ETV Bharat / state

পাওনা টাকা চাওয়াতে জেলাশাসকের দুর্ব্যবহার, অভিযোগ করে ফেসবুকে পোস্ট মহিলার

author img

By

Published : Aug 21, 2019, 6:05 PM IST

Updated : Aug 21, 2019, 7:16 PM IST

লোকসভা নির্বাচনের সময় সরবরাহ করা খাবারের পাওনা টাকা চাইতে জেলাশাসকের অফিসে গেছিলেন । বিল মেটানোর পরিবর্তে জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা না কি তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন । এই অভিযোগ রায়গঞ্জের বাসিন্দা তামান্না দে-র । গোটা ঘটনা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন পেশায় স্কুল শিক্ষিকা তামান্না । ঘটনাটি বিস্তারিত জানিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি ও মেলও পাঠিয়েছেন । যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন জেলাশাসক ।

তামান্না দে

রায়গঞ্জ, 21 আগাস্ট : লোকসভা নির্বাচনের সময় সরবরাহ করা খাবারের পাওনা টাকা চাইতে জেলাশাসকের অফিসে গেছিলেন । বিল মেটানোর পরিবর্তে জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা না কি তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন । এই অভিযোগ রায়গঞ্জের বাসিন্দা তামান্না দে-র । গোটা ঘটনা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন পেশায় স্কুল শিক্ষিকা তামান্না । ঘটনাটি বিস্তারিত জানিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি ও মেলও পাঠিয়েছেন । যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন জেলাশাসক । সমস্ত বিষয়টি সর্বসমক্ষে আনতে জেলা প্রশাসনের তরফে ফেসবুকে পালটা পোস্ট করা হবে বলে তিনি জানান ।

তামান্না দে জানান, লোকসভা নির্বাচনের সময় তার দেওরের রেস্তরাঁ থেকে খাবার নিয়েছিল জেলা প্রশাসন । প্রায় 5 লাখ টাকার বিল হয় । কয়েকদিন পর 2 লাখ 62 হাজার টাকার বিল মেটানো হয় । এরপর পরিবারের এক সদস্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তামান্না বাকি টাকা মেটানোর জন্য কয়েকদিন আগে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন । তাঁর অভিযোগ, বিল মেটানোর কথা বলতেই জেলাশাসক তামান্নাকে বলেন, কাজ কীভাবে করতে হয় তা আমাদের জানা রয়েছে । আপনার থেকে আমরা শিখব না । আপনি আমার ঘর থেকে বেরিয়ে যান ।"

শুনুন তামান্না দে-র বক্তব্য

তামান্না বলেন, "জেলাশাসক খুব বাজেভাবে একজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করেছেন । বিষয়টি আমার মোটেও ভালো লাগেনি । আমি হাইস্কুলের শিক্ষিকা । আমিও সরকারি চাকরিজীবী । সরকারি চেয়ারে বসে কী করে একজন জেলাশাসক কোনও সাধারণ মানুষ বা মহিলার সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারেন, তা আমার জানা নেই । আমি পুরো ঘটনা বিস্তারিত জানিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি ও ই-মেল পাঠিয়েছি । যদিও জবাব আসেনি । আগামীতে বিষয়টি সরাসরি আমি মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করে জানাব । সেই চেষ্টা করছি ।" জেলাশাসক বলেন, "বিষয়টি শুনেছি । আমার আধিকারিকদের বলেছি কাগজপত্র বার করতে । আমি কারও সঙ্গে অভদ্র আচরণ করি না ।"

