রায়গঞ্জ, 25 এপ্রিল : লকডাউনে অপরাধপ্রবণ রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার কন্ট্রোল রুমের চরিত্র বদল । যে কন্ট্রোল রুমের 100 নাম্বারে লকডাউনের আগে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের খবর আসত, সেখানেই বর্তমানে শুধুমাত্র লকডাউন সংক্রান্ত খবর । খুন, রাহাজানি, ডাকাতি, ছিনতাই, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ থেকে শুরু করে অন্যান্য অপরাধের খবর একেবারে নেই বললেই চলে । বদলে কোথায় লকডাউন মানা হচ্ছে না, কোথায় মানুষ করোনা নিয়ে মিথ্যে প্রচার করছে এই সব খবর আসছে। এসব সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন কন্ট্রোল রুমের পুলিশকর্মীরা ।
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলা বরাবরই অপরাধপ্রবণ এলাকার মধ্যে পড়ে । বিভিন্ন সময়ে পুলিশকর্মীরা কন্ট্রোল রুমে বসে নানান ধরনের অপরাধমূলক খবর পেতে অভ্যস্ত । বর্তমানে সেই পরিস্থিতির সম্পূর্ণ ভোলবদল । লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে 100 নম্বরে প্রচুর ফোন আসলেও তা কখনোই অপরাধ সংক্রান্ত হচ্ছে না বলেই দাবি করেছেন জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা । দিনে প্রায় 200 থেকে 240টি ফোন আসছে কন্ট্রোল রুমের 100 নম্বরে । তার বেশিরভাগটাই লকডাউন এবং কোরোনা ভাইরাস সংক্রান্ত ।
আগে দিনে প্রায় 50 থেকে 70টি টেলিফোন আসতো, তার বেশিরভাগ থাকত অপরাধ নিয়ে । এমনকী ভিন জেলায় আটকে পড়া উত্তর দিনাজপুরে বাসিন্দারাও এই নাম্বারে ফোন করে ত্রাণ চাইছেন। কোথাও কোরোনা ভাইরাসের ইনজেকশন দেওয়ার নিয়ে তথ্য আসছে পুলিশের কাছে । লকডাউন অমান্য করে জটলা পাকানো, খেলাধূলা ও পাড়ার মোড়ে আড্ডা দিচ্ছে সাধারণ মানুষ এমনই সব অভিযোগ আসছে কন্ট্রোলরুমে ৷ যদিও সমস্ত অভিযোগ অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় শুনে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ ।
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলা সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘কন্ট্রোল রুমের পরিস্থিতি পুরোপুরি পরিবর্তন হয়েছে। আগে যেখানে অপরাধমূলক খবর আসত । বর্তমানে সেখানে শুধুমাত্র লকডাউন সংক্রান্ত খবর আসছে। কোথাও লকডাউন অমান্য করার অভিযোগ। আবার কোথাও ভাইরাস নিয়ে গুজব রটানো অভিযোগ আসছে আমাদের কন্ট্রোলরুমে। আমরা সেখানে বসেই সমস্ত অভিযোগ দায়িত্ব নিয়ে খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি।’’