ETV Bharat / state

মহমরমের রাতে জগদ্দলে খুন কিশোর

রাস্তায় ভিড় করা নিয়ে বচসার জেরে উত্তর 24 পরগনার জগদ্দলে খুন কিশোর ।

Abdul Wakar
আবদুল ওয়াকার
author img

By

Published : Aug 30, 2020, 1:49 PM IST

Updated : Aug 30, 2020, 7:54 PM IST

জগদ্দল, 30 অগাস্ট : মহরমের দিন নমাজ় পড়ে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল কিশোরের । রাস্তায় ভিড় করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সঙ্গে বচসার জেরে এই খুন বলে জানান মৃত আবদুল ওয়াকারের পরিবার । জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে । ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি ।

মহরম উপলক্ষে উত্তর 24 পরগনার জগদ্দলের এক মসজিদে নমাজ় পড়তে গেছিল আবদুল । পরিবারের দাবি, সেখানে ভিড় থাকায় নমাজ় পড়ে ফিরতে দেরি হয় । মহরমের জন্য ফেরার পথে তাসা বাজাচ্ছিল আবদুল । সঙ্গে ছিল 14-15 জনের একটি দল । সকলে মিলেই রাস্তায় বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজাতে বাজাতে ফিরছিল । রাস্তা ছোটো হওয়ায় যার ফলে ভিড় তৈরি হয় । সেই সময়ই কয়েকজন স্থানীয় যুবক বাইক নিয়ে রাস্তা দিয়ে যেতে গেলে সমস্যায় পড়ে । তাদের অন্য রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় আবদুল ওয়াকারের দল । শুরু হয় বচসা । বাইকে থাকা যুবকরা নেমে আবদুলদের মারধর করে। বচসা বাড়লে তাদের মধ্যে একজন রিভলভার বের করে শূন্যে একটি গুলি ছোড়ে । কিছু না বুঝে ওঠার আগেই আর একটা গুলি ছোড়ে আবদুলকে লক্ষ্য করে । লুটিয়ে পড়ে সে । পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বাইক নিয়ে এলাকা ছাড়ে ওই যুবকরা ।

আবদুলের বাড়ি মসজিদের কাছে হওয়ায় ঘটনাটি ঘটে তার বাড়ির কাছেই । গুলির আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থানে গিয়ে আবদুলের ভাই, দাদারা দেখেন, সে রাস্তায় পড়ে রয়েছে । ভিড় ঠেলে কোনওমতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । ভাটপাড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালের নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ।

জগদ্দলে খুন কিশোর, শুনুন আত্মীয়দের বক্তব্য

কারা মেরেছে আবদুলকে বা এই ঘটনায় কারা জড়িত সে বিষয়ে আবদুলের বাবা জানান, "আমার ছেলে তো বাজনা বাজাচ্ছিল । আমিও ছিলাম ওখানে । যাদের সঙ্গে ঝামেলা হয় তাদের মধ্যে সাদ্দাম, পংকজরা ছিল । সবার কাছে মেশিন (আগ্নেয়াস্ত্র) ছিল । আমার ছেলের চুলের মুঠি ধরে যখন মারধর করছিল আমি গিয়ে বলি ও আমার ছেলে ছেড়ে দাও । তারপর একটু দূরে গিয়ে আকাশে একটা গুলি ছুড়ল । আর আমার ছেলেকে একটা মাথায় গুলি করল । আমি চাই আমার ছেলেকে যারা মেরেছে তাদেরও এভাবে মারা হোক ।"

আবদুলের ভাই এবিষয়ে বলেন, "আমাদের কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই । ভাই তাসা বাজাচ্ছিল । কোনও দোষ করেনি আমার ভাই । 10 টা থেকে 12টা গাড়ি নিয়ে এসেছিল । ওদের সরে যেতে বলে । এক-দু'টো কথায় গুলি চালিয়ে দিল । ও একটি উর্দু স্কুলে পড়াশোনা করত । আমরা তো শুধু বাজনা বাজাই । আমাদের কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা নেই ।"

