ETV Bharat / state

23 বছর ধরে জেলার "ইতিহাস" বাঁচানোর চেষ্টায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক

বৃন্দাবন ঘোষ ৷ অবসরপ্রাপ্ত ইতিহাসের শিক্ষক ৷ নেশা বিভিন্ন জায়গার ইতিহাস খুঁজে বের করা ৷ বাড়ি বীরভূমে হলেও কর্মসূত্রে 1997-তে উত্তর দিনাজপুর আসা ৷ তারপর কাজের ফাঁকে ফাঁকে ঘুরে ফেলেছেন গোটা জেলা ৷ নজর করেছেন প্রত্নতত্ত্বগুলি নষ্টের পথে ৷ 23 বছর ধরে সেই চেষ্টায় করে চলেছেন তিনি ৷

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক
author img

By

Published : Jan 24, 2020, 9:42 PM IST

রায়গঞ্জ, 24 জানুয়ারি : তাম্র প্রস্তর যুগ থেকে শুরু করে ব্রিটিশ আমল ৷ উত্তর দিনাজপুরজুড়ে রয়েছে প্রত্নতত্ত্বের রত্নভাণ্ডার ৷ বর্তমানে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই নিদর্শনগুলি ৷ তাই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে ঘুরে সেগুলি বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বৃন্দাবন ঘোষ ৷ একজন অবসরপ্রাপ্ত ইতিহাসের শিক্ষক ৷ বিভিন্ন জায়গার ইতিহাস খুঁজে বের করাই তাঁর বর্তমান নেশা ৷ দীর্ঘ 23 বছর ধরে এভাবেই জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের খোঁজে ঘুরে বেড়ান তিনি ৷ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক ও সংগ্রহশালা বিভাগে চিঠি পাঠিয়ে জেলার অমূল্য সম্পদকে বাঁচাতে মরিয়া তিনি ৷ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, "যতদিন বাঁচব, জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করব ৷"

বৃন্দাবনবাবুর বাড়ি বীরভূমের ইসলামপুর এলাকায় ৷ চাকরিসূত্রে উত্তর দিনাজপুরে আসেন তিনি ৷ রায়গঞ্জ কর্ণজোড়া হাইস্কুলে ইতিহাস পড়াতেন ৷ ইতিহাসের প্রতি ভালোবাসা থাকায় বরাবরই বিভিন্ন জায়গার ইতিহাস সম্পর্কে জানার একটা ইচ্ছা ছিলই তাঁর ৷ তাই ঘুরতে ঘুরতে জানতে পারেন জেলার অনেক স্থাপত্য অবহেলায় পড়ে রয়েছে ৷ কাজের ফাঁকে ছুটির দিনগুলোতে সেই স্থাপত্যগুলো খুঁজে বার করার কাজ শুরু করেন তিনি ৷

যতদিন বেঁচে থাকবেন, জেলার ইতিহাস বাঁচানোর কাজ করে যাবেন বৃন্দাবন ঘোষ

23 বছর ধরে প্রায় 100টি ঐতিহাসিক নিদর্শন খুঁজে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন তিনি ৷ তিনি বলেন, উত্তর দিনাজপুরের উপর দিয়ে একসময় 30টি নদী বয়ে যেত ৷ যে কারণে বিভিন্ন সভ্যতার ও সম্প্রদায়ের স্থাপত্য এই জেলা ছুঁয়ে গেছে ৷ উত্তরবঙ্গের মধ্যে মালদার পর উত্তর দিনাজপুরেই সবচেয়ে বেশি ঐতিহাসিক নিদর্শন সমৃদ্ধ বলেও মনে করেন তিনি ৷ ইতিমধ্যে, জেলার ইতিহাসের উপর লিখে ফেলেছেন 22টি বই ৷ এখনও পর্যন্ত ছ'টি নিদর্শনকে সংস্কারের জন্য মনোনীত করেছে ৷ বলেন, "ভেবেছিলাম চাকরি শেষ হয়ে গেলে ফিরে যাব ৷ তবে, এখন মনে হচ্ছে তা সম্ভব হয়ে উঠব না ৷ এই জেলার ইতিহাসের টান ছেড়ে বেরোতে পারব না ৷ এই জেলার ইতিহাসের নিদর্শনগুলোকে বাঁচিয়ে রাখলে আগামীদিনে পর্যটনেও উন্নতি হবে ৷"

