বাগুইআটি, 1 জুলাই: পুলিশি হেফাজতে যুবককে মারধরের অভিযোগ পরিবারের ৷ অপমানে আত্মঘাতী কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ঋত্বিক গুপ্তা (24) ৷ এমনটাই দাবি পরিবারের । ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে বাগুইআটির বিদ্যাসাগর পল্লিতে । ঘটনাস্থলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় বাসিন্দারা ।
জানা গিয়েছে, 29 জুন হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের ওই ছাত্রকে গ্রেফতার করে বাগুইআটি থানার পুলিশ । হাসপাতাল থেকে কাজ সেরে বাড়ির দিকে ফেরার পথে বাগুইহাটি জাগৃতি সংঘের পাশে ঋত্বিক গুপ্তাকে ঘিরে ধরে স্থানীয় মানুষজন এবং তারাই তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বলে খবর । অভিযোগ, ওই যুবক প্রত্যেকদিন বাইক নিয়ে মহিলাদের উত্যক্ত করতেন ৷
ওই যুবককে গ্রেফতার করে বারাসাত আদালতে তোলা হয় ৷ জামিনও পেয়ে যান ঋত্বিক ৷ জামিনে মুক্ত হওয়ার পর 30 তারিখ ওই যুবক বাড়ি ফেরেন ৷ বাগুইআটির জর্দা বাগানে বাড়ি তাঁর । শনিবার সকালে নিজের ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় । পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মারধর করেছে । এমনকী ওই যুবক যে হাসপাতালে কাজ করতেন সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে । এতেই অপমানিত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন ঋত্বিক গুপ্তা । ঋত্বিকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।
এই ঘটনার পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাগুইআটি এলাকা । পরিবারের লোকজন পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোব তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিধাননগর পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা । পুলিশ গেলে তাদেরকে ঘিরে ধরেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয় লোকজন । বিধাননগর থানার আইসি নিজে কথা বলেন ঋত্বিকের বাবার সঙ্গে ৷ কিন্তু তিনি তাঁর কোনও কথাই শুনতে রাজি হন না ৷ ঘটনার সঠিক তদন্ত করে ছেলের অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা ৷
আরও পড়ুন: পুলিশি হেফাজতে পিটিয়ে যুবক খুন, থানায় আগুন উত্তেজিত জনতার
মৃতের বাবা রাজকুমার গুপ্তা বলেন, "পুলিশ আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে ৷ পুলিশকে আমার ছেলেকে মারার অধিকার কে দিয়েছে ৷ যে আমার ছেলেকে মেরেছে তাঁর শাস্তি চাই ৷ তাঁকে সাসপেন্ড করতে হবে ৷"