ETV Bharat / state

কাজ খুঁজতে বেরিয়ে উধাও, সাইকেলে চেপে ছেলের খোঁজে ব্যক্তি

বিহারের আরারিয়া গ্রামের বাসিন্দা মুশকিলঋষি দাস । কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তাঁর ছেলে । কিন্তু লকডাউনের জেরে আর ফিরতে পারেনি । তাই ছেলেকে খুঁজতে সাইকেল চেপে বেরিয়ে পড়েছেন বাবা ।

image
নিখোঁজ ছেলের সন্ধানে বাবা
author img

By

Published : Mar 30, 2020, 5:30 PM IST

রায়গঞ্জ, 30 মার্চ : কাজ খুঁজতে দিন 15 আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ছেলে । আর ফেরেনি । এদিকে কোরোনার জেরে দেশজুড়ে লকডাউন । বন্ধ সমস্ত পরিবহন পরিষেবা । তাই ছেলেকে ঘরে ফেরাতে পথে নামলেন বাবা । সাইকেল চেপে, মেয়ে ও জামাইকে নিয়ে ছেলের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি ।

বিহারের আরারিয়ার এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা মুশকিলঋষি দাস । পেশায় কৃষক। দিন পনেরো আগে তাঁর বছর বারোর ছেলে কাজ খুঁজতে বেরিয়েছিল । কিন্তু কার সঙ্গে গেছে, কোথায় গেছে তা বাড়িতে বলে যায়নি । কয়েকদিন পর মুশকিলবাবুর কাছে ছেলের ফোন আসে। ছেলে জানায়, আসানসোল-দুর্গাপুরের মাঝামাঝি কোনও এলাকায় আটকে রয়েছে সে। লকডাউনের জেরে বাড়ি ফিরতে পারছে না । হাঁটতে হাঁটতে পায়ে চোট লেগেছে । এরপরই ছেলেকে বাড়ি ফেরাতে বেরিয়ে পড়েন মুশকিলবাবু । কিন্তু লকডাউনের জেরে বন্ধ গণপরিবহন । তাই শেষমেশ মেয়ে ও জামাইকে সঙ্গে নিয়ে সাইকেলে চেপেই রওনা দেন দুর্গাপুরের পথে। আরারিয়ার বাড়ি থেকে দুর্গাপুর যে প্রায় 500 কিলোমিটার সেটাও ঠিকঠাক জানেন না তিনি ।

গতকাল গভীর রাতে রায়গঞ্জের জাতীয় সড়ক সংলগ্ন দেবীনগর এলাকায় কয়েকজন স্থানীয় যুবক তাঁদেরকে দেখতে পান। তাঁরা মশা মারার ধূপ, মশারি ও কিছু খাবার দিয়ে যান মুশকিল ও তাঁর মেয়ে জামাইকে ।

মুশকিলবাবু বলেন, "কাজের সন্ধানে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে বেরিয়েছিল আমার ছেলে । কয়েকদিন আগে জানতে পারি, আসানসোল দুর্গাপুর এর মাঝে কোনও এক জায়গায় আটকে পড়েছে সে । সব জানতে পারার পর আর দেরি করতে পারলাম না। বেরিয়ে পড়লাম সাইকেল নিয়ে । নিশ্চয়ই খুঁজে পাব ছেলেকে ।"

রায়গঞ্জ, 30 মার্চ : কাজ খুঁজতে দিন 15 আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ছেলে । আর ফেরেনি । এদিকে কোরোনার জেরে দেশজুড়ে লকডাউন । বন্ধ সমস্ত পরিবহন পরিষেবা । তাই ছেলেকে ঘরে ফেরাতে পথে নামলেন বাবা । সাইকেল চেপে, মেয়ে ও জামাইকে নিয়ে ছেলের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি ।

বিহারের আরারিয়ার এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা মুশকিলঋষি দাস । পেশায় কৃষক। দিন পনেরো আগে তাঁর বছর বারোর ছেলে কাজ খুঁজতে বেরিয়েছিল । কিন্তু কার সঙ্গে গেছে, কোথায় গেছে তা বাড়িতে বলে যায়নি । কয়েকদিন পর মুশকিলবাবুর কাছে ছেলের ফোন আসে। ছেলে জানায়, আসানসোল-দুর্গাপুরের মাঝামাঝি কোনও এলাকায় আটকে রয়েছে সে। লকডাউনের জেরে বাড়ি ফিরতে পারছে না । হাঁটতে হাঁটতে পায়ে চোট লেগেছে । এরপরই ছেলেকে বাড়ি ফেরাতে বেরিয়ে পড়েন মুশকিলবাবু । কিন্তু লকডাউনের জেরে বন্ধ গণপরিবহন । তাই শেষমেশ মেয়ে ও জামাইকে সঙ্গে নিয়ে সাইকেলে চেপেই রওনা দেন দুর্গাপুরের পথে। আরারিয়ার বাড়ি থেকে দুর্গাপুর যে প্রায় 500 কিলোমিটার সেটাও ঠিকঠাক জানেন না তিনি ।

গতকাল গভীর রাতে রায়গঞ্জের জাতীয় সড়ক সংলগ্ন দেবীনগর এলাকায় কয়েকজন স্থানীয় যুবক তাঁদেরকে দেখতে পান। তাঁরা মশা মারার ধূপ, মশারি ও কিছু খাবার দিয়ে যান মুশকিল ও তাঁর মেয়ে জামাইকে ।

মুশকিলবাবু বলেন, "কাজের সন্ধানে বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে বেরিয়েছিল আমার ছেলে । কয়েকদিন আগে জানতে পারি, আসানসোল দুর্গাপুর এর মাঝে কোনও এক জায়গায় আটকে পড়েছে সে । সব জানতে পারার পর আর দেরি করতে পারলাম না। বেরিয়ে পড়লাম সাইকেল নিয়ে । নিশ্চয়ই খুঁজে পাব ছেলেকে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.