ETV Bharat / state

"আমাদের সাহায্য করুন, না হলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হব", ভিডিয়ো বার্তা শ্রমিকদের

author img

By

Published : Mar 29, 2020, 11:26 PM IST

দিল্লিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের অভিযোগ, লকডাউনের পর থেকে ঠিকাদার অল্প করে টাকা দিয়ে পালিয়ে গেছে । তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে একপ্রকার অনাহারেই জীবন কাটাচ্ছে । কোনওভাবেই কোনও সাহায্য তারা পাচ্ছেন না । দ্রুত এই অবস্থার উন্নতি না হলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন তারা । সমস্ত জনপ্রতিনিধিদের কাছে তারা আর্জি জানিয়েছেন ৷ যেভাবেই হোক উদ্ধার করতে না পারলেও সেখানে থাকা শ্রমিকদের খাদ্য এবং মশারির যোগান যেন করে দেয় তারা ।

Labours threatened to do suicide if they do not get any help in delhi
সাহায্য না করলে বাধ্য হয়ে আত্মহত্যা করব, বললেন দিল্লিতে আটকে পড়া শ্রমিকরা

রায়গঞ্জ, 29 মার্চ : কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আগেই না খেতে পেয়ে বা মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে আমরা মারা যাব । আমাদের সাহায্য করুন। না হলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হব । রাজধানীতে আটকে পড়া উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের 75 জন দিনমজুর এভাবেই সাহায্যের আর্জি জানিয়ে ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়েছেন ।

আটকে পড়া শ্রমিকদের অভিযোগ, লকডাউনের পর থেকে ঠিকাদার অল্প করে টাকা দিয়ে পালিয়ে গেছে । তাঁরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে একপ্রকার অনাহারেই জীবন কাটাচ্ছেন । কোনওভাবেই কোনও সাহায্য তাঁরা পাচ্ছেন না । জনপ্রতিনিধিদের কাছে তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন ৷ যেভাবেই হোক উদ্ধার করতে না পারলেও সেখানে থাকা শ্রমিকদের খাদ্য এবং মশারির জোগান যেন করে দেন তাঁরা ।

কোরোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন । বন্ধ রয়েছে সমস্ত গণপরিবহন ৷ উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যান প্রচুর মানুষ । কিন্তু লকডাউনের জেরে তাঁরা যথেষ্ট সমস্যায় পড়েছেন । ঠিকা শ্রমিক হিসেবে যে জায়গায়গুলিতে তাঁরা কাজ করতে গিয়েছিলেন, সেখানে বেশিরভাগ এলাকা থেকেই ঠিকাদারেরা পাততাড়ি গুটিয়ে পালিয়ে গেছেন । যার ফলে আরও বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁঁদের । ইটাহারের 75 জন শ্রমিক দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় ঠিকা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন । গত 22 তারিখ থেকে জনতা কারফিউ শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে বর্তমানে তাঁঁরা আটকে রয়েছেন । তাঁরা যেখানে রয়েছেন সেখানে গাদাগাদি করে প্রচুর শ্রমিককে একসঙ্গে থাকতে হচ্ছে । নেই মশারি, নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা । একবেলা খেয়ে কোনওরকমে বেঁচে আছেন । দিনভর মশার উৎপাতে যথেষ্ট আতঙ্কিত তাঁরা ।

তাঁদের আশঙ্কা, কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মরবেন। তবে যদি এই অবস্থা চলতে থাকে, আগামীতে নিশ্চয়ই অনাহারে বা ডেঙ্গি রোগে মৃত্যু হবে তাঁদের । বারবার এই বিষয়ে বিভিন্ন লোকের কাছে সাহায্য চাইলেও এখনও পর্যন্ত কিছুই হয়নি । তাই তাঁদের বক্তব্য ভিডিয়ো বার্তা করে রায়গঞ্জের সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন তাঁরা । সেখানে তাঁরা বলেছেন, যদি কোনওভাবে তাঁদের এই অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন না হয় তাহলে তাঁদের মধ্যে ্দু-তিনজন যে কোনও সময় আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন ।

