ETV Bharat / state

দাম কমালেও ক্রেতার দেখা নেই, চিন্তায় ফল ব্যবসায়ীরা - লকডাউন

কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় শরীরকে সুস্থ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা ৷ এর জন্য বেশি করে ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল খেতে বলা হচ্ছে ৷ কিন্তু লকডাউনের বাজারে ফল কিনতে বাজারে যাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ ৷

Fruit seller of Raiganj are tensed due to lockdown
ফল বিক্রেতা
author img

By

Published : Apr 21, 2020, 8:44 PM IST

Updated : Apr 22, 2020, 12:29 PM IST

রায়গঞ্জ, 21 এপ্রিল : কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করতে চালু হওয়া লকডাউনের জেরে দিনভর দেখা মিলছে না ক্রেতাদের । তবে বিক্রির আশায় ফলের পসরা সাজিয়ে রায়গঞ্জের বাজারগুলিতে বসে রয়েছেন ফল বিক্রেতারা । ফল নষ্ট হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় বর্তমানে অনেক ফলের দাম কমিয়েছেন তাঁরা । তা সত্ত্বেও ভিড় হচ্ছে না দোকানে । স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতোই রায়গঞ্জের ফল ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছেন । তাঁদের দাবি, চাহিদার থেকে অনেক বেশি জোগান থাকলেও বিক্রি-বাট্টা প্রায় একদমই হচ্ছে না । কতদিন এভাবে চলবে তাই নিয়েও চিন্তিত রয়েছেন তাঁরা ।

এই মুহূর্তে দেশের সঙ্গে রাজ্যেও চলছে লকডাউন । কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে । আগামী 14 এপ্রিল পর্যন্ত লাগাতার এই লকডাউন চলবে । কিন্তু অন্যান্য সব কাঁচামাল ও সবজির মতোই বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে আমদানি হচ্ছে বিভিন্ন ফল । ফল ব্যবসায়ীরা তাদের চাহিদা মতো প্রয়োজনীয় সামগ্রীও পেয়ে যাচ্ছেন । তবে অভাব রয়েছে ক্রেতার । দেশজুড়ে লকডাউনের জন্য এই মুহূর্তে রাস্তাঘাটে প্রায় ক্রেতা নেই বললেই চলে । যে দু’-একজন ফলের দোকানে আসছেন তাঁদের কেনাকাটা আপাতত মন ভোলাতে পারছে না ফল বিক্রেতাদের । সকাল সাতটা পর্যন্ত দোকান বসিয়ে সন্ধে ছ’টা অবধি বসে থাকলেও সেই অর্থে দেখা পাওয়া যাচ্ছে না ক্রেতাদের । এই অবস্থায় বর্তমানে ফলের দামের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাজারে । তবে ফলের দাম কম করেও সেই অর্থে ক্রেতাদের ভিড় বাজারে দেখা যাচ্ছে না ।

বিক্রেতাদের দাবি, বিগত বছর গুলিতে যে আপেল 120 থেকে 140 টাকা কেজি দরে বিক্রি হত, বর্তমানে তার দাম দাঁড়িয়েছে 80 টাকা থেকে 100 টাকা । কলা 30 টাকা থেকে 50 টাকা ডজন-এ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে । মুসম্বির দাম 60 টাকা কেজি । বেদানা প্রায় একই দাম থাকলেও 120 টাকা থেকে 140 টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা । ডাব বিক্রি হচ্ছে 20 থেকে 25 টাকা দরে । আঙুর 80 টাকা কেজি দরে রায়গঞ্জের বাজারে মিলছে । তবে এত কিছুর দাম কমালেও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন ফল বিক্রেতারা । তাঁদের দাবি, দোকানে লকডাউনের সময় যাতে ভিড় না হয় এবং বিক্রেতারা যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন সে দিকটা মাথায় রাখলেও বর্তমানে সেই অর্থে আর ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে না । প্রতিবছর এই সময় চৈত্র সেল-এর জন্য বাজার গরম থাকলেও এবারে পুরোপুরি বাজার ঠাণ্ডা রয়েছে । ফলে বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা ।

এই বিষয়ে এক ফল বিক্রেতা গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘বর্তমানে বাজারে সেই অর্থে ক্রেতাদের প্রায় দেখা নেই বললেই চলে । আমরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফলের দোকান সাজিয়ে বসে থাকলেও আগের মতো আর ক্রেতা পাচ্ছিনা । ফলের দাম অনেকটাই কমিয়েছি । কারণ অনেক ফলই নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । তবুও বাজারে ক্রেতা নেই ।’’ আরও এক বিক্রেতা রাজেন্দ্র কুমার গুপ্তা বলেন, ‘‘সামাজিক দূরত্ব মেনে মানুষ যাতে বাজার-ঘাট করেন সেটা আমরা চাই । দোকানে যাঁরাই আসছেন তাঁদেরকে আমরা সেটা জানাচ্ছি । তবে বর্তমানে ফলের দোকানে মানুষ ভিড় করছেন না । লকডাউনের জেরে আমরা ফলের দাম অনেকটা কমিয়েছি । তবুও ক্রেতাদের দেখা নেই ৷’’ এক ক্রেতা গৌতম সেন বলেন, ‘‘লকডাউনের জেরে ফলের দাম বৃদ্ধি হয়নি । সারা বছর যা দাম থাকে মোটামুটি সেরকমই রয়েছে । তবে দোকানে সেই অর্থে ভিড় দেখতে পাচ্ছি না ।’’

