ETV Bharat / state

দেগঙ্গায় অজানা জ্বরে মৃত্যু মহিলার - Barasat hospital

অজানা জ্বরে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর ৷ মৃতার নাম শিবানী দে (35) ৷ দেগঙ্গার আমুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা ৷

প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Aug 11, 2019, 11:36 PM IST

Updated : Aug 12, 2019, 12:11 AM IST

বারাসত, 11অগাস্ট: অজানা জ্বরে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর ৷ মৃতার নাম শিবানী দে (35) ৷ দেগঙ্গার আমুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা ৷ দিন দুয়েক আগেই অজানা জ্বরে মৃত্যু হয়েছিল আমুলিয়া পঞ্চায়েতের এক যুবকের ৷ তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও অজানা জ্বরে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল ৷

মৃতার পরিবারের দাবি, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েই শিবানীর মৃত্যু হয়েছে ৷ গতকাল রাতে বারাসত হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ নেই ৷ সেপটিক শকেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ জানা গেছে, শিবানীর শ্বশুরবাড়ি হাবড়ার পৃথিবা পঞ্চায়েত এলাকায় ৷ জ্বর নিয়ে সেখান থেকেই দেগঙ্গার আমুলিয়া পঞ্চায়েতের চক-কলাপোলে বাবার কাছে আসেন শিবানী ৷ বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি জ্বরে ভুগছিলেন ৷ সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা ছিল তাঁর ৷ গতকাল দুপুর থেকেই শিবানীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ পরে, সেখান থেকে বারাসত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ রাতে সেখানেই শিবানীর মৃত্যু হয় ৷

আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও বারাসতে পুকুর ভরাট

বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, "বারাসত, দত্তপুকুর, দেগঙ্গা মিলিয়ে প্রায় 30 জন অজানা জ্বরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ তাঁদের চিকিৎসার সব রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ প্রায় 20টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ৷" বাসিন্দাদের দাবি, দেগঙ্গা ব্লকে অজানা জ্বরের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে ৷ এখন‌ই যদি স্থানীয় পঞ্চায়েত কিংবা প্রশাসন তার মোকাবিলা করতে না পারে, তবে তা মারাত্মক আকার ধারণ করবে ৷

বারাসত, 11অগাস্ট: অজানা জ্বরে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর ৷ মৃতার নাম শিবানী দে (35) ৷ দেগঙ্গার আমুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা ৷ দিন দুয়েক আগেই অজানা জ্বরে মৃত্যু হয়েছিল আমুলিয়া পঞ্চায়েতের এক যুবকের ৷ তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও অজানা জ্বরে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল ৷

মৃতার পরিবারের দাবি, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েই শিবানীর মৃত্যু হয়েছে ৷ গতকাল রাতে বারাসত হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ নেই ৷ সেপটিক শকেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ জানা গেছে, শিবানীর শ্বশুরবাড়ি হাবড়ার পৃথিবা পঞ্চায়েত এলাকায় ৷ জ্বর নিয়ে সেখান থেকেই দেগঙ্গার আমুলিয়া পঞ্চায়েতের চক-কলাপোলে বাবার কাছে আসেন শিবানী ৷ বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি জ্বরে ভুগছিলেন ৷ সঙ্গে মাথা যন্ত্রণা ছিল তাঁর ৷ গতকাল দুপুর থেকেই শিবানীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ পরে, সেখান থেকে বারাসত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ রাতে সেখানেই শিবানীর মৃত্যু হয় ৷

আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও বারাসতে পুকুর ভরাট

বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, "বারাসত, দত্তপুকুর, দেগঙ্গা মিলিয়ে প্রায় 30 জন অজানা জ্বরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ তাঁদের চিকিৎসার সব রকমের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ প্রায় 20টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ৷" বাসিন্দাদের দাবি, দেগঙ্গা ব্লকে অজানা জ্বরের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে ৷ এখন‌ই যদি স্থানীয় পঞ্চায়েত কিংবা প্রশাসন তার মোকাবিলা করতে না পারে, তবে তা মারাত্মক আকার ধারণ করবে ৷

