রায়গঞ্জ, 10 মে: 'বন্ধুকে যারা খুন করেছে তারা শাস্তি পাবে।' চোখের সামনে বন্ধু রাজেশ, তাপসের মৃত্যু হতে দেখেছে। বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট ঘটনার তদন্তভার এনআইএ'র হাতে তুলে দেওয়ার পর এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্র নরেন্দ্র শিকারী। দাড়িভিট হাইস্কুলে বাংলা শিক্ষকের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন নরেন্দ্র শিকারী। বুধবার সেদিনের ঘটনা বলতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না নরেন্দ্র। বন্ধুর খুনী, পুলিশ কর্মীদের শাস্তির দাবিতে তাঁরা লাগাতার আন্দোলন করেছেন।
তাঁরা ঘটনার তদন্তভার সিবিআই'কে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। হাইকোর্ট সিবিআই'কে না-দিয়ে এনআইএ'র উপর তদন্তভার দিয়েছে। যারা বাংলা ভাষাকে ভালোবাসেন আজ তাঁদের কাছে খুশির দিন বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্র। রাজ্য সরকার ঘটনার তদন্তভার সিআইডি'র ওপর তুলে দিয়ে মামলাকে ভুল পথে পরিচালিত করতে চেয়েছিল। আন্দোলনকারীরা কখনই সিআইডি তদন্তের উপর ভরসা রাখতে পারেননি। অবশেষে সত্যের জয় হয়েছে। এদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল জানান, সিআইডি ঘটনার সঠিক তদন্ত করছিল। আদালত যদি এনআইএ'র উপর তদন্তের ভার দেয় তবে তাদের কিছু বলার নেই।
আরও পড়ুন: দাড়িভিট মৃত্যু মামলায় রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরে দাড়িভিট হাইস্কুলে বাংলা শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে ছাত্র এবং অবিভাবকরা আন্দোলন করছিলেন। আন্দোলন চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মনের মৃত্যু হয়েছিল। আরও এক যুবকের পায়ে গুলি লেগেছিল। চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছে। সেই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন নরেন্দ্র শিকারী নামে বিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন ছাত্র। তাঁর সামনেই রাজেশ, তাপসের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ গাড়িতে বসে গুলি চালিয়ে রাজেশ ও তাপসকে হত্যা করেছিল। পুলিশের কাছেও নরেন্দ্র এই দাবি জানালেও তারা সেই দাবিকে মান্যতা দেয়নি। বুধবার আদালত এনআইএ-র হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়ায় প্রকৃত ঘটনা মানুষের কাছে পৌঁছবে। অভিযুক্তরা শাস্তি পাবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন নরেন্দ্র শিকারী।