এবিষয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে সাইদুল আলি বলেন, " আমরা দিল্লিতে কাজ করতে এসে 75 জন শ্রমিক আটকে রয়েছি । কোনওভাবেই আমাদের জন্য কেউ কোনও ব্যবস্থা করছেন না । প্রচুর মশার উৎপাত রয়েছে এখানে । একবেলা কোনওরকমে খেয়ে বেঁচে আছি । যাঁদের কাছে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করছি তাঁরাই সময় চাইছেন । যদি অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন না হয়, তবে আমাদের মধ্যে তিনজন যেকোনও সময় আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন ৷ "

রায়গঞ্জ, 29 মার্চ : কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আগেই না খেতে পেয়ে বা মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে আমরা মারা যাব । আমাদের সাহায্য করুন। না হলে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হব । রাজধানীতে আটকে পড়া উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের 75 জন দিনমজুর এভাবেই সাহায্যের আর্জি জানিয়ে ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়েছেন ।

আটকে পড়া শ্রমিকদের অভিযোগ, লকডাউনের পর থেকে ঠিকাদার অল্প করে টাকা দিয়ে পালিয়ে গেছে । তাঁরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে একপ্রকার অনাহারেই জীবন কাটাচ্ছেন । কোনওভাবেই কোনও সাহায্য তাঁরা পাচ্ছেন না । জনপ্রতিনিধিদের কাছে তাঁরা আর্জি জানিয়েছেন ৷ যেভাবেই হোক উদ্ধার করতে না পারলেও সেখানে থাকা শ্রমিকদের খাদ্য এবং মশারির জোগান যেন করে দেন তাঁরা ।

কোরোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন । বন্ধ রয়েছে সমস্ত গণপরিবহন ৷ উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যান প্রচুর মানুষ । কিন্তু লকডাউনের জেরে তাঁরা যথেষ্ট সমস্যায় পড়েছেন । ঠিকা শ্রমিক হিসেবে যে জায়গায়গুলিতে তাঁরা কাজ করতে গিয়েছিলেন, সেখানে বেশিরভাগ এলাকা থেকেই ঠিকাদারেরা পাততাড়ি গুটিয়ে পালিয়ে গেছেন । যার ফলে আরও বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁঁদের । ইটাহারের 75 জন শ্রমিক দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় ঠিকা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন । গত 22 তারিখ থেকে জনতা কারফিউ শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে বর্তমানে তাঁঁরা আটকে রয়েছেন । তাঁরা যেখানে রয়েছেন সেখানে গাদাগাদি করে প্রচুর শ্রমিককে একসঙ্গে থাকতে হচ্ছে । নেই মশারি, নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা । একবেলা খেয়ে কোনওরকমে বেঁচে আছেন । দিনভর মশার উৎপাতে যথেষ্ট আতঙ্কিত তাঁরা ।

তাঁদের আশঙ্কা, কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মরবেন। তবে যদি এই অবস্থা চলতে থাকে, আগামীতে নিশ্চয়ই অনাহারে বা ডেঙ্গি রোগে মৃত্যু হবে তাঁদের । বারবার এই বিষয়ে বিভিন্ন লোকের কাছে সাহায্য চাইলেও এখনও পর্যন্ত কিছুই হয়নি । তাই তাঁদের বক্তব্য ভিডিয়ো বার্তা করে রায়গঞ্জের সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন তাঁরা । সেখানে তাঁরা বলেছেন, যদি কোনওভাবে তাঁদের এই অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন না হয় তাহলে তাঁদের মধ্যে ্দু-তিনজন যে কোনও সময় আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন ।

এবিষয়ে আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে সাইদুল আলি বলেন, " আমরা দিল্লিতে কাজ করতে এসে 75 জন শ্রমিক আটকে রয়েছি । কোনওভাবেই আমাদের জন্য কেউ কোনও ব্যবস্থা করছেন না । প্রচুর মশার উৎপাত রয়েছে এখানে । একবেলা কোনওরকমে খেয়ে বেঁচে আছি । যাঁদের কাছে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করছি তাঁরাই সময় চাইছেন । যদি অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন না হয়, তবে আমাদের মধ্যে তিনজন যেকোনও সময় আত্মহত্যা করতে বাধ্য হবেন ৷ "

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.