Intro:দু-দিন আগেই অজানা জ্বরে মিঠুন দাস নামে দেগঙ্গার এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও অজানা জ্বরে মৃত্যু হল শিবানী দেবী(৩৫) নামে এক বধূর। এনিয়ে যথেষ্ট আতঙ্কিত দেগঙ্গার আমুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা।Body:রাজু বিশ্বাস,বারাসত:-ফের দেগঙ্গায় অজানা জ্বরে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর।মৃতার নাম শিবানী দে(৩৫)। গতকাল রাতে বারাসত হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারের দাবি,ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই বধূর। যদিও ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ ছিলনা। সেখানে লেখা ছিল,সেপটিক শকেই মৃত্যু হয়েছে শিবানীর।দু-দিন আগেই দেগঙ্গায় আমুলিয়া পঞ্চায়েতের ঝিকরা দাসপাড়ায় মিঠুন দাস(২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল অজানা জ্বরে।তাঁর পরিবারেরও দাবি ছিল,ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। জানা গেছে, শিবানীর শ্বশুরবাড়ি হাবরার পৃথিবা পঞ্চায়েত এলাকায়।জ্বর নিয়ে সেখান থেকেই সে দেগঙ্গার আমুলিয়া পঞ্চায়েতের চক কলাপোলে বাপের বাড়িতে এসেছিল।বেশ কিছুদিন ধরেই ওই গৃহবধূ জ্বরে ভুগছিলেন। সঙ্গে মাথার যন্ত্রনা,সারা শরীরে ব‍্যথাও ছিল তাঁর! গতকাল দুপুর থেকেই ওই বধূর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।এরপর, তাকে নিয়ে যাওয়া হয় দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে।পরে, সেখান থেকে বারাসাত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।রাতে সেখানেই মারা যায় সে। পরিবারের দাবি,ডেঙ্গি জ্বরেই আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে শিবানীর। তাঁর স্বামীও জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত আমুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়,"অজানা জ্বরে দেগঙ্গা ব্লকে বহু মানুষ আক্রান্ত।স্থানীয় পঞ্চায়েত কিংবা প্রশাসন যদি এখন‌ই তার মোকাবিলা না করে, তাহলে তা মারাত্মক আকার ধারন করবে"। ঘুরেফিরে তাঁদের ২০১৭ সালের স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে!সেবার উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা,অশোক নগরের মতো দেগঙ্গাতেও ডেঙ্গি মারাত্মক আকার ধারন করেছিল। শুধু দেগঙ্গাতেই ১ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।মারা গিয়েছিল বহু মানুষ।এবার হাবরা,অশোক নগর, বনগাঁতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। ইতিমধ্যে,অশোক নগর ও হাবরা মিলিয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও,হাবরায় গত ২০ দিনে ১১ জনের অজানা জ্বরে মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।সেই জায়গায় দেগঙ্গায় এখনও সেভাবে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হ‌ওয়ার খবর মেলেনি। তবে, অজানা জ্বর নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে বারাসত হাসপাতালে। হাসপাতালের সুপার সুব্রত মন্ডল বলেন,"বারাসত, দত্তপুকুর,দেগঙ্গা মিলিয়ে প্রায় ৩০ জন অজানা জ্বরে এই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাঁদের চিকিৎসার সবরকমের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।ডেঙ্গিতে কেউ আক্রান্ত হলে, তাঁর চিকিৎসার জন‍্য‌ও আমরা বন্দোবস্ত রেখেছি এখানে। প্রায় ২০ টি বেড বাড়ানো হয়েছে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে"।Conclusion:বাসিন্দাদের দাবি,দেগঙ্গা ব্লকে অজানা জ্বরের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।এখন‌ই যদি স্থানীয় পঞ্চায়েত কিংবা প্রশাসন তার মোকাবিলা না করতে পারে, তাহলে তা মারাত্মক আকার ধারন করবে।এ প্রসঙ্গে তাঁদের ২০১৭ সালের স্মৃতি ঘুরেফিরে আসছে।সে বছর দেগঙ্গাতেই ১ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন।মারা গিয়েছিল বহু মানুষ। অজানা জ্বর নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে বারাসত হাসপাতালে। ইতিমধ্যে সেখানে ৩০ জন ভর্তি রয়েছেন।
Last Updated : Aug 12, 2019, 12:11 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.