ইটাহার, 22 জুন: ইটাহার গ্রাম পঞ্চায়েতের বানবোল গ্রামে 100 দিনের জব কার্ড ইশু হল এক স্কুল শিক্ষকের নামে । স্থানীয়দের অভিযোগ পেতেই দ্রুত পদক্ষেপ করল প্রশাসন।
ইটাহার গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইটাহার ব্লকের সান্ধিয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইন্দুভূষণ বর্মন তাঁর পরিচয় গোপন করে বেআইনিভাবে জবকার্ড পেয়েছেন । বিষয়টি ইটাহারের বিডিওর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা । তারপরই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুরু হয়েছে ।
এদিকে ইন্দুভূষণ বর্মন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করেছেন বলে জানান ইটাহারের বিডিও এম ডি লামা। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে জেলা শাসকের দপ্তরে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও ।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইটাহার ব্লকের সান্ধিয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে 2011 সাল থেকে শিক্ষকতা করছেন ইন্দুভূষণ বর্মন । সরকারি চাকরি থাকা সত্ত্বেও 2018 সালের 31 ডিসেম্বর ইন্দুবাবু বেআইনি ভাবে নিজের নামে MGNREGS প্রকল্পের জব কার্ড রেজিস্ট্রেশন করেছেন বলে অভিযোগ ।
শুধু তা-ই নয়, ওই কার্ড দেখিয়ে তিনি ও তাঁর পরিবারের আরও দুই সদস্য মোট 81 দিন পুকুর খননের কাজও করেন । সেই কাজের মজুরি হিসেবে তাঁদের অ্যাকাউন্টে মোট 15 হাজার 471 টাকা জমা পড়ে । বিষয়টি জানাজানি হতেই গত সোমবার বানবোল গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা তাঁর বিরুদ্ধে ইটাহারের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, "আমাদের জন্য নির্ধারিত 100 দিনের কাজের টাকা আত্মসাৎ করেছেন এক শিক্ষক । আমরা বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি ।"