ETV Bharat / state

বিগ বাজেটের পুজো, টাকা জমাতে ভাঁড় বিলি পাড়ায় - Puja committee members are taking different steps

রায়গঞ্জের বিবেক সংঘ ক্লাবের পুজো আগামী বছর 50 বছরে পড়বে । দীর্ঘদিন ধরে পুজো করে আসলেও সেই অর্থে বিগ বাজেটের পুজো করে উঠতে পারিনি এই ক্লাব কমিটি । তাই একটি অভিনব পথ খুঁজে বার করলেন পুজো উদ্যোক্তারা । দুর্গাপুজো শেষ হওয়ার পরপরই ক্লাবের আশপাশে থাকা প্রায় 300 পরিবারকে টাকা জমানোর ভাঁড় উপহার দিলেন পুজো কমিটির সদস্যরা ।

ভাড় বিলি করতে পুজো উদ্যক্তারা
author img

By

Published : Oct 18, 2019, 2:06 PM IST

Updated : Oct 18, 2019, 2:27 PM IST

রায়গঞ্জ, 18 অক্টোবর : আগামী বছর 50 বছর পূর্তি হবে ক্লাবের । দীর্ঘদিন ধরে পুজো উদ্যোক্তারা বড় পুজো করার স্বপ্ন দেখে থাকলেও কালেকশনের অভাবে তা করে ওঠা হয়নি । কিন্তু সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষেও সাদামাটা পুজো করতে নারাজ পুজো কমিটি । তাই একটি অভিনব পথ খুঁজে বার করলেন পুজো উদ্যোক্তারা । দুর্গাপুজো শেষ হওয়ার পরপরই ক্লাবের আশপাশে থাকা প্রায় 300 পরিবারকে টাকা জমানোর ভাঁড় উপহার দিলেন পুজো কমিটির সদস্যরা । তার পাশাপাশি অনুরোধ যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী অল্প অল্প করে নিজেদের সাধ্য মত খুচরো পয়সা বা টাকা রেখে সঞ্চয় করুন । আগামী বছর পুজোর সময় সেই ঘট ভেঙে সঞ্চিত অর্থ দিলেই ভালো অঙ্কের চাঁদা জামা পড়বে ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে । যা জড়ো করে বড় বাজেটের পুজো করবে রায়গঞ্জের বিবেক সংঘ ক্লাব । যে সকল বাড়িতে ভাঁড় বিতরণ হয়েছে তারাও অত্যন্ত খুশি এই অভিনব উদ্যোগে । তাদের বক্তব্য, একসঙ্গে বেশি টাকা চাঁদা দেওয়ায় ক্ষেত্রে অসুবিধা হয় । সেই জায়গায় অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে বছর শেষে সেই টাকা ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে পারলে তা সত্যি ভালো হবে ।

রায়গঞ্জের বিবেক সংঘ ক্লাবের পুজো আগামী বছর 50 বছরে পড়বে । দীর্ঘদিন ধরে পুজো করে আসলেও সেই অর্থে বিগ বাজেটের পুজো করে উঠতে পারিনি এই ক্লাব কমিটি । এলাকাবাসীর দাবি ছিল 50 বছরে করতে হবে বড় পুজো । তবে উদ্যোক্তারা বারবার চেষ্টা করেও দেখেছেন বেশি চাঁদা একসঙ্গে দেওয়া সম্ভব হয় না স্থানীয়দের পক্ষে । তাই এবারে তারা পুজো শেষ হতেই 300 টি টাকা জমানোর ভাঁড় কিনে ফেলে । প্রথমদিকে ক্লাব কর্তৃপক্ষের মধ্যেই সেগুলি বিতরণ হলেও পরবর্তীতে এলাকাবাসীর ঘরে ঘরে সেগুলো নিয়ে পৌঁছান পুজো কমিটির সদস্যরা । সবার কাছে তাঁদের একটাই আরজি, দয়া করে সাধ্যমত জমিয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা জমা দিন । সেই টাকাতেই বিগ বাজেটের পুজো করার উদ্যোগ নিয়েছে ক্লাব কমিটি । বুধবার দুপুর বেলায় বাড়ি বাড়ি সেই ঘট নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় পুজো কমিটির সদস্যদের বিভিন্ন বাড়ির গৃহবধূর হাতে তুলে দেওয়া হয় সেই ঘট ।

Raigunj
টাকা নয় চাঁদা জমানোর জন্য এই ভাড়ই বিলি করা হয়েছে পাড়ায়

বিবেক সংঘ ক্লাবের তরফে তপতী দাস বলেন, "প্রতিবার বড় পুজো করার ইচ্ছে থাকলেও চাঁদা কম ওঠায় আমরা তা করে উঠতে পারি না । জোর করে চাঁদা আদায়ের কাজ আমরা করি না । তাই এবারে আমরা আগামী বছর সুবর্ণজয়ন্তী পুজোকে আরও বড় আকারে করার জন্য পরিকল্পনা করেছি । আমরা প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে ভাঁড় বা ঘট প্রদান করছি । সেই পাত্রে এক বছর ধরে সাধ্যমত সকলে যা জমাবেন তাই দিয়েই আমরা বড় পুজো করার চিন্তাভাবনা করেছি । শুধুমাত্র বড় পুজো নয় পুজোর পাশাপাশি সমাজ সেবামূলক কাজও আমরা এই পুজোতে করার ভাবনা-চিন্তা করেছি । তাই আর্থিক দুরাবস্থা কাটাতে এমন অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।"

দেখুন ভিডিয়ো

ভাঁড় হাতে নিয়ে স্থানীয় মিতা কর বলেন, "আমাকে ক্লাবের তরফ থেকে একটি টাকা জমানোর ভাঁড় দেওয়া হয়েছে । আগামী এক বছর ধরে সেখানে যা আমরা সঞ্চয় করব সেগুলি বিবেক সংঘ ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেব । সেই টাকা জড়ো করেই পুজো করা হবে উদ্যোগে আমরা অত্যন্ত খুশি ।"

রায়গঞ্জ, 18 অক্টোবর : আগামী বছর 50 বছর পূর্তি হবে ক্লাবের । দীর্ঘদিন ধরে পুজো উদ্যোক্তারা বড় পুজো করার স্বপ্ন দেখে থাকলেও কালেকশনের অভাবে তা করে ওঠা হয়নি । কিন্তু সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষেও সাদামাটা পুজো করতে নারাজ পুজো কমিটি । তাই একটি অভিনব পথ খুঁজে বার করলেন পুজো উদ্যোক্তারা । দুর্গাপুজো শেষ হওয়ার পরপরই ক্লাবের আশপাশে থাকা প্রায় 300 পরিবারকে টাকা জমানোর ভাঁড় উপহার দিলেন পুজো কমিটির সদস্যরা । তার পাশাপাশি অনুরোধ যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী অল্প অল্প করে নিজেদের সাধ্য মত খুচরো পয়সা বা টাকা রেখে সঞ্চয় করুন । আগামী বছর পুজোর সময় সেই ঘট ভেঙে সঞ্চিত অর্থ দিলেই ভালো অঙ্কের চাঁদা জামা পড়বে ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে । যা জড়ো করে বড় বাজেটের পুজো করবে রায়গঞ্জের বিবেক সংঘ ক্লাব । যে সকল বাড়িতে ভাঁড় বিতরণ হয়েছে তারাও অত্যন্ত খুশি এই অভিনব উদ্যোগে । তাদের বক্তব্য, একসঙ্গে বেশি টাকা চাঁদা দেওয়ায় ক্ষেত্রে অসুবিধা হয় । সেই জায়গায় অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে বছর শেষে সেই টাকা ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে পারলে তা সত্যি ভালো হবে ।

