ETV Bharat / state

লকডাউনের জেরে লোকসানে উত্তর দিনাজপুরের কাঁচা লঙ্কা চাষিরা - wb_ndin_01_chili_farmers_facing_loss_vis_7204678

কুইন্টালের পর কুইন্টাল উৎপাদিত লঙ্কা নামমাত্র দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা । চাষ করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে তা উঠবে কীভাবে তা নিয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা ।

chilli-farmers-in-north-dinajpur-are-at-a-great-loss-due-to-lockdown
লকডাউনের জেরে লোকসানে উত্তর দিনাজপুরের কাঁচা লঙ্কা চাষিরা
author img

By

Published : May 25, 2020, 11:20 PM IST

রায়গঞ্জ, 25 মে : লকডাউনের জেরে দিশেহারা উত্তর দিনাজপুর জেলার কাঁচা লঙ্কা চাষিরা । কুইন্টালের পর কুইন্টাল উৎপাদিত লঙ্কা নামমাত্র দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা । চাষ করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে তা উঠবে কীভাবে তা নিয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা । 11 বিঘা জমিতে কাঁচা লঙ্কা চাষ করতে যা খরচ হয় তার সিকি ভাগ টাকাও তুলতে পারছেন না তাঁরা । ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কাঁচালঙ্কা চাষিরা । প্রতি বছর এই সময় লঙ্কার যা দাম ওঠে তার এক ভাগ দামও পাচ্ছেন না তাঁরা ।

উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ ও রায়গঞ্জ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় মানুষের আয়ের উৎস নানান শাকসবজি চাষাবাদ । চাষিরা কাঁচা লঙ্কা চাষ করে প্রতিবছরই প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন । কেউ কেউ নিজের জমিতে আবার কেউ অন্যের জমি লিজ় নিয়ে এই ব্যবসা বছরের পর বছর ধরে করে আসছেন । কাঁচা লঙ্কা বিক্রি করে আয় হত প্রচুর । তবে এবছর চিত্রটা পুরোপুরিভাবে পালটে গেছে । লকডাউনের জেরে অন্যান্য জেলায় উৎপাদিত কাঁচা লঙ্কা না পাঠাতে পারায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে চাষীদের । কোনওভাবেই এই সমস্যা থেকে বাইরে বেরোনোর রাস্তা পাচ্ছেন না তাঁরা । তাঁদের দাবি, প্রতি বিঘা চাষ করতে প্রায় 20 হাজার টাকা খরচ হয় । সেই অনুযায়ী প্রতিবছর কাঁচা লঙ্কার দামও বেশ ভালই পেয়ে থাকেন । প্রতি বছর এই সময়ে প্রতি কেজিতে ন্যূনতম 30 টাকা থেকে শুরু করে 75 টাকা পর্যন্ত কেজি দরে কাঁচা লঙ্কা বিক্রি করেন তাঁরা । তবে , এবছরে সবটাই নষ্ট হয়েছে । এখন কখনও 2 টাকা, কখনও 3 টাকা ও সর্বোচ্চ 5 টাকা কেজি দরে লঙ্কা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা । ফলে সারা বছর বাড়িতে আর্থিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে ।

সাহেব ঘাটা এলাকার এক চাষি সুকুমার সরকার বলেন, " আমার কম জমিতেই আমি কাঁচালঙ্কা চাষ করেছিলাম ৷ চাষ করে প্রতিবছরই ভালো পরিমাণে আয় আমরা করি । কিন্তু এবারে সবটাই নষ্ট হয়ে গেল । কোনওভাবেই এই আর্থিক অবস্থা ফেরার কোনও লক্ষণ দেখছি না । সাধারণত এই সময় আমরা 50 টাকা দরে কাঁচা লঙ্কা বিক্রি করি । তবে এবার 2 টাকা থেকে 3 টাকা বেশি দাম উঠছে না । " আরও এক চাষি বরুণ সরকার বলেন, " এবছর প্রায় 2 বিঘা জমির উপর কাঁচা লঙ্কা চাষ করেছিলাম । প্রতিবারই একই পরিমাণে করি । তবে এবারে লাভের লাভ কিছুই হল না । সব টাকা জলে চলে গেল । মাত্র 2 টাকা থেকে 5 টাকা কেজি দরে লঙ্কা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি । প্রতি বছর এই সময় 30 টাকা থেকে শুরু করে 75 টাকা দরে বিক্রি করেছি । এই লোকসান কত দিনে তুলতে পারব তা জানা নেই ৷ "

