দত্তপুকুর, 10 মে : কোরোনা যুদ্ধে সামিল পুলিশ কর্মীরাও। চিকিৎসক,নার্স,স্বাস্থ্য কর্মীদের মতোই সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে থেকে পুলিশ কর্মীরাও প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছেন কোরোনার বিরুদ্ধে।কখনই নিজেদের জীবনের পরোয়া করেননি তাঁরা।বরং ঝুঁকি নিয়েই কোরোনার সংক্রমণ থেকে মানুষকে রক্ষা করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।শত বাধা আসলেও নিজেদের কর্তব্যে অটল পুলিশ। লকডাউন কার্যকর করতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে নিঃশব্দে কর্তব্য পালন করে চলেছেন।সেই সমস্ত পুলিশ কর্মীদের উপর ফুল ছিটিয়ে কুর্নিশ জানাল স্থানীয় একদল যুবক।শুধু কুর্নিশ জানানোয় নয়,তাঁদের চা খাওয়ানো থেকে টিফিনও তুলে দেওয়া হয় হাতে।আর যুবকদের এমন উদ্যোগের সাক্ষী রইল দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ ব্যাঙ্ক মোড় ৷
কোরোনা মোকাবিলায় লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকেই নিঃশব্দে কর্তব্য পালন করতে দেখা গিয়েছে পুলিশের নিচু তলার কর্মীদের। দিনরাত এক করে কর্তব্য পালনের মাধ্যমে শুধু চেয়েছেন সাধারণ মানুষ যাতে সুস্থ থাকতে পারেন। রাস্তার মোড়ে হোক কিংবা কনটেইনমেন্ট জোন এলাকা, লকডাউন কার্যকরী করতে গিয়ে কখনও কঠোর হওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। আবার কখনও উঠেছে গা ছাড়া মনোভাবের অভিযোগ । রেড জোন উত্তর 24 পরগনার জেলাসদর বারাসত,দত্তপুকুর,দেগঙ্গা সহ বেশ কিছু জায়গায় মাঝে মাঝেই এমন অভিযোগ উঠে এসেছে।কিছু জায়গায় তো আবার লকডাউন অমান্য করে জিনিসপত্র কেনার হিড়িক দেখা গিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে কখনও লাঠিপেটা করার অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে,সবকিছুর করার পিছনে পুলিশের উদ্দেশ্য ছিল একটাই,কীভাবে ভিড় হটিয়ে সংক্রমণের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা যায়। পুলিশের কড়াকড়ি ভূমিকার প্রশংসা অনেকে করলেও কেউ কেউ আবার তা বাড়াবাড়ি বলেও সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।আর এসবের মধ্যেই এবার কোরোনা যুদ্ধের অন্যতম সৈনিক পুলিশের নিচুতলার কর্মীদের মনোবল বাড়াতে উদ্যোগ নিল একদল যুবক।
আজ সকালে দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ ব্যাঙ্ক মোড়ে তাঁদের ওপর ফুল ছিটিয়ে কুর্নিশ জানাল এলাকারই একদল যুবক।চা খাইয়ে হাতে তুলে দেওয়া হয় টিফিনও।যুবকদের কাছ থেকে এমন সম্মান পেয়ে আপ্লুত পুলিশ কর্মীরা।তাঁদের মতে,"যুবকদের এমন উদ্যোগ কাজে আরও মনোযোগ বাড়াবে।মনোবল বাড়বে দায়িত্ব পালনেও"।
এবিষয়ে উদ্যোক্তাদের তরফে রাহুল মল্লিক বলেন,"পুলিশের সহযোগিতা ছাড়া কোরোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করা অসম্ভব।তাঁদের বিরুদ্ধে অনেক সময় নানা অভিযোগ উঠলেও তাঁরাই একমাত্র পারেন আমাদের নিশ্চিন্ত জীবন দিতে।আমরা যখন কোরোনার জেরে ঘরবন্দী,তখন পুলিশ কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তার নেমে মোকাবিলা করার চেষ্টা করছেন।সেই জন্য আমরা তাঁদের সামান্য শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলাম।পরবর্তীকালে একইভাবে চিকিৎসক,নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদেরও সম্মান জানানোর ইচ্ছে রয়েছে আমাদের"।