রায়গঞ্জ, 21 আগাস্ট : লোকসভা নির্বাচনের সময় সরবরাহ করা খাবারের পাওনা টাকা চাইতে জেলাশাসকের অফিসে গেছিলেন । বিল মেটানোর পরিবর্তে জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা না কি তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন । এই অভিযোগ রায়গঞ্জের বাসিন্দা তামান্না দে-র । গোটা ঘটনা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন পেশায় স্কুল শিক্ষিকা তামান্না । ঘটনাটি বিস্তারিত জানিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি ও মেলও পাঠিয়েছেন । যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন জেলাশাসক । সমস্ত বিষয়টি সর্বসমক্ষে আনতে জেলা প্রশাসনের তরফে ফেসবুকে পালটা পোস্ট করা হবে বলে তিনি জানান ।

তামান্না দে জানান, লোকসভা নির্বাচনের সময় তার দেওরের রেস্তরাঁ থেকে খাবার নিয়েছিল জেলা প্রশাসন । প্রায় 5 লাখ টাকার বিল হয় । কয়েকদিন পর 2 লাখ 62 হাজার টাকার বিল মেটানো হয় । এরপর পরিবারের এক সদস্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তামান্না বাকি টাকা মেটানোর জন্য কয়েকদিন আগে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন । তাঁর অভিযোগ, বিল মেটানোর কথা বলতেই জেলাশাসক তামান্নাকে বলেন, কাজ কীভাবে করতে হয় তা আমাদের জানা রয়েছে । আপনার থেকে আমরা শিখব না । আপনি আমার ঘর থেকে বেরিয়ে যান ।"

শুনুন তামান্না দে-র বক্তব্য

তামান্না বলেন, "জেলাশাসক খুব বাজেভাবে একজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করেছেন । বিষয়টি আমার মোটেও ভালো লাগেনি । আমি হাইস্কুলের শিক্ষিকা । আমিও সরকারি চাকরিজীবী । সরকারি চেয়ারে বসে কী করে একজন জেলাশাসক কোনও সাধারণ মানুষ বা মহিলার সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারেন, তা আমার জানা নেই । আমি পুরো ঘটনা বিস্তারিত জানিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি ও ই-মেল পাঠিয়েছি । যদিও জবাব আসেনি । আগামীতে বিষয়টি সরাসরি আমি মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করে জানাব । সেই চেষ্টা করছি ।" জেলাশাসক বলেন, "বিষয়টি শুনেছি । আমার আধিকারিকদের বলেছি কাগজপত্র বার করতে । আমি কারও সঙ্গে অভদ্র আচরণ করি না ।"

Intro:রায়গঞ্জ,২১ আগস্ট:- লোকসভা নির্বাচনের সময় জেলাশাসকের দপ্তরে আধিকারিকদের জন্য দেওয়া খাবারের বিল চাইতে গিয়ে জেলাশাসকের অভদ্র আচরণ সহ্য করতে হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে সরাসরি ফেসবুকে পোস্ট করলেন রায়গঞ্জের এক স্কুল শিক্ষিকা তামান্না দে'র। ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে চিফ সেক্রেটারি কে ইমেইল এবং চিঠি মারফত অভিযোগ জানিয়েছেন ওই স্কুল শিক্ষিকা। বিষয়টি নিয়ে চিপ সেক্রেটারি সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন তামান্না দেবী। ফেসবুকে করা ওই পোস্ট কে ঘিরে ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জের বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। পোস্টটি দেদার শেয়ার করছেন নেটিজেনরা। আসছে লাইক কমেন্টও। সব মিলিয়ে এই পোস্টটির জন্য অনেকেই ওই মহিলার প্রশংসাও করেছেন। যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং মহিলার সঙ্গে কোনরকম অভদ্র আচরণ করা হয়নি বলেই দাবি করছেন জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। তার দাবি সমস্ত বিষয়টি সবার সামনে আনতে ফেসবুক পোস্টের পাল্টা পোস্ট দেওয়া হবে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে।

