রায়গঞ্জ, 18 অক্টোবর : আগামী বছর 50 বছর পূর্তি হবে ক্লাবের । দীর্ঘদিন ধরে পুজো উদ্যোক্তারা বড় পুজো করার স্বপ্ন দেখে থাকলেও কালেকশনের অভাবে তা করে ওঠা হয়নি । কিন্তু সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষেও সাদামাটা পুজো করতে নারাজ পুজো কমিটি । তাই একটি অভিনব পথ খুঁজে বার করলেন পুজো উদ্যোক্তারা । দুর্গাপুজো শেষ হওয়ার পরপরই ক্লাবের আশপাশে থাকা প্রায় 300 পরিবারকে টাকা জমানোর ভাঁড় উপহার দিলেন পুজো কমিটির সদস্যরা । তার পাশাপাশি অনুরোধ যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী অল্প অল্প করে নিজেদের সাধ্য মত খুচরো পয়সা বা টাকা রেখে সঞ্চয় করুন । আগামী বছর পুজোর সময় সেই ঘট ভেঙে সঞ্চিত অর্থ দিলেই ভালো অঙ্কের চাঁদা জামা পড়বে ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে । যা জড়ো করে বড় বাজেটের পুজো করবে রায়গঞ্জের বিবেক সংঘ ক্লাব । যে সকল বাড়িতে ভাঁড় বিতরণ হয়েছে তারাও অত্যন্ত খুশি এই অভিনব উদ্যোগে । তাদের বক্তব্য, একসঙ্গে বেশি টাকা চাঁদা দেওয়ায় ক্ষেত্রে অসুবিধা হয় । সেই জায়গায় অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে বছর শেষে সেই টাকা ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে পারলে তা সত্যি ভালো হবে ।
রায়গঞ্জের বিবেক সংঘ ক্লাবের পুজো আগামী বছর 50 বছরে পড়বে । দীর্ঘদিন ধরে পুজো করে আসলেও সেই অর্থে বিগ বাজেটের পুজো করে উঠতে পারিনি এই ক্লাব কমিটি । এলাকাবাসীর দাবি ছিল 50 বছরে করতে হবে বড় পুজো । তবে উদ্যোক্তারা বারবার চেষ্টা করেও দেখেছেন বেশি চাঁদা একসঙ্গে দেওয়া সম্ভব হয় না স্থানীয়দের পক্ষে । তাই এবারে তারা পুজো শেষ হতেই 300 টি টাকা জমানোর ভাঁড় কিনে ফেলে । প্রথমদিকে ক্লাব কর্তৃপক্ষের মধ্যেই সেগুলি বিতরণ হলেও পরবর্তীতে এলাকাবাসীর ঘরে ঘরে সেগুলো নিয়ে পৌঁছান পুজো কমিটির সদস্যরা । সবার কাছে তাঁদের একটাই আরজি, দয়া করে সাধ্যমত জমিয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা জমা দিন । সেই টাকাতেই বিগ বাজেটের পুজো করার উদ্যোগ নিয়েছে ক্লাব কমিটি । বুধবার দুপুর বেলায় বাড়ি বাড়ি সেই ঘট নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় পুজো কমিটির সদস্যদের বিভিন্ন বাড়ির গৃহবধূর হাতে তুলে দেওয়া হয় সেই ঘট ।
বিবেক সংঘ ক্লাবের তরফে তপতী দাস বলেন, "প্রতিবার বড় পুজো করার ইচ্ছে থাকলেও চাঁদা কম ওঠায় আমরা তা করে উঠতে পারি না । জোর করে চাঁদা আদায়ের কাজ আমরা করি না । তাই এবারে আমরা আগামী বছর সুবর্ণজয়ন্তী পুজোকে আরও বড় আকারে করার জন্য পরিকল্পনা করেছি । আমরা প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে ভাঁড় বা ঘট প্রদান করছি । সেই পাত্রে এক বছর ধরে সাধ্যমত সকলে যা জমাবেন তাই দিয়েই আমরা বড় পুজো করার চিন্তাভাবনা করেছি । শুধুমাত্র বড় পুজো নয় পুজোর পাশাপাশি সমাজ সেবামূলক কাজও আমরা এই পুজোতে করার ভাবনা-চিন্তা করেছি । তাই আর্থিক দুরাবস্থা কাটাতে এমন অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।"
ভাঁড় হাতে নিয়ে স্থানীয় মিতা কর বলেন, "আমাকে ক্লাবের তরফ থেকে একটি টাকা জমানোর ভাঁড় দেওয়া হয়েছে । আগামী এক বছর ধরে সেখানে যা আমরা সঞ্চয় করব সেগুলি বিবেক সংঘ ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেব । সেই টাকা জড়ো করেই পুজো করা হবে উদ্যোগে আমরা অত্যন্ত খুশি ।"