রায়গঞ্জ, 12 নভেম্বর: স্কুল ভবনের একাংশে দেওয়াল ভেঙে পড়েছে (Bad condition of School building)। বিদ্যালয়ের দেওয়াল, মেঝে ও ছাদে মারত্মকভাবে ফাটল ধরেছে । মেঝে থেকে দেওয়ালের সংযোগের একেবারেই নড়বড়ে অবস্থা । যেকোনও মুহূর্তে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে পারে গোটা স্কুলটি (School can collapse at any moment) । এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যেই প্রাণ হাতে করে চলছে পঠনপাঠন । এমনই ভয়ঙ্কর দৃশ্য ধরা পড়ল রায়গঞ্জ ব্লকের 9 নম্বর গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অবস্থিত নয়াটুলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৷
নয়াটুলি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা 127 । স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা 5 জন । পাশেই বয়ে চলেছে নাগর নদী ৷ বিগত দিনে নাগর নদীর বন্যায় বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো বেহাল হয়ে পড়েছে । ছাত্রছাত্রীরা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে । ছেলে মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে সারা দিন দুশ্চিন্তায় থাকতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেদেরও । অবিলম্বে এই সমস্যার সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা । পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র আয়েত আলি বলে, "খুবই ভয়ে রয়েছি ৷ যেকোনও সময় স্কুল ভেঙে পড়তে পারে ৷ বর্ষাকালে জলও পড়ে ৷" একই সুর আর এক ছাত্রী মৌসুমী খাতুনের গলায়ও ৷
পড়ুয়াদের পাশাপাশি একইভাবে আতঙ্কে সারাদিন কাটাতে হচ্ছে শিক্ষকদের ৷ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরুণকুমার দাস বলেন, "একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে ৷ কিন্তু কোনও কাজ হয়নি । বর্তমানে যতটা সম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করে পঠনপাঠন চলছে ।"
আরও পড়ুন: ভ্রমণের নেশায় গুজরাত থেকে পায়ে হেঁটে পাড়ি কাঞ্চনজঙ্ঘায়
বিদ্যালয়ের সংলগ্ন স্থানে রয়েছে নাগর নদীর ঘাট । যে কোনও মুহূর্তে বিদ্যালয় ভেঙে পড়লে শিক্ষক থেকে পড়ুয়ার পাশাপাশি দুর্ঘটনার কবলে পড়বেন সাধারণ মানুষও । এ বিষয়ে প্রশাসনের কাঁধেই দায় চাপিয়েছেন ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য ফুল খাতুন । তিনি বলেন, "পঞ্চায়েত মিটিং-এ বলেছি স্কুলের এই ভগ্নপ্রায় দশার কথা ৷ কিন্তু সরকারের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি ৷ দেওয়াল বা স্কুল ভেঙে পড়লে অনেক বাচ্চা মারা যেতে পারে ৷"