রায়গঞ্জের বিবেক সংঘ ক্লাবের পুজো আগামী বছর 50 বছরে পড়বে । দীর্ঘদিন ধরে পুজো করে আসলেও সেই অর্থে বিগ বাজেটের পুজো করে উঠতে পারিনি এই ক্লাব কমিটি । এলাকাবাসীর দাবি ছিল 50 বছরে করতে হবে বড় পুজো । তবে উদ্যোক্তারা বারবার চেষ্টা করেও দেখেছেন বেশি চাঁদা একসঙ্গে দেওয়া সম্ভব হয় না স্থানীয়দের পক্ষে । তাই এবারে তারা পুজো শেষ হতেই 300 টি টাকা জমানোর ভাঁড় কিনে ফেলে । প্রথমদিকে ক্লাব কর্তৃপক্ষের মধ্যেই সেগুলি বিতরণ হলেও পরবর্তীতে এলাকাবাসীর ঘরে ঘরে সেগুলো নিয়ে পৌঁছান পুজো কমিটির সদস্যরা । সবার কাছে তাঁদের একটাই আরজি, দয়া করে সাধ্যমত জমিয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা জমা দিন । সেই টাকাতেই বিগ বাজেটের পুজো করার উদ্যোগ নিয়েছে ক্লাব কমিটি । বুধবার দুপুর বেলায় বাড়ি বাড়ি সেই ঘট নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় পুজো কমিটির সদস্যদের বিভিন্ন বাড়ির গৃহবধূর হাতে তুলে দেওয়া হয় সেই ঘট ।

Raigunj
টাকা নয় চাঁদা জমানোর জন্য এই ভাড়ই বিলি করা হয়েছে পাড়ায়

বিবেক সংঘ ক্লাবের তরফে তপতী দাস বলেন, "প্রতিবার বড় পুজো করার ইচ্ছে থাকলেও চাঁদা কম ওঠায় আমরা তা করে উঠতে পারি না । জোর করে চাঁদা আদায়ের কাজ আমরা করি না । তাই এবারে আমরা আগামী বছর সুবর্ণজয়ন্তী পুজোকে আরও বড় আকারে করার জন্য পরিকল্পনা করেছি । আমরা প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে ভাঁড় বা ঘট প্রদান করছি । সেই পাত্রে এক বছর ধরে সাধ্যমত সকলে যা জমাবেন তাই দিয়েই আমরা বড় পুজো করার চিন্তাভাবনা করেছি । শুধুমাত্র বড় পুজো নয় পুজোর পাশাপাশি সমাজ সেবামূলক কাজও আমরা এই পুজোতে করার ভাবনা-চিন্তা করেছি । তাই আর্থিক দুরাবস্থা কাটাতে এমন অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।"

দেখুন ভিডিয়ো

ভাঁড় হাতে নিয়ে স্থানীয় মিতা কর বলেন, "আমাকে ক্লাবের তরফ থেকে একটি টাকা জমানোর ভাঁড় দেওয়া হয়েছে । আগামী এক বছর ধরে সেখানে যা আমরা সঞ্চয় করব সেগুলি বিবেক সংঘ ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেব । সেই টাকা জড়ো করেই পুজো করা হবে উদ্যোগে আমরা অত্যন্ত খুশি ।"

Intro:রায়গঞ্জ,১৬ অক্টোবর:- আগামী বছর 50 বছর পূর্তি হবে ক্লাবের। দীর্ঘদিন ধরে পুজো উদ্যোক্তারা বড় পুজো করার স্বপ্ন দেখে থাকলেও কালেকশন এর অভাবে তা করে ওঠা হয়নি। কিন্তু সুবর্ণ জয়ন্তী বসেও সাদামাটা পুজো করতে নারাজ পুজো কমিটি। তাই বুদ্ধি খাটিয়ে একটি অভিনব পথ খুঁজে বার করলেন পুজো উদ্যোক্তারা। দুর্গাপুজো শেষ হওয়ার পরপরই ক্লাবের আশেপাশে থাকা প্রায় 300 পরিবারকে টাকা জমানোর ঘট উপহার দিলেন পুজো কমিটির সদস্যরা ।তার পাশাপাশি অনুরোধ যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী অল্প অল্প করে নিজেদের সাধ্য মত খুচরো পয়সার টাকা রেখে সঞ্চয় করুন ।আগামী বছর পুজোর সময় সেই ঘট ভেঙে সঞ্চিত অর্থ দিলেই মোটা অংকের চাঁদা জামা পরবে ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে। যা জড়ো করে বড় বাজেটের পুজো করবেন রায়গঞ্জের বিবেক সংঘ ক্লাব। যে সকল বাড়িতে ঘট বিতরণ হয়েছে তারাও অত্যন্ত খুশি এই উদ্যোগে। তাদের দাবি একসঙ্গে বেশি টাকা চাঁদা দেওয়ায় ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়। সেই জায়গায় অল্প অল্প করে টাকা জমিয়ে বছর শেষে সেই টাকা ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে পারলে তা সত্যি উপকারী হবে।

