শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি, 28 এপ্রিল: বনধের সমর্থনে পিকেটিং করতে গিয়ে গ্রেফতার বিজেপির তিন বিধায়ক। শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, মাটিগাড়া নকশাল বাড়ির আনন্দময় বর্মণ এবং কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওড়াওকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই তিন বিধায়কের সঙ্গেই গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপির বেশ কিছু কর্মী ।
দিন কয়েক আগে উত্তরদিনাজপুরে কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে । এর পরপরই বিজেপি কর্মীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই দুটি ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার 12 ঘন্টার উত্তরবঙ্গ বনধের ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। সেই বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমে এই তিন বিধায়ক গ্রেফতার হলেন।
সকাল থেকেই শিলিগুড়িতে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এখানে গ্রেফতার হন দুই বিজেপি বিধায়ক । পাশাপাশি বিজেপি নেতা রাজু সাহা-সহ দলের 40 জন কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয় । এদিন সকালে শিলিগুজ়ডির প্রথমে মহাবীরস্থানে জোর করে দোকান বন্ধ করার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এরপর শহরের প্রাণ কেন্দ্র হাসম চকে বিজেপির দুই বিধায়ক নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। সেই মিছিল হিলকার্ট রোড হয়ে হাসমি চকে এসে শেষ হয়। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিজেপির কর্মী সমর্থকদের। অভিযোগ পিকেটিংয়ের সময় হিলকার্ট রোডে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের একটি বাসের থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেন বিজেপির কর্মীরা। শুধু তাই নয়, বাস চালক রাজেশ নুনিয়াকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি রাস্তায় ব্যারিকেড ফেলে যান চলাচল বন্ধ করারও চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযো । ভিড় এড়াতে মৃদু লাঠিচাজ করে পুলিশ।
যদিও শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের দাবি, তাঁরা গায়ের জোরে বনধ সফল করার চেষ্টা করেননি। সকলকে বনধ সমর্থন করার আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওড়াও বলেন, "আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বনধের সমর্থনে পিকেটিং করছিলাম পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করে।" তাঁর সঙ্গে 16 জন দলীয় সমর্থকও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে বিজেপির বনধের দিনই জলপাইগুড়িতে অভিষেকের 3টি জনসভা