তামান্না দাবি জানিয়েছেন গত লোকসভা নির্বাচনের সময় তার দেওরের রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার নেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছিল জেলা প্রশাসন। সেই মতো বিভিন্ন ভেন্ডার এর মারফত তারা প্রায় 5 লক্ষ টাকার খাবার সামগ্রী জেলা প্রশাসন কে দিয়েছিলেন। তবে সেই সময় বাড়িতে এক অসুস্থ রোগী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যাওয়ায় সমস্যা পড়তে হয় তামান্না দেবীদের। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিক সহ জেলাশাসক কেউ তিনি বারবার জানিয়েছিলেন। সেইমতো জেলা প্রশাসনের তরফে 2 লক্ষ 62 হাজার টাকার একটা চেক তামান্না দেবীদের দেওয়া হয়। তবে বাকি টাকার জন্য দিনের পর দিন ঘুরতে হয়েছিল তাদের। বিষয়টি নিয়ে কিছুদিন আগে জেলাশাসক এর সঙ্গে দেখা করতে যান তামান্না দেবী। টাকা যাওয়ার পর জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা সরাসরি তাকে জানিয়ে দেন যে কাজ কিভাবে আমাদের করতে হয় তা আমাদের জানা রয়েছে আপনার থেকে আমরা শিখবো না। আপনি আমার ঘর থেকে বেরিয়ে যান। তোমার নাবির দাবি খুব রুক্ষভাবে একজন সাধারন মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করেছিলেন জেলাশাসক। বিষয়টি তার মোটেও ভালো লাগেনি। তিনি সমস্ত বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জানিয়ে রাজ্যের চিপ সেক্রেটারি কাছে ইমেইলে এবং পরবর্তীতে চিঠি আকারে অভিযোগ জানিয়েছেন। আগামীতে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি তিনি চিফ সেক্রেটারি সঙ্গেও দেখা করবেন।

এদিন ইটিভি ভারতকে দেওয়া এসক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে তামান্না দেবী বলেন আমার দেওরের রেস্টুরেন্ট থেকে লোকসভা নির্বাচনে জেলা শাসক দপ্তরে আধিকারিকদের জন্য খাবার সাপ্লাই করা হয়েছিল। মোট পাঁচ লক্ষ টাকার বিল সাবমিট করা হয়। আমাদের বাড়িতে ক্যান্সারের একজন রোগী থাকার কারণে আমরা চাইছিলাম বিলটি যেন তাড়াতাড়ি আমাদেরকে দিয়ে দেওয়া হয়। বারবার বলার পর আমাদের দু'লক্ষ বাষট্টি টাকার একটা চেক জেলাশাসকের দপ্তর থেকে দেওয়ার পরেও বাকি টাকা জন্য ঘুরতে হচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে আমি সরাসরি জেলাশাসক কে সঙ্গে দেখা করি। তাকে আবার বিষয়টি নিয়ে বলার পর তিনি অত্যন্ত অভদ্রভাবে আমার সঙ্গে কথা বলেন। তখন আর তার ঘর থেকে আমাকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা তিনি বলেন। আমিও একজন সরকারি চাকরিজীবী। সরকারি চেয়ারে বসে কি করে একজন জেলাশাসক আমার মতো সাধারণ মানুষ বা মহিলার সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারে তা আমার জানা নেই। সমস্ত বিষয়টি জানিয়ে আমি চিপ সেক্রেটারি কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। এখনো কোনো উত্তর সেখান থেকে পাওয়া যায়নি। তবে আগামীতে এই বিষয়টি নিয়ে আমি সরাসরি চিফ সেক্রেটারি সঙ্গে দেখা করব।

জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা কে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি শুনতে পেয়েছি আমার আধিকারিকদের কে বলেছি কাগজপত্র বার করতে আমি কারো সঙ্গে কোনো অভদ্র আচরণ করি না।

বাইট:-- তামান্না দে।

অরবিন্দ কুমার মিনা।

তারক চক্রবর্তী ,,রায়গঞ্জ।।


Body:হাফ


Conclusion:হাফ
Last Updated : Aug 21, 2019, 7:16 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.