রায়গঞ্জ, 10 ডিসেম্বর: ডিজিটাল যুগে কোথায় যেন হারিয়ে যেতে বসেছে গল্পের বই পড়ার প্রবণতা। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের যুগে গল্পের বই পড়ার যে অভ্যাস ছিল, তা ক্রমশ চাপা পড়ে যাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই। সেই অভ্যাস যাতে ফিরে আসে, তার জন্য অভিনব প্রয়াস রায়গঞ্জের বীরনগরের সরকার বাড়ির হবু পাত্র প্রসেনজিৎ সরকার ও তাঁর পরিবারের। বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্রের সঙ্গে একটি করে গল্পের বই উপহার দিয়ে তাক লাগালেন পাত্র প্রসেনজিৎ।
তিনি বলেন, "বর্তমান ডিজিটাল যুগে আমরা সবাই মোবাইল ল্যাপটপে আসক্ত। বই পড়ার প্রবণতা এখন নেই বললেই চলে। কিন্তু একটা সময় বই ছিল অবসর সময় অতিবাহিত করার একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু আজ সেসব অতীত। তাই পুরোনো দিনের সেই অনুভূতিকে জাগিয়ে তুলতেই এমন উদ্যোগ।" প্রসেনজিতের মা স্বপ্না সরকারও এই অভিনব আয়োজন ঘিরে বেশ উৎসাহিত। তিনি জানান, বই পড়ার আগ্রহ এখন আর তেমন দেখা যায় না। বইয়ের সাথে মানুষের দুরত্ব তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই উদ্যোগে আত্মীয় পরিজনদের থেকে যথেষ্ট সাড়া মিলছে বলে জানান স্বপ্না দেবী। প্রসেনজিতের বন্ধু দেবার্ঘ্য দত্ত জানান, এত সুন্দর ভাবনা কল্পনাতীত ৷ অভিনব ভাবনায় বেশ খুশী। বইয়ের গুরুত্ব প্রাধান্য পেয়েছে বিয়ের কার্ডে। যা দেখে এমন পরিকল্পনা নেবেন অন্যরাও।
উল্লেখ্য, অঘ্রান মাস পরতেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের মরশুম। চারিদিকে বাজছে সানাইয়ের সুর। আর এই আবহে প্রসেনজিৎ সরকারের বিয়েতেও শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের তোড়জোড় ৷ আগামী ১৫ ডিসেম্বর প্রসেনজিতের বিয়ে। শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্র বিলির কাজ ৷ সেখানেই রয়েছে অভিনবত্ব ৷ বিয়ের কার্ডের সঙ্গে গল্পের বই বিতরণ করেছেন। যা সচরাচর দেখা যায় না কোথাও। বিয়ের বাকি আর মাত্র 4 দিন। সরকার বাড়িতে বাজবে সানাই। সকলের শুভকামনায় রচিত হবে নতুন জীবন। আর বইয়ের মাধ্যমে তা স্মৃতি হয়ে থাকবে আত্মীয় পরিজন ও আমন্ত্রিতদের মনে।
আরও পড়ুন:
1. লেপ্টোস্পাইরোসিসে আক্রান্ত রকি, রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচাল সারমেয় সিরি
3. দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় সাইবেরিয়ার টাইগার দম্পতি, বেঙ্গল সাফারি পার্কে আসছে সিংহ