রায়গঞ্জ, 21 জুলাই: চোপড়ায় মাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের 24 ঘণ্টার মধ্যেই কাছাকাছি এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক যুবকের মৃতদেহ । মৃত যুবকের নাম ফিরোজ় আলম । ঘটনায় মৃত ছাত্রীর বাবা ও দুই দাদাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । আজ তাঁদের ইসলামপুর ACJM আদালতে তোলা হয় । বিচারকের নির্দেশ মতো তাঁদের 10 দিনের হেপাজতে নিল চোপড়া থানার পুলিশ ।
মাধ্যমিক উত্তীর্ণ কিশোরীর দেহ যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছিল সেখান থেকে 50 মিটারের মধ্যে একটি নালা থেকে গতকাল ফিরোজ়ের দেহ উদ্ধার হয় । ফিরোজের বিরুদ্ধে আবার কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ এনেছিল BJP । অন্যদিকে মৃত ছাত্রীর পরিবারের লোকজনই ফিরোজকে খুন করে নালাতে ফেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে । মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যরা চোপড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মৃত ছাত্রীর বাবা ও দুই দাদাকে গ্রেপ্তার করে চোপড়া থানার পুলিশ । দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় ।
আজ ধৃতদের ইসলামপুর ACJM আদালতে তোলা হয় । বিচারক তাঁদের 10 দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন । ইসলামপুর আদালতের সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় ভাওয়াল জানান, "তিনজনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে । 13 দিনের হেপাজতের আবেদন করেছিল পুলিশ । কিন্তু, বিচারক অভিযুক্তদের 10 দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেন ।" এক অভিযুক্ত এই নিয়ে বলেন, "আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে।"