জগদ্দল, 30 অগাস্ট : মহরমের দিন নমাজ় পড়ে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল কিশোরের । রাস্তায় ভিড় করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সঙ্গে বচসার জেরে এই খুন বলে জানান মৃত আবদুল ওয়াকারের পরিবার । জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে । ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি ।

মহরম উপলক্ষে উত্তর 24 পরগনার জগদ্দলের এক মসজিদে নমাজ় পড়তে গেছিল আবদুল । পরিবারের দাবি, সেখানে ভিড় থাকায় নমাজ় পড়ে ফিরতে দেরি হয় । মহরমের জন্য ফেরার পথে তাসা বাজাচ্ছিল আবদুল । সঙ্গে ছিল 14-15 জনের একটি দল । সকলে মিলেই রাস্তায় বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজাতে বাজাতে ফিরছিল । রাস্তা ছোটো হওয়ায় যার ফলে ভিড় তৈরি হয় । সেই সময়ই কয়েকজন স্থানীয় যুবক বাইক নিয়ে রাস্তা দিয়ে যেতে গেলে সমস্যায় পড়ে । তাদের অন্য রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয় আবদুল ওয়াকারের দল । শুরু হয় বচসা । বাইকে থাকা যুবকরা নেমে আবদুলদের মারধর করে। বচসা বাড়লে তাদের মধ্যে একজন রিভলভার বের করে শূন্যে একটি গুলি ছোড়ে । কিছু না বুঝে ওঠার আগেই আর একটা গুলি ছোড়ে আবদুলকে লক্ষ্য করে । লুটিয়ে পড়ে সে । পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বাইক নিয়ে এলাকা ছাড়ে ওই যুবকরা ।

আবদুলের বাড়ি মসজিদের কাছে হওয়ায় ঘটনাটি ঘটে তার বাড়ির কাছেই । গুলির আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থানে গিয়ে আবদুলের ভাই, দাদারা দেখেন, সে রাস্তায় পড়ে রয়েছে । ভিড় ঠেলে কোনওমতে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । ভাটপাড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালের নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ।

জগদ্দলে খুন কিশোর, শুনুন আত্মীয়দের বক্তব্য

কারা মেরেছে আবদুলকে বা এই ঘটনায় কারা জড়িত সে বিষয়ে আবদুলের বাবা জানান, "আমার ছেলে তো বাজনা বাজাচ্ছিল । আমিও ছিলাম ওখানে । যাদের সঙ্গে ঝামেলা হয় তাদের মধ্যে সাদ্দাম, পংকজরা ছিল । সবার কাছে মেশিন (আগ্নেয়াস্ত্র) ছিল । আমার ছেলের চুলের মুঠি ধরে যখন মারধর করছিল আমি গিয়ে বলি ও আমার ছেলে ছেড়ে দাও । তারপর একটু দূরে গিয়ে আকাশে একটা গুলি ছুড়ল । আর আমার ছেলেকে একটা মাথায় গুলি করল । আমি চাই আমার ছেলেকে যারা মেরেছে তাদেরও এভাবে মারা হোক ।"

আবদুলের ভাই এবিষয়ে বলেন, "আমাদের কারও সঙ্গে কোনও শত্রুতা নেই । ভাই তাসা বাজাচ্ছিল । কোনও দোষ করেনি আমার ভাই । 10 টা থেকে 12টা গাড়ি নিয়ে এসেছিল । ওদের সরে যেতে বলে । এক-দু'টো কথায় গুলি চালিয়ে দিল । ও একটি উর্দু স্কুলে পড়াশোনা করত । আমরা তো শুধু বাজনা বাজাই । আমাদের কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা নেই ।"

Last Updated : Aug 30, 2020, 7:54 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.