ইসলামপুর, ৯ এপ্রিল : ভোটের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখনোই সমর্থন নয়, সাফ জবাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর। আর মমতার প্রয়োজন হলে তিনি বিজেপির কাছে যাবেন, কারণ ওদের মধ্যে বহু পুরোনো সম্পর্ক। শুক্রবার কালিয়াগঞ্জের নাট মন্দিরের মাঠে সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী প্রভাস সরকারের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা করার পর বিকেল চারটেয় ইসলামপুর বিধানসভার সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেস প্রার্থী সাদিকুল ইসলামের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় যান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।
এদিন ইসলামপুর পৌর বাস টার্মিনালে জনসভায় সংযুক্ত মোর্চার নেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজ্যে সংযুক্ত মোর্চার সরকার গড়া নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সংযুক্ত মোর্চা ক্ষমতায় আসছে ৷ ডা. সাদিকুল ইসলাম জিতছে ৷ বাংলায় পরিবর্তন আসছে ৷ সংযুক্ত মোর্চার ঝড় উঠেছে ৷ সেই ঝড় তুফানে রূপান্তরিত হয়েছে ৷ সেই তুফানে বাংলার দিঘা থেকে দার্জিলিং মানুষের ঢল নামছে সংযুক্ত মোর্চার পক্ষে ৷ বাংলার মানুষ সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে প্রাধান্য দেবে না ৷'
আরও পড়ুন: কলকাতাকে ফিউচার সিটি বানানোর শাহী চ্যালেঞ্জ
তাঁর দাবি গতবার নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের সময় রাজ্যে 'লেনা দেনা কেনাবেচার রাজনীতি' ছিল না ৷ আর এই কেনাবেচা শুরু করেছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী ৷ এখন তাঁর দলের লোকরাই একের পর এক বিজেপিতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে বলেও তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করেন তিনি ৷ আর এখন সেই পথ ধরেছে বিজেপি ৷
সংযুক্ত মোর্চা তথা কংগ্রেস কর্মী সাদিকুল ইসলামকে 'একজন সৎ নিষ্ঠাবান' বলে পরিচিতি দেন অধীর ৷ তাই তাঁর উপর আস্থা রাখছে বর্তমান সংযুক্ত মোর্চা ৷ সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর আবেদন 'আপনারা ভরসা রাখতে পারেন ৷'
এই জনসভায় অধীর ছাড়াও ছিলেন জেলা কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ তবে আশ্চর্যজনক যে, দু'টি সভার একটিতেও দেখা মেলেনি প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদিকা দীপা দাশমুন্সির ৷