রায়গঞ্জ, 8 মে : করোনা আক্রান্তের মৃতদেহ বাড়িতেই পড়ে থাকল সাত থেকে আট ঘণ্টা । বাড়ির লোকজন থেকে প্রতিবেশী আতঙ্কে সকলেই । হেলদোল নেই প্রশাসনের । এমন ঘটনায় ব্যাপক ক্ষোভ ও চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহরের এফসিআই মোড় সংলগ্ন এলাকায় । প্রায় আট ঘণ্টা পর পুর প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে ।
রায়গঞ্জ শহরের পুরসভার 1 নম্বর ওয়ার্ডের এফসিআই মোড়ে অঙ্কুর দাসের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন গোপাল কর্মকার নামে এক ব্যক্তি । গত 4 মে অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । সেখানে কোভিড পজিটিভ হলে তাঁকে হাসপাতালের কোভিড আইসোলেশনে রাখা হয় । 7 মে শুক্রবার বেলা 10 টা নাগাদ গোপাল কর্মকারকে ছুটি দিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসার 1 ঘন্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় গোপাল কর্মকারের ।
কোভিড আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে গোপালবাবুর ৷ এই আশঙ্কায় বাড়িওয়ালা থেকে শুরু করে প্রতিবেশী কেউই মৃত গোপালবাবুর ধারে কাছে যায়নি । এই অবস্থায় বাড়িতেই সাত-আট ঘণ্টা পড়ে থাকে গোপাল কর্মকারের মৃতদেহ । এলাকায় বাড়তে থাকে আতঙ্ক ও ক্ষোভ । বেলা 11 টা নাগাদ গোপাল কর্মকারের মৃত্যু হলেও সন্ধ্যা 6 টা পর্যন্ত পুর প্রশাসন বা স্বাস্থ্য দফতর কেউই মৃতদেহ উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা ।
মৃত গোপালবাবুর বাড়িওয়ালা অঙ্কুর দাস বলেন, ‘‘গোপালবাবুকে হাসপাতাল ছুটি দিয়েছে, ঠিকই কিন্তু করোনা নেগেটিভ কি না, তা কিছু উল্লেখ করা হয়নি । শুক্রবার হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরে আসার এক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর । খুব স্বাভাবিক ভাবেই আমরা ভীষণ ভাবে আতঙ্কিত হয়ে আছি ।’’
আরও পড়ুন : হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে তৈরি হচ্ছে সেফ হোম
আর তাছাড়া গোপালবাবুর মৃতদেহ সাত-আট ঘণ্টা বাড়িতে পড়ে থাকলেও সেই ব্যাপারে উদাসীন ছিল রায়গঞ্জ পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতর ৷ ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতের দিকে এসে গোপাল কর্মকারের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের স্বাস্থ্যকর্মীরা ।