রায়গঞ্জ, 22 জুলাই : করোনার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সব অনুষ্ঠান ৷ স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে রোজগারও ৷ পেটের টানে তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই হাঁড়িয়া তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করার প্রয়াস নিয়েছিলেন হেমতাবাদের আদিবাসী শিল্পীরা । কিন্তু সেখানেও পুলিশের চোখ রাঙানি আর উৎখাত করে দেওয়ার আশঙ্কা । তাই উপার্জনের সব পথ বন্ধ হওয়ায় দুঃসহ যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ ব্লকের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের শিল্পীরা ।
সরকারি বা বেসরকারি যে কোনও অনুষ্ঠান বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হলেই ডাক আসত ওদের ৷ ঢোল, মাদল বাজিয়ে নৃত্যকলা পরিবেশন করে মানুষের মনে আনন্দ দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক উপার্জনও হত হেমতাবাদের আদিবাসী শিল্পীদের । কিন্তু বিগত দেড় বছর ধরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাঁদের সংস্কৃতি চর্চা ও নৃত্য পরিবেশনের কাজ । একেবারে কর্মহীন হয়ে সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে বেছে নিয়েছিলেন হাঁড়িয়া ও চোলাই মদ তৈরির কাজ । কিন্তু সেখানেও বিপত্তি । বেআইনি এই মদের কারবার বন্ধে তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন ও আবগারি দফতর ৷ মাঝেমধ্যেই তল্লাশির নামে ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের মদ তৈরির উপকরণ ও সরঞ্জাম ।
আরও পড়ুন : Corona Lockdown : লকডাউনে বন্ধ উৎসব-অনুষ্ঠান, প্রবল সমস্যায় ছোট ব্যবসায়ীরা
এই অবস্থায় কোথায় যাবেন তাঁরা ? কী করে অন্ন জোগাড় করবেন ? এই দুশ্চিন্তাই গ্রাস করেছে তাঁদের । প্রায় দিনই নুন-ভাত খেয়ে বা অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন ওঁরা ৷
আদিবাসী মানুষদের এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে হেমতাবাদের বিডিও লক্ষ্মীকান্ত রায় জানান, করোনায় গরিব ও দুঃস্থ সব মানুষই চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছেন । আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য সরকারি ভাতা এবং 100 দিনের প্রকল্পের কাজে নিযুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি ৷