রায়গঞ্জ, 24 জানুয়ারি : তাম্র প্রস্তর যুগ থেকে শুরু করে ব্রিটিশ আমল ৷ উত্তর দিনাজপুরজুড়ে রয়েছে প্রত্নতত্ত্বের রত্নভাণ্ডার ৷ বর্তমানে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই নিদর্শনগুলি ৷ তাই জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে ঘুরে সেগুলি বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বৃন্দাবন ঘোষ ৷ একজন অবসরপ্রাপ্ত ইতিহাসের শিক্ষক ৷ বিভিন্ন জায়গার ইতিহাস খুঁজে বের করাই তাঁর বর্তমান নেশা ৷ দীর্ঘ 23 বছর ধরে এভাবেই জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের খোঁজে ঘুরে বেড়ান তিনি ৷ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক ও সংগ্রহশালা বিভাগে চিঠি পাঠিয়ে জেলার অমূল্য সম্পদকে বাঁচাতে মরিয়া তিনি ৷ পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, "যতদিন বাঁচব, জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করব ৷"

বৃন্দাবনবাবুর বাড়ি বীরভূমের ইসলামপুর এলাকায় ৷ চাকরিসূত্রে উত্তর দিনাজপুরে আসেন তিনি ৷ রায়গঞ্জ কর্ণজোড়া হাইস্কুলে ইতিহাস পড়াতেন ৷ ইতিহাসের প্রতি ভালোবাসা থাকায় বরাবরই বিভিন্ন জায়গার ইতিহাস সম্পর্কে জানার একটা ইচ্ছা ছিলই তাঁর ৷ তাই ঘুরতে ঘুরতে জানতে পারেন জেলার অনেক স্থাপত্য অবহেলায় পড়ে রয়েছে ৷ কাজের ফাঁকে ছুটির দিনগুলোতে সেই স্থাপত্যগুলো খুঁজে বার করার কাজ শুরু করেন তিনি ৷

যতদিন বেঁচে থাকবেন, জেলার ইতিহাস বাঁচানোর কাজ করে যাবেন বৃন্দাবন ঘোষ

23 বছর ধরে প্রায় 100টি ঐতিহাসিক নিদর্শন খুঁজে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন তিনি ৷ তিনি বলেন, উত্তর দিনাজপুরের উপর দিয়ে একসময় 30টি নদী বয়ে যেত ৷ যে কারণে বিভিন্ন সভ্যতার ও সম্প্রদায়ের স্থাপত্য এই জেলা ছুঁয়ে গেছে ৷ উত্তরবঙ্গের মধ্যে মালদার পর উত্তর দিনাজপুরেই সবচেয়ে বেশি ঐতিহাসিক নিদর্শন সমৃদ্ধ বলেও মনে করেন তিনি ৷ ইতিমধ্যে, জেলার ইতিহাসের উপর লিখে ফেলেছেন 22টি বই ৷ এখনও পর্যন্ত ছ'টি নিদর্শনকে সংস্কারের জন্য মনোনীত করেছে ৷ বলেন, "ভেবেছিলাম চাকরি শেষ হয়ে গেলে ফিরে যাব ৷ তবে, এখন মনে হচ্ছে তা সম্ভব হয়ে উঠব না ৷ এই জেলার ইতিহাসের টান ছেড়ে বেরোতে পারব না ৷ এই জেলার ইতিহাসের নিদর্শনগুলোকে বাঁচিয়ে রাখলে আগামীদিনে পর্যটনেও উন্নতি হবে ৷"

Intro:রায়গঞ্জ,30 ডিসেম্বর:- তাম্র প্রস্তর যুগ থেকে শুরু করে ব্রিটিশ আমল, উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে প্রত্নতত্ত্বের রত্নভান্ডার রয়েছে এমনটাই মনে করেন এক অবসরপ্রাপ্ত ইতিহাসের শিক্ষক বৃন্দাবন ঘোষ। তাই এই প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন এ ভরা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে সেগুলিকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি ।বিভিন্ন জায়গার নিদর্শন নমুনা সংগ্রহ করে সেখানকার ইতিহাস খুঁজে বার করাটাই বর্তমানে তার নেশা ।দীর্ঘ 23 বছর ধরে এমন ভাবেই জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে শহর সংলগ্ন এলাকার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এর খোঁজে ঘুরে বেড়ান তিনি। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক ও সংগ্রহশালা বিভাগে চিঠি করে উত্তর দিনাজপুর জেলার এই অমূল্য সম্পদ কে বাঁচাতে মরিয়া বৃন্দাবন বাবু। প্রশ্ন করলেই তার সাফ উত্তর, যতদিন বাঁচবো উত্তর দিনাজপুর জেলার এই প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ কে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করব।

