রায়গঞ্জ, 15 অক্টোবর: চাইনিজ ডিজিটাল আলোকমালার পরিবর্তে ক্রেতারা আবার ঝুঁকেছে ঐতিহ্যের মোমবাতির আলোর দিকে। ফলে ধুঁকতে থাকা মোমবাতি নির্মাণ শিল্প এখন চাঙ্গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাওয়াখাওয়া ভুলে শ্রমিকরা দিনরাত এক করে তৈরি করে চলেছেন ছোট থেকে বড় বিভিন্ন ডিজাইনের দীপাবলির মোমবাতি (Diwali Preparation in Raiganj)।
একটা সময় ছিল মাটির প্রদীপ আর মোমবাতির আলো দিয়ে দীপাবলির রাতে সাজানো হতো বাড়ি-ঘর থেকে সমস্ত ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ইলেকট্রিক টুনি বাল্ব আর চাইনিজ ডিজিটাল (Digital) আলোর দাপটে ঢাকা পড়ে গিয়েছিল মোমবাতির আলো। অস্তিত্বের সঙ্কটে ধুঁকছিল মোমবাতি শিল্প। কিন্তু মানুষ আবার ফিরে এসেছে পুরনো ঐতিহ্যবাহী মাটির প্রদীপ আর মোমবাতির সুসজ্জিত আলোর ঝর্ণাধারায়।
মুখে হাসি ফুটেছে মোমবাতি নির্মাণকারী শিল্প কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের মুখে। চাহিদা বেড়েছে দীপাবলির মোমবাতির। আর ক'দিন বাদেই দীপাবলি (Diwali) । ঘরে ঘরে অন্ধকার দূর করে মানুষ মেতে উঠবে আলোর খেলায়। তাই এখন মোমবাতি শিল্প কারখানাগুলিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে। রায়গঞ্জের কলেজপাড়ায় 'সন্ধ্যাতারা' মোমবাতি কারখানার শ্রমিকরা দিনরাত এক করে তৈরি করে চলেছেন ছোট, বড় নানান ধরনের নানান ডিজাইনের মোমবাতি।
আরও পড়ুন: আবহাওয়া খারাপ, তড়িঘড়ি দিওয়ালি পুতুল তৈরিতে ব্যস্ত কুমোরপাড়া
কারখানার মালিক দেবাংশু সাহা বলেন, "করোনা আবহে গতবারের তুলনায় এবারে দীপাবলির মোমবাতির চাহিদা অনেক বেশি। ছোট, বড় স্ট্যান্ড মোমবাতি থেকে শুরু 25 রকমের মোমবাতি তৈরি করা হয় আমাদের কারখানায়। আর দীপাবলির জন্য আকর্ষণীয় সাত রকমের বিভিন্ন ডিজাইনের মোমবাতি তৈরি করা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুরু করে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের বাজারে বিক্রি হয় আমাদের নির্মিত মোমবাতি।"