ETV Bharat / state

করোনা আবহে বন্ধ অনুষ্ঠান, সংকটে হেমতাবাদের আদিবাসী শিল্পীরা

সরকারি বা বেসরকারি যে কোনও অনুষ্ঠান বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হলেই ডাক আসত ওঁদের ৷ ঢোল, মাদল বাজিয়ে নৃত্যকলা পরিবেশন করে মানুষের মনে আনন্দ দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক উপার্জনও হত হেমতাবাদের আদিবাসী শিল্পীদের । কিন্তু বিগত দেড় বছর ধরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেসব ৷ এখন কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন ওঁরা ? খোঁজ নিল ইটিভি ভারত ৷

আদিবাসী শিল্পী
আদিবাসী শিল্পী
author img

By

Published : Jul 22, 2021, 2:31 PM IST

রায়গঞ্জ, 22 জুলাই : করোনার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সব অনুষ্ঠান ৷ স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে রোজগারও ৷ পেটের টানে তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই হাঁড়িয়া তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করার প্রয়াস নিয়েছিলেন হেমতাবাদের আদিবাসী শিল্পীরা । কিন্তু সেখানেও পুলিশের চোখ রাঙানি আর উৎখাত করে দেওয়ার আশঙ্কা । তাই উপার্জনের সব পথ বন্ধ হওয়ায় দুঃসহ যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ ব্লকের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের শিল্পীরা ।

অনুষ্ঠান বন্ধে ঘরে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মাদল
অনুষ্ঠান বন্ধে ঘরে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মাদল


সরকারি বা বেসরকারি যে কোনও অনুষ্ঠান বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হলেই ডাক আসত ওদের ৷ ঢোল, মাদল বাজিয়ে নৃত্যকলা পরিবেশন করে মানুষের মনে আনন্দ দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক উপার্জনও হত হেমতাবাদের আদিবাসী শিল্পীদের । কিন্তু বিগত দেড় বছর ধরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাঁদের সংস্কৃতি চর্চা ও নৃত্য পরিবেশনের কাজ । একেবারে কর্মহীন হয়ে সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে বেছে নিয়েছিলেন হাঁড়িয়া ও চোলাই মদ তৈরির কাজ । কিন্তু সেখানেও বিপত্তি । বেআইনি এই মদের কারবার বন্ধে তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন ও আবগারি দফতর ৷ মাঝেমধ্যেই তল্লাশির নামে ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের মদ তৈরির উপকরণ ও সরঞ্জাম ।

আরও পড়ুন : Corona Lockdown : লকডাউনে বন্ধ উৎসব-অনুষ্ঠান, প্রবল সমস্যায় ছোট ব্যবসায়ীরা

এই অবস্থায় কোথায় যাবেন তাঁরা ? কী করে অন্ন জোগাড় করবেন ? এই দুশ্চিন্তাই গ্রাস করেছে তাঁদের । প্রায় দিনই নুন-ভাত খেয়ে বা অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন ওঁরা ৷

আদিবাসী মানুষদের এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে হেমতাবাদের বিডিও লক্ষ্মীকান্ত রায় জানান, করোনায় গরিব ও দুঃস্থ সব মানুষই চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছেন । আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য সরকারি ভাতা এবং 100 দিনের প্রকল্পের কাজে নিযুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি ৷

রায়গঞ্জ, 22 জুলাই : করোনার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে সব অনুষ্ঠান ৷ স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে রোজগারও ৷ পেটের টানে তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই হাঁড়িয়া তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করার প্রয়াস নিয়েছিলেন হেমতাবাদের আদিবাসী শিল্পীরা । কিন্তু সেখানেও পুলিশের চোখ রাঙানি আর উৎখাত করে দেওয়ার আশঙ্কা । তাই উপার্জনের সব পথ বন্ধ হওয়ায় দুঃসহ যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ ব্লকের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের শিল্পীরা ।

অনুষ্ঠান বন্ধে ঘরে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মাদল
অনুষ্ঠান বন্ধে ঘরে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মাদল


সরকারি বা বেসরকারি যে কোনও অনুষ্ঠান বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হলেই ডাক আসত ওদের ৷ ঢোল, মাদল বাজিয়ে নৃত্যকলা পরিবেশন করে মানুষের মনে আনন্দ দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক উপার্জনও হত হেমতাবাদের আদিবাসী শিল্পীদের । কিন্তু বিগত দেড় বছর ধরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে তাঁদের সংস্কৃতি চর্চা ও নৃত্য পরিবেশনের কাজ । একেবারে কর্মহীন হয়ে সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে বেছে নিয়েছিলেন হাঁড়িয়া ও চোলাই মদ তৈরির কাজ । কিন্তু সেখানেও বিপত্তি । বেআইনি এই মদের কারবার বন্ধে তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন ও আবগারি দফতর ৷ মাঝেমধ্যেই তল্লাশির নামে ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের মদ তৈরির উপকরণ ও সরঞ্জাম ।

আরও পড়ুন : Corona Lockdown : লকডাউনে বন্ধ উৎসব-অনুষ্ঠান, প্রবল সমস্যায় ছোট ব্যবসায়ীরা

এই অবস্থায় কোথায় যাবেন তাঁরা ? কী করে অন্ন জোগাড় করবেন ? এই দুশ্চিন্তাই গ্রাস করেছে তাঁদের । প্রায় দিনই নুন-ভাত খেয়ে বা অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন ওঁরা ৷

আদিবাসী মানুষদের এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে হেমতাবাদের বিডিও লক্ষ্মীকান্ত রায় জানান, করোনায় গরিব ও দুঃস্থ সব মানুষই চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছেন । আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য সরকারি ভাতা এবং 100 দিনের প্রকল্পের কাজে নিযুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.