লকডাউনে ফলের বাজার মন্দা

রায়গঞ্জ, 21 এপ্রিল : কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করতে চালু হওয়া লকডাউনের জেরে দিনভর দেখা মিলছে না ক্রেতাদের । তবে বিক্রির আশায় ফলের পসরা সাজিয়ে রায়গঞ্জের বাজারগুলিতে বসে রয়েছেন ফল বিক্রেতারা । ফল নষ্ট হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় বর্তমানে অনেক ফলের দাম কমিয়েছেন তাঁরা । তা সত্ত্বেও ভিড় হচ্ছে না দোকানে । স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতোই রায়গঞ্জের ফল ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছেন । তাঁদের দাবি, চাহিদার থেকে অনেক বেশি জোগান থাকলেও বিক্রি-বাট্টা প্রায় একদমই হচ্ছে না । কতদিন এভাবে চলবে তাই নিয়েও চিন্তিত রয়েছেন তাঁরা ।

এই মুহূর্তে দেশের সঙ্গে রাজ্যেও চলছে লকডাউন । কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে । আগামী 14 এপ্রিল পর্যন্ত লাগাতার এই লকডাউন চলবে । কিন্তু অন্যান্য সব কাঁচামাল ও সবজির মতোই বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে আমদানি হচ্ছে বিভিন্ন ফল । ফল ব্যবসায়ীরা তাদের চাহিদা মতো প্রয়োজনীয় সামগ্রীও পেয়ে যাচ্ছেন । তবে অভাব রয়েছে ক্রেতার । দেশজুড়ে লকডাউনের জন্য এই মুহূর্তে রাস্তাঘাটে প্রায় ক্রেতা নেই বললেই চলে । যে দু’-একজন ফলের দোকানে আসছেন তাঁদের কেনাকাটা আপাতত মন ভোলাতে পারছে না ফল বিক্রেতাদের । সকাল সাতটা পর্যন্ত দোকান বসিয়ে সন্ধে ছ’টা অবধি বসে থাকলেও সেই অর্থে দেখা পাওয়া যাচ্ছে না ক্রেতাদের । এই অবস্থায় বর্তমানে ফলের দামের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু ঘাটতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাজারে । তবে ফলের দাম কম করেও সেই অর্থে ক্রেতাদের ভিড় বাজারে দেখা যাচ্ছে না ।

বিক্রেতাদের দাবি, বিগত বছর গুলিতে যে আপেল 120 থেকে 140 টাকা কেজি দরে বিক্রি হত, বর্তমানে তার দাম দাঁড়িয়েছে 80 টাকা থেকে 100 টাকা । কলা 30 টাকা থেকে 50 টাকা ডজন-এ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে । মুসম্বির দাম 60 টাকা কেজি । বেদানা প্রায় একই দাম থাকলেও 120 টাকা থেকে 140 টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা । ডাব বিক্রি হচ্ছে 20 থেকে 25 টাকা দরে । আঙুর 80 টাকা কেজি দরে রায়গঞ্জের বাজারে মিলছে । তবে এত কিছুর দাম কমালেও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন ফল বিক্রেতারা । তাঁদের দাবি, দোকানে লকডাউনের সময় যাতে ভিড় না হয় এবং বিক্রেতারা যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন সে দিকটা মাথায় রাখলেও বর্তমানে সেই অর্থে আর ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে না । প্রতিবছর এই সময় চৈত্র সেল-এর জন্য বাজার গরম থাকলেও এবারে পুরোপুরি বাজার ঠাণ্ডা রয়েছে । ফলে বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা ।

এই বিষয়ে এক ফল বিক্রেতা গৌতম ঘোষ বলেন, ‘‘বর্তমানে বাজারে সেই অর্থে ক্রেতাদের প্রায় দেখা নেই বললেই চলে । আমরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ফলের দোকান সাজিয়ে বসে থাকলেও আগের মতো আর ক্রেতা পাচ্ছিনা । ফলের দাম অনেকটাই কমিয়েছি । কারণ অনেক ফলই নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে । তবুও বাজারে ক্রেতা নেই ।’’ আরও এক বিক্রেতা রাজেন্দ্র কুমার গুপ্তা বলেন, ‘‘সামাজিক দূরত্ব মেনে মানুষ যাতে বাজার-ঘাট করেন সেটা আমরা চাই । দোকানে যাঁরাই আসছেন তাঁদেরকে আমরা সেটা জানাচ্ছি । তবে বর্তমানে ফলের দোকানে মানুষ ভিড় করছেন না । লকডাউনের জেরে আমরা ফলের দাম অনেকটা কমিয়েছি । তবুও ক্রেতাদের দেখা নেই ৷’’ এক ক্রেতা গৌতম সেন বলেন, ‘‘লকডাউনের জেরে ফলের দাম বৃদ্ধি হয়নি । সারা বছর যা দাম থাকে মোটামুটি সেরকমই রয়েছে । তবে দোকানে সেই অর্থে ভিড় দেখতে পাচ্ছি না ।’’

লকডাউনে ফলের বাজার মন্দা
Last Updated : Apr 22, 2020, 12:29 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.