জন্মসূত্রে বীরভূম জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল ইসলামপুর এলাকায় বাড়ি রয়েছে বৃন্দাবন বাবুর ।চাকরিসূত্রে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ কর্ণজোড়া হাই স্কুল আসার সুযোগ মেলে প্রথমবার ।বরাবরই ইতিহাসের প্রতি বাড়তি আকর্ষণ থাকার বিভিন্ন জায়গার ইতিহাস সম্পর্কে জানার একটা ইচ্ছা ছিলই তার। উত্তর দিনাজপুর জেলায় এসে শুধুমাত্র ঘোরার লক্ষ্যে একটি প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায় পৌঁছে যান তিনি। সেখানকার পুরনো একটি মন্দির দেখেই হঠাৎ করেই সেই মন্দিরের ইতিহাস জানার ইচ্ছে জাগে মনে ।মন্দির লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের থেকে শুরু করে বিভিন্ন বইপত্র ঘাটাঘাটি করে তিনি জানতে পারেন অত্যন্ত পুরনো এই মন্দিরটি অবহেলিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মুঘল আমলের স্থাপত্য নিদর্শন হওয়া সত্ত্বেও ভৈরবী মন্দির সম্পর্কে মানুষ জানেন না। ইতিহাস প্রেমী বৃন্দাবন বাবু চুপ করে না বসে থেকে এই মন্দির সংস্কারের কাজে নেমে পড়েন। সংস্কারের জন্য বিভিন্ন রাজ্য কেন্দ্র সরকারের দপ্তর গুলিতে চিঠি চাপাটি শুরু করেন তিনি। এই কাজটি করতে করতেই তিনি জানতে পারেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আরো প্রচুর ঐতিহাসিক নিদর্শন পড়ে রয়েছে সম্পূর্ণ অবহেলিত অবস্থায় ।কাজের ফাঁকে যেসব দিন ছুটি থাকবে তার সমস্ত তাই তিনি এই জেলার ইতিহাস কে খুঁজে বার কর ব্যবহার করবেন। যেমন ভাবনা তেমনি কাজ জেলার চোপড়া থেকে শুরু করে ইটাহার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল খারাপ রাস্তা বিভিন্ন মরশুমি বাধা পেরিয়ে অবশেষে আজ 22 23 বছরে তিনি মোটামুটিভাবে একশোখানা ঐতিহাসিক নিদর্শন খুঁজে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। তার বাড়ির ভেতর একটি ঘরকে পুরনো ইতিহাসের নানান নিদর্শন এ ভরিয়ে রেখেছেন তিনি ।তার অনেক নিদর্শন তাম্র প্রস্তর যুগের সঙ্গেও সম্পর্কিত বলে দাবি করেন বৃন্দাবন বাবু ।এছাড়াও ব্রিটিশ আমলের ভুরিভুরি স্থাপত্য নিদর্শন রয়েছে বলে দাবি তার। তিনি মনে করেন একসময় জেলার ওপর দিয়ে প্রায় 30 খানা নদী প্রবাহিত হতো। সেই কারণেই জেলার বিভিন্ন শহরের উপর দিয়ে নানান ধরনের সভ্যতা যাতায়াত করার সুযোগ পেয়েছিল। তার মাধ্যমেই একে একে বিভিন্ন সভ্যতার এবং সম্প্রদায়ের নানান শিল্পভাস্কর্য স্থাপত্য এই জেলায় ছুয়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গের মধ্যে মালদার পর উত্তর দিনাজপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি ঐতিহাসিক নিদর্শন সমৃদ্ধ বলেও মনে করেন তিনি। উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয় এবং ইতিহাস নিয়ে প্রায় 22 খানা লিখে ফেলেছেন তিনি। যেগুলি বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন বইমেলা থেকে শুরু করে সরকারি জায়গাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত এবং উন্মোচিত হয়েছে। এই মুহূর্তে তিনি জেলার স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন গুলিকে নিয়ে একটি আড়াইশো পাতার বই লিখতে চলেছেন যা তার মতে আগামী দিনে ইতিহাস নিয়ে আকৃষ্ট বিভিন্ন পড়ুয়াদের পড়াশোনা ক্ষেত্রে অত্যন্ত লাভজনক হবে।

ইটিভি ভারতকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বৃন্দাবন বাবু বলেন 22-23 বছর ধরে 1997 সাল থেকে আমি উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন ইতিহাস নিয়ে পড়াশোনা করছি এবং এই জেলায় যে সমস্ত স্থাপত্য নিদর্শন বর্তমানে বেঁচে রয়েছে সেগুলির সংস্কার এবং পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি ।এখনো পর্যন্ত 6 টি নিদর্শনকে সংস্কারের জন্য সরকার মনোনীত করেছে ।যতদিন বেঁচে থাকব এই জেলার স্থাপত্য নিদর্শন কে মানুষের সামনে তুলে ধরতে কাজ করব। চাকরি সূত্রে বীরভূম থেকে এই জেলায় এসেছিলাম। ভেবেছিলাম চাকরি শেষ হয়ে গেলে ফিরে যাবো আমার জেলার বাড়িতে। তবে এখন মনে হচ্ছে তা সম্ভব হয়ে উঠবে না এই জেলার ইতিহাসের টান ছেড়ে বেরোতে পারবোনা আমি। এই জেলার ইতিহাসের নিদর্শনগুলোকে বাঁচিয়ে রাখলে আগামী দিনে পর্যটন একটা বড় সম্ভাবনা রয়েছে।


Body:নফ


Conclusion:জফক্স
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.