রায়গঞ্জ, 5 অগাস্ট : তদন্তকারীদের অনেক অনুরোধে সন্ধে আটটা নাগাদ BSF উর্দি খুলতে শুরু করলেন উত্তম সূত্রধর । পরলেন নতুন জামা-কাপড় । এমনটাই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে । ভোররাতে তাঁর গুলিতে নিহত হয়েছিলেন দুই সহকর্মী । সকালের আলো ফুটতেই আত্মসমর্পণ করেন তিনি । পরবর্তীকালে BSF-র তরফ থেকে ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁকে । তারপর থেকে টানা জেরা করতে থাকে রায়গঞ্জ থানার তদন্তকারীরা ।
ধরা পড়ার পর থেকে একবারও অনুশোচনা দেখা যায়নি তাঁর চোখেমুখে । বরং গুণ গুণ করে দেশপ্রেমের গান “মেরা রং দে বসন্তী চোলা” গাইতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে । তার পাশাপাশি দেশদ্রোহীদের মেরে ফেলব বলে বারবার চিৎকার উঠেছিলেন । দুই সহকর্মীকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত BSF জওয়ান উত্তম সূত্রধর । এরপর তাঁর উর্দি না ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশের বিষয়টি সামনে আসায় খুব স্বাভাবিকভাবেই নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে ।
বুধবার আদালতে যাওয়ার আগে নিজের পক্ষে তিনি এমন সব মন্তব্য করেছেন যা BSF-র সীমান্ত এলাকায় গতিবিধি বিষয়টিতে নানা প্রশ্ন উঠছে । তাঁর দাবি ছিল তিনি সম্পূর্ণ সৎ । কিন্তু তাঁকে নানা ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছিল । তার ব্যাটেলিয়ানের অনেককেই তিনি অসৎ বলেও মন্তব্য করেছেন । যদিও সমস্ত বিষয়টি নিয়ে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ কোন মন্তব্য করতে চাইনি । এর পাশাপাশি BSF-র একাধিক আধিকারিককে বারবার তার মন্তব্যের সম্পর্কে টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা কখনোই কোনও উত্তর দিতে রাজি হয়নি ।
এই বিষয়ে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, “আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে বর্তমানে তদন্ত করছি । এর বেশি এখনই কিছু বলা সম্ভব হবে না ।”