রায়গঞ্জ, 25 মে : লকডাউনের জেরে দিশেহারা উত্তর দিনাজপুর জেলার কাঁচা লঙ্কা চাষিরা । কুইন্টালের পর কুইন্টাল উৎপাদিত লঙ্কা নামমাত্র দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা । চাষ করতে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে তা উঠবে কীভাবে তা নিয়ে ব্যাপক দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা । 11 বিঘা জমিতে কাঁচা লঙ্কা চাষ করতে যা খরচ হয় তার সিকি ভাগ টাকাও তুলতে পারছেন না তাঁরা । ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার কাঁচালঙ্কা চাষিরা । প্রতি বছর এই সময় লঙ্কার যা দাম ওঠে তার এক ভাগ দামও পাচ্ছেন না তাঁরা ।

উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ ও রায়গঞ্জ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় মানুষের আয়ের উৎস নানান শাকসবজি চাষাবাদ । চাষিরা কাঁচা লঙ্কা চাষ করে প্রতিবছরই প্রচুর অর্থ উপার্জন করেন । কেউ কেউ নিজের জমিতে আবার কেউ অন্যের জমি লিজ় নিয়ে এই ব্যবসা বছরের পর বছর ধরে করে আসছেন । কাঁচা লঙ্কা বিক্রি করে আয় হত প্রচুর । তবে এবছর চিত্রটা পুরোপুরিভাবে পালটে গেছে । লকডাউনের জেরে অন্যান্য জেলায় উৎপাদিত কাঁচা লঙ্কা না পাঠাতে পারায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে চাষীদের । কোনওভাবেই এই সমস্যা থেকে বাইরে বেরোনোর রাস্তা পাচ্ছেন না তাঁরা । তাঁদের দাবি, প্রতি বিঘা চাষ করতে প্রায় 20 হাজার টাকা খরচ হয় । সেই অনুযায়ী প্রতিবছর কাঁচা লঙ্কার দামও বেশ ভালই পেয়ে থাকেন । প্রতি বছর এই সময়ে প্রতি কেজিতে ন্যূনতম 30 টাকা থেকে শুরু করে 75 টাকা পর্যন্ত কেজি দরে কাঁচা লঙ্কা বিক্রি করেন তাঁরা । তবে , এবছরে সবটাই নষ্ট হয়েছে । এখন কখনও 2 টাকা, কখনও 3 টাকা ও সর্বোচ্চ 5 টাকা কেজি দরে লঙ্কা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা । ফলে সারা বছর বাড়িতে আর্থিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে ।

সাহেব ঘাটা এলাকার এক চাষি সুকুমার সরকার বলেন, " আমার কম জমিতেই আমি কাঁচালঙ্কা চাষ করেছিলাম ৷ চাষ করে প্রতিবছরই ভালো পরিমাণে আয় আমরা করি । কিন্তু এবারে সবটাই নষ্ট হয়ে গেল । কোনওভাবেই এই আর্থিক অবস্থা ফেরার কোনও লক্ষণ দেখছি না । সাধারণত এই সময় আমরা 50 টাকা দরে কাঁচা লঙ্কা বিক্রি করি । তবে এবার 2 টাকা থেকে 3 টাকা বেশি দাম উঠছে না । " আরও এক চাষি বরুণ সরকার বলেন, " এবছর প্রায় 2 বিঘা জমির উপর কাঁচা লঙ্কা চাষ করেছিলাম । প্রতিবারই একই পরিমাণে করি । তবে এবারে লাভের লাভ কিছুই হল না । সব টাকা জলে চলে গেল । মাত্র 2 টাকা থেকে 5 টাকা কেজি দরে লঙ্কা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি । প্রতি বছর এই সময় 30 টাকা থেকে শুরু করে 75 টাকা দরে বিক্রি করেছি । এই লোকসান কত দিনে তুলতে পারব তা জানা নেই ৷ "

For All Latest Updates

TAGGED:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.