রায়গঞ্জ, 7 জুন: সরকারি নির্দেশ মেনে দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস পর আগামীকাল রায়গঞ্জ শহরের শপিং মল এবং হোটেলগুলি খুলতে চলেছে । পাশাপাশি খোলা হবে রেস্তোরাঁ । তবে কোরোনা ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে হোটেল, শপিং মল, রেস্তোরাঁর কর্তৃপক্ষরা নিয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। রায়গঞ্জ শহরের অন্যতম নামী একটি হোটেল ডিস্পোজা়ল সু মেশিন নিয়ে এসেছে ক্রেতাদের সুরক্ষার জন্য । এছাড়াও থাকবে স্যানিটাইজা়র টানেল। প্রতি তলায় অটোমেটিক স্যানিটাইজা়র মেশিন উপলব্ধ করা হবে । যে সকল গ্রাহক হোটেলে আসবেন তাঁদের লাগেজ সহ পুরোপুরিভাবে জীবাণু মুক্তির জন্য ওই টানেলের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে । এর পাশাপাশি হোটেলের প্রত্যেক কর্মীর জন্য মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করেছেন তাঁরা।
একইভাবে অন্যান্য হোটেলগুলিও একাধিক সুরক্ষার পদক্ষেপ নিয়েছে । এর পাশাপাশি রায়গঞ্জের ছোট শপিংমলগুলিতে চারি দিকে তাকালেই নানান ধরনের সচেতনতামূলক প্রচার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিভিন্ন ফ্লোরে ক্রেতাদের জন্য আলাদা করে সামাজিক দূরত্ব মানতে গণ্ডি কেটে দেওয়া হয়েছে। নগদ টাকার পরিবর্তে ডিজিটাল পেমেন্টের দিকে ঝুঁকছে শপিং মল কর্তৃপক্ষ । সবমিলিয়ে আগামী 8 তারিখ থেকে খুলতে যাওয়া শপিং মল এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর কর্তৃপক্ষরা কোনভাবেই কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ যাতে কারোর মধ্যে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জের শপিং মলের ম্যানেজার সন্দীপ দাস জানান, ‘আমরা কোরোনাভাইরাস মোকাবিলায় ক্রেতাদের সুরক্ষার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি । প্রত্যেক তলায় সামাজিক দূরত্ব চিহ্নিত করার জন্য গণ্ডি কেটে দেওয়া হয়েছে । এর পাশাপাশি আমরা শপিং মলে সর্বোচ্চ পাঁচজন করে ঢুকতে দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছি। আমাদের কর্মীদের জন্য রয়েছে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, টুপি সহ একাধিক জিনিস । এর পাশাপাশি স্যানিটাইজা়র রাখা হচ্ছে। সবমিলিয়ে কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় যাতে আমরা পিছিয়ে না পড়ি তা নিশ্চিত করার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।'
রায়গঞ্জের এক প্রসিদ্ধ হোটেলের ম্যানেজার অভিজিৎ গাঙ্গুলি জানান, ‘আমরদের হোটেলে যেসকল গ্রাহকরা আসবেন তাদের জন্য অটোমেটিক ফুট ডিস্পোজাল মেশিন আনিয়েছি। এছাড়াও স্যানিটাইজা়র আমাদের হোটেলে রাখা থাকবে। পাশাপাশি অটোমেটিক স্যানিটেশন মেশিন প্রতিটি ফ্লোরে রাখা হয়েছে । প্রত্যেক রুমে আলাদা করে স্যানিটাইজা়র রাখার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। হোটেল কর্মীদেরও আমরা যথেষ্ট সুরক্ষিত রাখার জন্য হ্যান্ডগ্লাভস, স্যানিটাইজা়র ও মাস্ক দিচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য হোটেলে থাকতে এসে কেউ যেন কোরোনা ভাইরাসে সংক্রামিত না হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখা।’