রায়গঞ্জ, 21 আগাস্ট : লোকসভা নির্বাচনের সময় সরবরাহ করা খাবারের পাওনা টাকা চাইতে জেলাশাসকের অফিসে গেছিলেন । বিল মেটানোর পরিবর্তে জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা না কি তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন । এই অভিযোগ রায়গঞ্জের বাসিন্দা তামান্না দে-র । গোটা ঘটনা লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন পেশায় স্কুল শিক্ষিকা তামান্না । ঘটনাটি বিস্তারিত জানিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি ও মেলও পাঠিয়েছেন । যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন জেলাশাসক । সমস্ত বিষয়টি সর্বসমক্ষে আনতে জেলা প্রশাসনের তরফে ফেসবুকে পালটা পোস্ট করা হবে বলে তিনি জানান ।
তামান্না দে জানান, লোকসভা নির্বাচনের সময় তার দেওরের রেস্তরাঁ থেকে খাবার নিয়েছিল জেলা প্রশাসন । প্রায় 5 লাখ টাকার বিল হয় । কয়েকদিন পর 2 লাখ 62 হাজার টাকার বিল মেটানো হয় । এরপর পরিবারের এক সদস্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তামান্না বাকি টাকা মেটানোর জন্য কয়েকদিন আগে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন । তাঁর অভিযোগ, বিল মেটানোর কথা বলতেই জেলাশাসক তামান্নাকে বলেন, কাজ কীভাবে করতে হয় তা আমাদের জানা রয়েছে । আপনার থেকে আমরা শিখব না । আপনি আমার ঘর থেকে বেরিয়ে যান ।"
তামান্না বলেন, "জেলাশাসক খুব বাজেভাবে একজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে ব্যবহার করেছেন । বিষয়টি আমার মোটেও ভালো লাগেনি । আমি হাইস্কুলের শিক্ষিকা । আমিও সরকারি চাকরিজীবী । সরকারি চেয়ারে বসে কী করে একজন জেলাশাসক কোনও সাধারণ মানুষ বা মহিলার সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারেন, তা আমার জানা নেই । আমি পুরো ঘটনা বিস্তারিত জানিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি ও ই-মেল পাঠিয়েছি । যদিও জবাব আসেনি । আগামীতে বিষয়টি সরাসরি আমি মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করে জানাব । সেই চেষ্টা করছি ।" জেলাশাসক বলেন, "বিষয়টি শুনেছি । আমার আধিকারিকদের বলেছি কাগজপত্র বার করতে । আমি কারও সঙ্গে অভদ্র আচরণ করি না ।"