রায়গঞ্জের বিবেক সংঘ ক্লাবের পুজো আগামী বছর 50 বছরে পড়বে ।দীর্ঘদিন ধরে পুজো করে আসলেও সেই অর্থে বিগ বাজেটের পুজো করে উঠতে পারিনি এই ক্লাব কমিটি।এলাকাবাসীর দাবি ছিল 50 বছরে করতে হবে বড় পুজো। তবে উদ্যোক্তারা বারবার চেষ্টা করেও দেখেছেন বেশি চাঁদা একসঙ্গে দেওয়া সম্ভব হয় না স্থানীয়দের পক্ষে। তাই তাই এবারে তারা পুজো শেষ হতেই 300 টি টাকা জমানোর ঘট কিনে ফেলে ক্লাব সদস্যরা। প্রথমদিকে ক্লাব কর্তৃপক্ষের মধ্যেই সেগুলি বিতরণ হলেও পরবর্তীতে এলাকাবাসীর ঘরে ঘরে সেগুলো নিয়ে পৌঁছায় পুজো কমিটির সদস্যরা। সবার কাছে তাদের একটাই আরজি দয়া করে সাধ্যমত জমিয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা জমা দিন। সেই টাকাতেই বিগ বাজেটের পুজো করার উদ্যোগ নিয়েছে ক্লাব কমিটি। বুধবার দুপুর বেলায় বাড়ি বাড়ি সেই ঘট নিয়ে ঘুরতে দেখা যায় পুজো কমিটির সদস্যদের বিভিন্ন বাড়ির গৃহবধূর হাতে তুলে দেওয়া হয় সেই ঘট।

বিবেক সংঘ ক্লাবের তরফে তপতী দাস বলেন প্রতিবার বড় পুজো করার ইচ্ছে থাকলেও চাঁদা কম উঠায় আমরা তা করে উঠতে পারিনা ।জোর করে চাঁদা আদায়ের কাজ আমরা করিনা ।তাই এবারে আমরা আগামী বছর সুবর্ণজয়ন্তী পুজোকে আরো বড় আকারে করার জন্য পরিকল্পনা করেছি ।আমরা প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে ঘট প্রদান করছি। সেই পাত্রে এক বছর ধরে সাধ্যমত গৃহবধূরা যা জমাবেন তাই দিয়েই আমরা বড় পুজো করার চিন্তাভাবনা করেছি ।শুধুমাত্র বড় পূজো নয় পুজোর পাশাপাশি সমাজ সেবামূলক কাজ ও আমরা এই পুজোতে করব। তাই আর্থিক দুরবস্থা কাটাতে এমন অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ঘট হাতে নিয়ে স্থানীয় এক গৃহবধূ মিতা কর বলেন, আমাকে ক্লাবের তরফ একটি টাকা জমানোর ঘট দেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছর ধরে সেখানে যা আমরা সঞ্চয় করব সেগুলি বিবেক সংঘ ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেব। সেই টাকা জড়ো করেই পুজো করা হবে উদ্যোগে আমরা অত্যন্ত খুশি।

অন্য এক গৃহবধূ টুকাই দে বলেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ বড় পুজো করতে এক বছর ধরে টাকা জমানোর এক অভিনব রাস্তা বার করেছে। আমরা চাঁদের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি পাশাপাশি নিজেদের সাধ্যমত আমরা টাকা জমিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেব।



Body:হয়


Conclusion:জেফ
Last Updated : Oct 18, 2019, 2:27 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.