বারাসত, 14 ফেব্রুয়ারি: মদের আসরে যুবককে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তাঁরই বন্ধুর বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় সুবীর পাইক নামে ওই যুবককে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বারাসতের ন’পাড়া এলাকায়। অস্ত্রোপচারের পর আপাতত ওই যুবক বিপন্মুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা৷ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সুবীরের বন্ধু তাপস মল্লিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঠিকাদারি কাজের সঙ্গে যুক্ত সুবীর। বাড়ি বারাসতের কাঠগোলা এলাকায়। শনিবার রাতে ন’পাড়ার ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসের সামনে বন্ধু তাপস মল্লিকের সঙ্গে বসে মদ্যপান করছিলেন সুবীর। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, নেশার ঘোরেই বচসা শুরু হয় দুই বন্ধুর মধ্যে। অভিযোগ,তখনই ধারাল কোনও অস্ত্র দিয়ে পিছন দিক থেকে সুবীরের মাথায় সজোরে আঘাত করে তাপস। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সুবীর। বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় তাপস।
এরপর আহত অবস্থাতেই কোনওরকমে নিজের মোবাইল থেকে ফোন করে পরিবারকে বিষয়টি জানান সুবীর। পরিবারের সদস্যরাই তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। রাতেই অস্ত্রোপচার হয় সুবীরের। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত বিপন্মুক্ত সুবীর৷ তবে এখনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না তিনি৷ তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে৷
আরও পড়ুন: গলাকাটা দেহ উদ্ধার শিলিগুড়িতে, তদন্তে পুলিশ
এদিকে,ঘটনার পর পালিয়ে গেলেও পরে বারাসত হাসপাতালে জখম বন্ধুকে দেখতে আসে তাপস৷ তখনই পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে আক্রান্তের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় তাপসকে।
আহত যুবকের আত্মীয় বিশ্বতোষ দাস বলেন, ‘‘অফিসে থাকাকালীন ঘটনার খবর পেয়ে চলে আসি হাসপাতালে। সুবীরকে জিজ্ঞাসা করি ঘটনার বিষয়ে। সুবীরই বন্ধু তাপসের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলেন৷’’
অন্যদিকে বারাসত থানা সূত্রে খবর,‘‘ঘটনার পিছনে পুরনো কোনও শত্রুতা রয়েছে কিনা,তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে৷’’