রায়গঞ্জ, 28 মে : ঝড় হাওয়া ও শিলাবৃষ্টির জেরে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর ও মধ্য কুনোর এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । যার মধ্যে রায়পুরে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি । গতকাল কালিয়াগঞ্জের যুগ্ম BDO পরিমল দাসের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধি দল রায়পুর এলাকা পরিদর্শনে যায় । কাঁচাবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে ।
কালিয়াগঞ্জ ব্লক প্রশাসনের তরফে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য প্লাস্টিকের ব্যবস্থার পাশাপাশি সকল পরিবার যাতে সরকারি ত্রাণ পায় তার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে । মঙ্গলবার রাতের ঘূর্ণিঝড়ে মূলত মোস্তাফানগর ও রাধিকাপুর পঞ্চায়েতের কিছু এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে । এই তালিকায় অন্যতম মোস্তফানগরের রায়পুর । এই গ্রামের চেহারা বদলে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। এছাড়াও মধ্য কুনোর, পশ্চিম কুনোর ও ভুইঁহারা গ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় । অপরদিকে কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর পঞ্চায়েতের বৈকুন্ঠপুর গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রাতের ঘূর্ণিঝড়ে । বড় বড় গাছ ও বিদ্যুৎতে খুঁটি ভেঙে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রচুর বাড়ি-ঘর । প্রাণহানির মতো ঘটনা না হলেও, এই ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে মাঠের ফসল । পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ময়দানে নেমেছে কালিয়াগঞ্জ ব্লক কৃষি দপ্তর ।
কালিয়াগঞ্জ যুগ্ম BDO পরিমল দাসের নেতৃত্বে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন । ভোজন মণ্ডল নামে এক গ্রামবাসী বলেন, " ঝড়ে আমাদের এলাকায় ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গেছে। সরকারি সাহায্যের আবেদন করছি ।" অন্যদিকে, কালিয়াগঞ্জ যুগ্ম BDO জানিয়েছেন, ব্লক প্রশাসনের তরফে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য প্লাস্টিকের ব্যবস্থার পাশাপাশি সকলে যাতে সরকারি ত্রাণ পায় তার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে । এই রিপোর্ট জেলায় পাঠানো হবে বলে জানান তিনি ।