রায়গঞ্জ, 24 এপ্রিল: বিজেপি করায় বাডিতে ঢুকে মা, বোন ও ভাগ্নী-সহ বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ পুরসভার 14 নম্বর ওয়ার্ডের উকিলপাড়া এলাকায় । আহত ওই বিজেপি কর্মীর নাম মানস রাম, মা সুমিত্রা রাম, বোন তাপসী রাম ও ভাগ্নী মৌসুমী পাল । স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরের নেতৃত্বে তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি কর্মী মানস ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা । তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর অনিরুদ্ধ সাহা । এই ঘটনায় মানস রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ পুরসভার 14 নম্বর ওয়ার্ডের উকিলপাড়া এলাকার বাসিন্দা মানস রাম বছর খানেক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি যোগ দেন । রায়গঞ্জ বিধানসভার ভোটে মানস রাম বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর হয়ে প্রচার করেছিলেন । গত 22 এপ্রিল ছিল রায়গঞ্জ বিধানসভার নির্বাচন । সেই নির্বাচনে খাটাখাটুনি করেছিলেন মানস রাম । অভিযোগ, নির্বাচনের পর রাতেই বাড়িতে গিয়ে মানসকে হুমকি দিয়ে আসে তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দৃষ্কৃতীরা । শুক্রবার দুপুরে রায়গঞ্জ পুরসভার 14 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিরুদ্ধ সাহার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মানসের বাড়িতে গিয়ে মানসকে মারধর করতে থাকে ছেলেকে মারধর থেকে ছেলেকে বাঁচাতে আসেন মা সুমিত্রা রাম ও বোন তাপসী রাম । তাঁদেরও মারধর করে বলে অভিযোগ । এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে । এই ঘটনায় রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মানস রাম ।
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি থানায় ছুটে আসেন বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী । থানায় গিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন । মানস রামের বোন তাপসী রাম বলেন, "দাদা বিজেপি করে বলে বাড়িতে এসে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মারধর করে মা, দাদা, ভাগ্নী-সহ আমাকেও । বিজেপি করাটা কি আমাদের দোষ ? আমরা আতঙ্কে আছি, কখন আবার তারা এসে বাড়িতে হামলা করে ।"
অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী জানিয়েছেন, "পুলিশের সঙ্গে কথা বলা হল । আমি পুলিশকে 204 ঘণ্টা সময় দিয়েছি ।" এই সময়ের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের নামার হুমকি দিয়েছেন কৃষ্ণবাবু ।
অপরদিকে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অনিরুদ্ধ সাহাকে ফোন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। কারো পরিবারকে মারধর করা হয়নি । বিজেপি এখান থেকে জিততে পারবে না বলে তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে ৷
আরও পড়ুন : বিজেপি কার্যালয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে