রায়গঞ্জ , 7 এপ্রিল : লকডাউনের মধ্যে কাউন্সিলরকে গুলি করার আগে তাঁকে নাম ধরে সম্বোধন করেছিল দুষ্কৃতীরা । তাঁদের ডাক শুনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন তপনবাবু । প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে কাউন্সিলারকে "তপনদা" বা "তপনকাকু" বলে ডেকেছিল দুই দুষ্কৃতী । রায়গঞ্জের কাউন্সিলর তপন দাসের গুলি কাণ্ডের তদন্ত করতে নেমে এমনই সব তথ্য হাতে পাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা । প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন , ওই দুষ্কৃতীরা একটি মোটর বাইকে এসেছিল এবং তারা গুলি ছোড়ার একটু আগে কাউন্সিলরকে "দাদা" বা "কাকু" বলে ডেকেছিল । যদিও প্রত্যক্ষদর্শীরা ওই দুষ্কৃতীদ্বয়কে ভালোভাবে দেখতে পারেনি বলেই দাবি করেছে ।
সোমবার দুপুর 12টা নাগাদ রায়গঞ্জের 22 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন দাস বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন ৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান , সেই সময় ওই দুই বাইক আরোহী তাঁকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করে ৷ প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুষ্ক়তীরা নম্বরবিহীন মোটরবাইকে করে আসে ৷ গুলি করার আগে তাঁকে কাকু বা দাদা বলে ডাকে ৷ তদন্তকারীদের একাংশের ধারণা, দুষ্কৃতীরা 22 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে আগে থেকেই চিনত । অন্যদিকে, বর্তমানে কাউন্সিলরের অবস্থায খানিকটা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে চিকিৎসকেরা ৷ যদিও এখনও তাঁর শরীর থেকে গুলি বার করা সম্ভব হয়নি ৷ তবে ক্ষতস্থানগুলি নিরাময়ের কাজ করা হয়েছে । এই প্রসঙ্গে তপনবাবুর ছেলে তনয় দাস বলেন , "বাবা বর্তমানে সুস্থ আছেন । চিকিৎসকরা তাঁকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন ৷ আশা করছি উনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন ।"
এদিকে , আজ সকাল থেকেই শহরের আনাচে-কানাচে শাসকদলের কাউন্সিলরকে গুলি করার ঘটনা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা মানুষের মুখে মুখে ঘুরে বেরিয়েছে । লকডাউনের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিতে বাজারে বা গ্যাসের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষের মুখে একই আলোচনা চলেছে । তাঁরা প্রত্যেকেই দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবি তুলেছে ৷ এই বিষয়ে রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন , "আমরা ঘটনার তদন্ত করছি । আশা করি দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা যাবে ।"