্থানের অভাবের কারণে এখানকার যুবকরা সর্বদাই বহির্মুখী হয়ে ওঠে। এবারে সেই সব যুবকটি ফের ঘরে ফিরিয়ে আনার তাগিদ এই একদল যুবক নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করে ফেলেছেন মেখলা ফ্যাক্টরি। এক সময় গুজরাটের সুরাট আসাম কলকাতা বিভিন্ন জায়গা থেকে মেঘ তৈরির কাজ শিখে আসা এ যুবকরা নিজেদের এলাকার যুবকদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যেই তৈরি করে ফেলেছেন একাধিক মেখলা কারখানা। এখনো বিভিন্ন রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা গোয়ালপোখর এলাকার শিল্পীদের তারা যোগাযোগ করে নিয়ে আসছেন এলাকায়। বাইরে রুজি-রুটির সন্ধানে যাওয়া সেই যুবকেরাও ঘরের মাটিতেই নিজেদের শিল্পকলা প্রদর্শনের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের যোগ হয়েছে তা শুনতে পেরে ফিরে আসছেন এলাকায়। দিন দিন এই শিল্পের মানোন্নয়ন করে ভালো ভবিষ্যতের স্বপ্নে বিভোর হয়েছেন একদল স্থানীয় যুবক। সপ্তাহান্তে 200 থেকে 300 পিস মেখলা তৈরি করছেন তারা। বিভিন্ন মৌসুমে এই মেঘলার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদনের জন্য কর্মঠ যুবকদের নতুন আলো আশা দিচ্ছেন এই কারখানার কর্ণধারেরা। এক একটি মেঘলা তৈরি করতে 600 থেকে 700 টাকা খরচ হয়। সেগুলি আগামীতে চাহিদা অনুযায়ী রপ্তানি করার পর বেশ ভালই মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছেন তারা।

এমনই মেখলা কারখানার এক মোহাম্মদ রশীদ জানান একসময় বাইরে গুজরাট সুরাট কলকাতা বিভিন্ন জায়গায় মেঘলা তৈরি পদ্ধতি শিখেছি। সেই হাতের কাজ কে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে আমরা নিজের এলাকাতেই ফ্যাক্টরি তৈরি করে ফেলেছি। এলাকায় ইতিমধ্যেই পাঁচ থেকে সাত খানা ফ্যাক্টরি তৈরি হয়েছে। যেখানে প্রায় এক থেকে দেড়শ লোক কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন।

অন্য এক কারিগর আব্দুল বাশার বলেন আমরা এবং আমাদের বন্ধু-বান্ধব বা এলাকাবাসীরা বেশিরভাগ সময় বাইরে গিয়ে কাজের সন্ধান করেছিলাম। সেখান থেকেই শিল্পকলাকে রপ্ত করেছি। বর্তমানে এলাকায় ফিরে এসে বাড়িতে থেকেই উপার্জনে পাশাপাশি পরিবারকে সময় দিতে পেরে অত্যন্ত খুশি আমরা।

গোয়াল পোখরের বি ডি ও অতনু ঘোষ বলেন আমাদের এলাকায় নিজেদের উদ্যোগেই মেখলা তৈরীর কারখানা তৈরি করে ফেলেছেন এলাকার কিছু যুবক। যাদের উদ্যোগে এলাকা থেকে বাইরে চলে যাওয়া যুবকেরা ফের ঘর মুখে হচ্ছে। এটা অত্যন্ত খুশির ব্যাপার। সরকারি তরফে কোন সাহায্য প্রয়োজন হলে আমরা অবশ্যই সাহায্য করব।

বাইট-- মেখলা কারখানার কারিগর




Body:jf


Conclusion:jg
Last Updated : Nov 24, 2019, 8:52 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.