রায়গঞ্জ, 7 নভেম্বর: সারা শরীরে বিদ্যুতের তার জড়ানো ৷ আর ঘরের মেঝেতে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে রয়েছে বছর 17’র কিশোর অভীক দাস ৷ রবিবার রাতে বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরে এমনই ভয়াবহ দৃশ্যের সাক্ষী হন অশোক দাস এবং তাঁর স্ত্রী ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের উকিলপাড়ায় ৷ জানা গিয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র অভীক মাঝে মাঝে নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করত ৷ মনে করা হচ্ছে, তেমনি কিছু করার সময় বিদ্যৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার (Class 12 Student Dies Due to Electrocution) ৷
অভিকের বাবা অশোক দাস জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন ৷ বাড়িতে অভিক এবং তাঁর ঠাকুমা ছিলেন ৷ রাতে বাড়ি ফিরে ডাকাডাকি করলেও অভীক দরজা খোলেনি ৷ তখন অশোক দাস তাঁর সঙ্গে থাকা চাবি দিয়ে দরজা খুলে বাড়িতে ঢোকেন ৷ দোতলার ঘরে গিয়ে তিনি দেখেন, ছেলে ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে ৷ আর তার শরীরে বিদ্যুতের তার জড়িয়ে রয়েছে ৷ তাকে দ্রুত রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন ৷
খবর পেয়ে পুলিশ রায়গঞ্জ হাসপাতাল থেকে অভীকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয় ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই অভীকের মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ প্রসঙ্গত, অশোক দাস পেশায় অধ্যাপক ৷ তিনি জানান, অভীক ছোটবেলা থেকেই নানান বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করত ৷ এর আগেও আগুন নিয়ে ভৌত বিজ্ঞানের পরীক্ষা করেছিল অভীক ৷ তেমনি কিছু করতে গিয়েছিল বলে অনুমান করছে মৃত ছাত্রের পরিবার ৷
আরও পড়ুন: নৈহাটিতে 'বড়মা'র বিসর্জনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত যুবক
অভীকের বাবার সহকর্মী অধ্যাপক দেবাশিস বিশ্বাস দাবি করেছেন, যেভাবে অভীকের গায়ে তার জড়ানো রয়েছে, তা দেখে মনে হচ্ছে অভিক কোনও ‘ছদ্ম বিজ্ঞানে’র কৌশল প্রয়োগ করছিল ৷ আর সেটা করতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে ৷ তাঁর কথায়, এখন ইউটিউবের মতো ভিডিয়ো প্ল্যাটফর্মে নাানা ‘ছদ্ম বিজ্ঞানে’র কৌশল খুঁজে পাওয়া যায় ৷ তেমনই কোনও পরীক্ষা বাবা-মা’র অনুপস্থিতিতে করতে গিয়েছিল সারদা বিদ্যামন্দিরের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া অভীক ৷